একদমই তা নয়… ছোটো একটা শিশু যখন প্রথম স্কুলে যায় তখন সে কিন্তু প্রথম তার বাড়ি ও চেনা পরিবেশের বাইরে একটা স্কুলের পরিবেশে সময় কাটায়, বাচ্চার বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে এই স্কুল “সমাজ”-এর একটা ছোটো সংস্করণ…. শিশুটি স্কুলে বিভিন্ন সামাজিক আচার-আচরণ শেখে, নিয়মাবলী শেখে, রুটিন শেখে, লাইনে দাঁড়াতে শেখে, বন্ধুর সঙ্গে কিরকম আচরণ করতে হয় শেখে, নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখে…. মোদ্দা কথা হলো শিশুটি বিভিন্ন social skills শেখে যেগুলো একটা মানুষের জীবন ও ব্যক্তিত্ব গঠনের জন্য অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ….!
এছাড়াও এই সময় আর পাঁচটা বাচ্চার সঙ্গে peer relationship তৈরি হয়… বন্ধুত্ব… পরিবারের বাইরে নিজের চেষ্টা ও পছন্দে তৈরি হওয়া প্রথম সম্পর্ক, তারপরে সেই সম্পর্ক দৃঢ় হয়… এই যে সম্পর্ক তৈরি করতে বা টিঁকিয়ে রাখতে শেখা, এটাও একটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ skill…
এছাড়াও স্কুলে বাচ্চা group/team work শেখে, দায়িত্ব নিতে শেখে, leadership শেখে…! স্কুলের স্বরস্বতী পুজো organize করার যে শিক্ষা, সেটাই বড়ো হয়ে বাচ্চাকে অন্য বিভিন্ন activity-তে দায়িত্ব নিতে বা নেতৃত্ব দিতে সাহায্য করে….!
বাচ্চাটি অন্য বাচ্চাদের সাথে মিশতে পারছে কিনা…?? বা মিশতে চাইছে কিনা?? নাকি মিশতে চেয়েও পারছেনা?? নাকি খুব একা একা থাকছে?? বাচ্চাটির বেড়ে ওঠা কি অন্য বাচ্চাদের থেকে আলাদা?? এই সমস্ত রকমের অস্বাভাবিক আচরণের early identification ও কিন্তু স্কুলেই সম্ভব….!
উঁচু ক্লাসের বাচ্চাদের জন্য online শিক্ষার যদিও কিছু কার্যকারিতা থেকে থাকে, প্রাথমিক স্তরের বাচ্চাদের জন্য ক্লাসরুমের কোনো বিকল্প নেই, হতে পারেই না…. শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য ও মানসিক বিকাশের জন্য অবিলম্বে স্কুলের দরজা খোলা প্রয়োজন….!