Skip to content
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

যৌন অক্ষমতা ও তার বিভিন্ন রূপরেখা

IMG_20210717_223950
Dr. Dipankar Ghosh

Dr. Dipankar Ghosh

General Physician
My Other Posts
  • July 18, 2021
  • 9:03 am
  • 3 Comments

বিষয় খুব সিরিয়াস। এখানে আমরা কোনও লঘু আলোচনা করবো না। প্রথমেই আমাদের, মানে এইসব খুপরিজীবী হাতুড়েদের কিছু নিত্য অভিজ্ঞতা নিয়ে বলবো, তারপর যাবো বিষয়ের বিস্তারে। হয়তো এতে আলোচনার একটা বিশেষ অংশে আলোকপ্রপাত ঘটবে।তবু কিছু ভয়ানক হাস‍্যকর অথচ বীভঙ্কর করুণ কথা এসেই যায়।

আমাদের দেশে যৌনশিক্ষা নিয়ে বহু কথা চলিত আছে। বাদ,প্রতিবাদ, বিসম্বাদ অনর্গল। খুপরিজীবনের একটা করুণ ইতিহাস বলে গুরুতর বিষয়ে প্রবিষ্ট হৈ।

এক সদ‍্যবিবাহিত দম্পতি খুপরিতে হাজিরা দিলো। ছেলেটি ব‍্যায়ামবীর, গুরুভক্ত হনুমান। মেয়েটা সলাজ মুখে তাদের যৌনজীবনের অপূর্ণতা জানালো। ছেলেটা সদম্ভে বললো “ওসব করলে শরীরের ঔজ্জ্বল্য কমে যায়। গুরুর বারণ আছে।”

যখন স্বপ্নদোষের (নাইটফল্স বা নকচার্নাল ইজাকুলেশন) কথা জিগ্গেস করলাম তখন বললো “হ‍্যাঁ হয়”। তাকে বাকিটা বুঝিয়ে গুনে গুনে টাকা নিয়ে তাদের বাড়ি পাঠালাম। অদ‍্যাবধি তাদের আর আসতে হয় নি। শিশুবিশেষজ্ঞের চেম্বারে অবশ্য অনেক বার‌ই তাদের দেখেছি।

এবার বিষয়ে ঢুকছি।

একদা একজোড়া নারী পুরুষ খুবই ইতস্ততঃ কাঁচুমাচু মুখে আমার খুপরিতে এসে ঢুকলো। এটা সেটা নানা রকম অসুবিধের কথা বলে তারপর সেই মেয়েটি বললো “কাকু (আমাকে সাধারণতঃ বহু নারীপুরুষ কাকা বলে ডাকে। রাজেশ খান্নার পরে আমিই একমাত্র সর্বজনীন কাকা।) আমাদের একটা বিশেষ প্রবলেম আছে…”

আমি বলতে বললাম।

মেয়েটা লজ্জাবনত আরক্ত মুখে বললো “ওর ইয়ের একটা গন্ডগোলের ব‍্যাপার আছে। আমরা বাচ্চা কাচ্চা চাই কিন্তু ওর ইয়ে হয় না”

“কি হে তোমার ইরেকশন (দৃঢ়) হয় না?”

ছেলেটা জানালো হয় না।

যেহেতু এই রোগী আমাকে প্রায় প্রাত‍্যহিক‌ই দেখতে হয় তাই পরবর্তী প্রশ্নটা প্রতিবর্তী ক্রিয়াতে পট করে পেড়ে ফেলি “সকালে ঘুমের মধ্যে ইরেকশন হয়?”(এটা খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ধরে নেওয়া হয় ঘুমের মধ্যে উত্তেজক চিন্তা এবং স্বপ্ন এই ঘটনার জন্য দায়ী)

[এখানে জানিয়ে রাখা ভালো-আমি বাংলা লেখার সময় ইংরিজি শব্দ ব‍্যবহারের বিরুদ্ধে। কিন্তু বিষয়টা সাধারণ বাঙালির ভিক্টোরিয়ান ধ‍্যানধারণার পক্ষে আঘাতজনক হতে পারে। আর ইংরিজিতে অনেক কথাই বেশ একটা সম্ভ্রান্ত সহনীয় রূপ নেয়- তাই আর কি ইংরিজি ব‍্যবহার]

মেয়েটাই তড়বড় করে উত্তর দিল “হ‍্যাঁ হয়।”

হ‍্যাঁ, আমাদের সাধারণ ভাবনার থেকেই আমরা ভেবে নিই- আহা মেয়েরা নেতিপেতি কচি খুকি। অথচ ওরা অনেক স্পষ্টবক্তা হয়।

কারো শরীরে বড়ো একটা কোনও রোগের জন্য ইরেকটাইল ডিসফাংশন হলে কিছুতেই মর্নিং ইরেকশন হবে না। সুতরাং ছেলেটার বড়ো রোগ কিছু নেই।
এরপর চাকরি বাকরি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দুচার কথার পর ছেলেটাকে সরাসরি প্রশ্ন করলাম “মাস্টারবেট করো?”

ছেলেটা একটু ইতস্ততঃ করে বললো “হ‍্যাঁ”
(বয়োঃসন্ধিকালের সমস্যা নিয়ে ডক্টরস ডায়ালগে একবার তিন দফায় লিখেছিলাম)

“সপ্তাহে ক’বার?”

এরপরের প্রশ্নোত্তর এখানে অপ্রয়োজনীয়। মোদ্দা কথা হলো যে উভয়ের শারীরিক তৃপ্তি ছাড়া যৌনমিলন অসম্পূর্ণ। এই ছেলেটা ওর সঙ্গিনীকে সন্তুষ্ট করার দায়ভার নিতে চায় না। বরং নিজের তৃপ্তির কথাটাই ওর কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাতে ওর স্বার্থপর পুরুষসত্ত্বা সন্তুষ্ট থাকে। এটা কম বয়স এবং বেশী বয়স উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ঋত্বিক ঘটক একবার আর্ট ফর আর্টস সেক কথাটা প্রসঙ্গে বলেছিলেন আর্ট ফর আর্টস সেক হলো মাস্টারবেশনের মতো। দায়হীন সুখ। এক্ষেত্রেও ঘটনাটা সেই রকম।

এর সমাধান শেষে দেবো (টিআরপি বাড়িয়ে রাখার অদম্য প্রয়াস) এখন একটু অসুখি (অসুখ বিষয়ক) আলোচনায় আসা যাক।

ইরেকটাইল ডিসফাংশন (ইডি) অর্থাৎ অঙ্গটি ঠিকঠাক কাজ না করতে পারা বা শক্ত না হ‌ওয়া। ইম্পোটেন্স আর ইডি পুরোপুরি সমার্থক নয়। ইডি সাময়িক হতে পারে চিরস্থায়ীও হতে পারে। ইম্পোটেন্ট বলতে আগে ব‍্যাকরণ ব‌ইয়ে বোঝাতো যে কোনদিন ইরেকশনে সমর্থ নয়। এটা প্রমাণ করতে বহু বহু পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন।এটা বাদ্দিয়ে বরং ইডির কারণগুলো নিয়ে প্রথমে আলোচনা করা যাক।

আমাদের যৌন আকাঙ্খা মূলতঃ মস্তিষ্কের গভীরে প্রোথিত থাকে। ইচ্ছে হ‌ওয়াটা সম্পূর্ণ শারীরিক নয়, প্রায় নব্বই শতাংশ মানসিক, পাঁচ শতাংশ শারীরিক এবং বাকি পাঁচ শতাংশ পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।

সাধারণভাবে একজন সুস্থ অনুভূতিশীল মানুষ শুধুমাত্র জীবন্ত নারী শরীর দেখেই যৌন উত্তেজনা অনুভব করবে না (অনেকেই ডাক্তারদের সম্বন্ধে ভাবেন ঈঃস ওদের কী সুবিধে… না স‍্যর, আমাদের কাছে অসুস্থ মানুষ-অসুস্থ মানুষ‌ই হয়, নারী পুরুষ ভেদ বিশেষ থাকে না)।

প্রথম কারণ মানসিক অসুখ:-
হতাশা, মানসিক অস্থিরতা বা বিভিন্ন মানসিক অসুখ যৌন ক্ষমতা কমিয়ে বা ক্ষেত্রবিশেষে বিলোপ করে দিতে পারে। এই সব ক্ষেত্রে মনের ইচ্ছেটাই নষ্ট হয়ে যায়। ঘৃণা বা বিদ্বেষ এক‌ই কাজ করে।এর সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে অসুবিধা, আর্থিক সঙ্কট, প্রিয় বিয়োগ এগুলো তো আছেই।

অথবা কর্মদক্ষতা সংশয়। অর্থাৎ আমি কাজটা (ঐ বিশেষ কাজটার নাম লিখলাম না) ঠিকঠাক করতে পারবো কিনা, এই চিন্তাও পুরুষত্ব হরণ করে। এটা কেবলমাত্র পুরুষদের একান্ত অসুবিধে। মোদ্দাকথা নারীকে শারীরিক ভাবে সন্তুষ্ট না করতে পারা বা নিজের ইরেকশন নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগেও ইডি আসতে পারে।

এবং অবশ্যই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর প্রতি মানসিক আকর্ষণ। যদি, সঙ্গী বা সঙ্গিনী মনোমতো না হয় তাহলে যৌন শৈত্য অনিবার্য।

শারীরিক অসুখ:-
এটা আবার বিভিন্ন অংশের কাজের ওপরে নির্ভর করে তাই প্রথমে ইরেকশনের মূল কারণটা বোঝানোর প্রয়াস পাওয়া যাক। যৌন অঙ্গে ধমনী (আর্টারি) দিয়ে রক্ত যায় এবং শিরা মানে ভেইন সঙ্কুচিত হয়ে রক্তটা ঐ অঙ্গের ভেতরে আটকে রাখে ফলতঃ রক্ত জমে অঙ্গটা শক্ত হয়ে ওঠে। কোনও কারণে রক্তবাহী নালীর সঙ্কোচন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেলে রক্ত জমে থাকবে না। সুতরাং ইরেকশন হবে না। এটা নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আজ্ঞে হ‍্যাঁ, নারীশরীরেও ইরেকশনের প্রয়োজন হয়। বিশেষতঃ ভেতরের লুব্রিকেশন এবং ক্লাইটোরাল ইরেকশনের ক্ষেত্রে।

সুতরাং

১) কোলেস্টেরল বেড়ে রক্তবাহী নালী খারাপ হয়ে গেলে উভয়েরই যৌন শৈত্য আসতে পারে। যেহেতু শুগার রক্তবাহী নালীর ক্ষেত্রে এটা ঘটে তাই কোলেস্টেরল বা শুগার বেশী থাকলে যৌন শীতলতা আসতে পারে।

২) মেরুদণ্ডের স‍্যাক্রাল নার্ভগুলোএই নালিকাগুলোর সঙ্কোচন ঘটায়। সুতরাং মেরুদণ্ডের অসুখ বা আঘাত ইরেকশন ক্ষমতা হরণ করতে পারে।

৩) হরমোনজনিত সমস্যা। হ‍্যাঁ বহু হর্মোন এই কর্মযজ্ঞে জড়িয়ে আছে। এর মধ্যে সেক্স হর্মোনগুলো অবশ্যই ভীষণ জরুরী। থাইরয়েড প্রোল‍্যাক্টিন ইত‍্যাদিদের‌ও বড্ড দরকার আছে।

৪) এবং যেহেতু এইসব কিছুর আসল চালক হচ্ছে মস্তিষ্ক তাই মস্তিস্কের গন্ডগোল (অসুখ,টিউমার বা আঘাত) হলে সব গন্ডগোল হয়ে যাবে।

এছাড়া বহু ওষুধ আছে যেগুলো শারীরিক মিলনের ক্ষমতা, ইচ্ছে বা সঙ্কোচন বন্ধ করে দ‍্যায়– সেগুলোও যৌন শৈত্য আনতে পারে। এর ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু চিকিৎসার ব‍্যবস্থা আছে। মেকানিক্যাল, কেমিক‍্যাল, সার্জিক্যাল এবং বিভিন্ন রোগে ভিন্ন ভিন্ন। এটা আপনার ডাক্তারবাবু বলে দেবেন।

এরপর আসবে পিএমই ( প্রিম‍্যাচিওর ইজাকুলেশন) বা শীঘ্র পতন। সব পুরুষের মনেই একটা ধারণা থাকে যে অন‍্যদের থেকে আমার অনেক বেশী শীঘ্র পতন হয়। অন‍্যের কথা শুনে বা পর্নোগ্রাফি দেখে হীনমন্যতায় ভুগবেন না। পর্নোগ্রাফি সাধারণতঃ ওষুধ খেয়ে বা শুঁকে করা হয় (এ বিষয়ে অর্থাৎ ওষুধ বিষয়ে আলোচনা এই প্রবন্ধে করা হবে না)। উপার্জন এবং যৌনক্ষমতা সবাই আসলের থেকে অনেক বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলে। সুতরাং অন‍্যের কথা না ভেবে আসুন তথ‍্যে মনোনিবেশ করি।

পিএমই বলতে বোঝানো হয় দেখে বা সম্পূর্ণ প্রবেশের আগেই শীঘ্রপতন ঘটা। সাধারণ ভাবে পুরুষের যৌনমিলনের স্থায়িত্ব এক মিনিট থেকে সাত মিনিট। এক্ষেত্রে নারীর তৃপ্তি হ‌ওয়াটাও একটা জরুরী প্রয়োজন। যেহেতু পুরুষ খুব দ্রুত দ্বিতীয় মিলনের জন্য প্রস্তুত হতে পারে না।

দ্রুতপতনের কারণসমূহ:-

১) ঐ অঙ্গের অতিরিক্ত স্পর্শকাতরতা। এটায় বিশেষ ধরনের কন্ডোম পরে বা ডি-সেনসিটাইজার ব‍্যবহার করে সুফল পাওয়া যায়।

২) সিম্প‍্যাথেটিক নার্ভতন্তুর অতিরিক্ত সক্রিয়তা।

৩) নারীদেহ সম্পর্কে স্পর্শজনিত অনভিজ্ঞতা।

৪) হতাশা বা নিজের ওপর বিশ্বাসহীনতা।

এবার যদি চিকিৎসা নিয়ে কথা বলি (যেটা আমার খুপরিতে প্রায়শঃই বলতে হয়, সেটা মূলতঃ উভকেন্দ্রিক, অর্থাৎ উভয়েরই কিছু কর্তব্য আছে।

পুরুষ বা নারী যে কেউ অঙ্গটিকে উত্তেজিত করবে, তারপর ইজাকুলেশন হ‌ওয়ার ঠিক আগে গ্লান্সের ঠিক নিচের অংশটা চেপে ধরে উত্তেজনা প্রশমন করতে হবে। বারবার এই পদ্ধতিতে অনুরূপ করে গেলে পুরুষ আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে যে হ‍্যাঁ আমি উত্তেজনা এবং শীঘ্রপতন দমন করতে পারছি (বোধহয় এটাকে মাস্টার অ্যান্ড জনসন টেকনিক বলা হয়)। এটা কয়েক সপ্তাহ চালালে এই বিশ্বাস পুরোপুরি ফিরে আসবে।

কম বয়সী হলে মিলনের ঘন্টাখানেক একবার হস্তমৈথুন করে নিলে ধারণক্ষমতা বাড়ে।

যদি এইসব কিছু বিফল হয়ে যায়,তখন মিউচুয়াল মাস্টারবেশন করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। এছাড়া উভয় তরফ থেকেই পরস্পরকে ওরালি গ্রাটিফাই করা যায় (এই সব বিষয়ে বিস্তারিত লেখা, আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে, ভারী মুশকিল, হয়তো আপনার ডাক্তারবাবু আপনাকে বোঝাতে পারবেন)। যেহেতু পৃথিবী এখনও পুরুষশাসিত তাই পুরুষের যৌনতৃপ্তিই বেশীরভাগ দেশে গুরুত্ব বেশী পায়। এই সব পদ্ধতিগুলো আমাদের দেশে কুসংস্কারের জন্য বহুল চর্চিত নয়।

এটাকে বুঝিয়ে লিখি:-

বৈবাহিক সম্পর্কে নারীর অতৃপ্তি বহু ঘর ভাঙে। সেই জন‍্যেই বিবাহের সূক্ষ্ম তন্তু টিকিয়ে রাখতে উভয়ের তৃপ্তি প্রয়োজন। পিএমই সারানোর জন্যে নারী পুরুষ দুজনেরই সহযোগিতা প্রয়োজন। যেসব দম্পতি এই ধরণের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা ‘alternate stimulation and squeeze technique for premature ejaculation’ কথাগুলো টাইপ করে Google search করুন, আশা করি প্রার্থিত বিষয়বস্তু পেয়ে যাবেন। এই পদ্ধতিতে ছয় থেকে আট সপ্তাহ সময় লাগে কিন্তু অনেক সময় পিএমই সম্পূর্ণ সেরে যায়।

পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ:– আমাদের ভয়ানক পায়খানা পেলে যেভাবে পায়খানা চেপে রাখি সেভাবে এই ব‍্যায়াম করতে হবে। অর্থাৎ যতবার পারেন পেশীগুলো সঙ্কোচন করুন– তিন গুনুন তারপর ধীরে ধীরে পেশীগুলো ঢিলে করুন। এটাও কিছু ক্ষেত্রে দ্রুতপতন ঠেকিয়ে রাখা যায়।

যাঁদের ঐ অঙ্গের চামড়া অতিরিক্ত সংবেদনশীল তাঁরা অবশ করার ওষুধ বা অবশ করার ওষুধ লাগানো কন্ডোম পরলে উপকার পাবেন। অনেকে অবশ্য অনুভূতি এবং উত্তেজনা কমে যাওয়ার অভিযোগ করেন। তখন সাধারণ কন্ডোম‌ও কিছুটা সাহায্য করতে পারে।

সময়:– এছাড়া সময় একটা বড়ো নির্ণায়ক বিষয়। সারাদিনের ক্লান্তির পরে সন্ধ্যায় বা রাত্রে মিলন না করে বরং ভোরের দিকে মিলন করলে উভয়ের অনেক বেশী তৃপ্তি হয় এবং পিই’র সম্ভাবনা কমে আসে।

সব শেষে যখন পদ্ধতিতে হচ্ছে না, তখন ফোরপ্লে অথবা সেক্স টয়েজ অথবা ওরাল এবং ম‍্যানুয়াল সেক্স নারীকে তৃপ্তি দিতে পারে। ফোরপ্লে বা শৃঙ্গার বহু সমস্যার সমাধান করতে পারে। মনে রাখবেন বিয়ের আদিতে আছে শারীরিক যৌনতা (যদি হিন্দুমতে মন্ত্র পড়ে বিয়ে করে থাকেন তাহলে পত্নীকে কাম দিয়ে তুষ্ট করার কথা অবশ্যই বলেছেন) তাই নারীকে তৃপ্ত করা পুরুষের দায়িত্ব এবং বিপরীতটাও সত্য।

PrevPreviousসরমার সন্তান
Nextবিজ্ঞানে অনুসন্ধান – বিবেকহীন আগ্রাসী পুঁজি এবং “পরাধীন” গবেষণার “স্বাধীন” নির্মোকNext
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
3 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Krishnendu Pradhan
Krishnendu Pradhan
2 years ago

বয়ঃসন্ধিকালের সমস‍্যা নিয়ে গল্পগুলোর Link দেবেন pls

0
Reply
Dipankar Ghosh
Dipankar Ghosh
Reply to  Krishnendu Pradhan
1 year ago

এই লেখায় আমার নামের তলায় My other post কথাটায় ক্লিক করুন।সব কটা পেয়ে যাবেন।আপনার কাঙ্খিত লেখাটা তিন পর্বে আছে।

0
Reply
Shaswata Dutta
Shaswata Dutta
2 years ago

খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন

0
Reply

সম্পর্কিত পোস্ট

“মাথা উঁচু রাখাই নিয়ম।”

September 22, 2023 No Comments

(বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে এই প্রবন্ধটি ভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছিল অনলাইন আবহমান ওয়েবজিনে আগস্ট ২০১৯, সংখ্যায়।) চার দশক পার হয়ে গেছে। সেদিন কলকাতার বাতাসে “মুক্ত হবে

ভুল গল্প। সত্যি গল্প

September 22, 2023 No Comments

মেয়ে টা দাড়িয়ে ছিল নির্বাক। বেডে শুয়ে সদ্য খিঁচুনী হওয়া বর। নিস্তেজ। টেবিলের উপর পেপার ওয়েটের নীচে দুজনার রিপোর্ট। দুজনারই এইচ আই ভি পজিটিভ। স্বামীর

কারণ সুধা – হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি

September 22, 2023 No Comments

সেবার শীতে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটলো। ডেবরা হাসপাতালে জয়েন করার পরে কাছের এক সম্ভ্রান্ত বাড়ির ছেলে এসে আবদার করলেন উনার বাবাকে একবার দেখে দিতে হবে।

রিটায়ার্ড

September 21, 2023 No Comments

সব কোলাহল থেমে গেল। যাকে বলে পিন পতন স্তব্ধতা! নিউটাউনের ফ্ল্যাটে এসে দেখি ওরা নেই। সিকিউরিটিকে জিজ্ঞেস করতে বলল, – “দাদা, ইলাহি কারবার। কমিউনিটি হলে আছে

খুপরির গল্প ১৪: অভিনয়

September 21, 2023 No Comments

রোজ কত কিছু ঘটে যায়, লেখা হয় না। আসলে লেখার ইচ্ছেও হয় না। খুপরি জীবন ভয়ানক একঘেয়ে হয়ে উঠেছে। বিচিত্র কত অসুখ, মানুষের কত অসহায়তা,

সাম্প্রতিক পোস্ট

“মাথা উঁচু রাখাই নিয়ম।”

Dr. Jayanta Bhattacharya September 22, 2023

ভুল গল্প। সত্যি গল্প

Dr. Soumendu Nag September 22, 2023

কারণ সুধা – হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি

Dr. Subhendu Bag September 22, 2023

রিটায়ার্ড

Dr. Arunachal Datta Choudhury September 21, 2023

খুপরির গল্প ১৪: অভিনয়

Dr. Aindril Bhowmik September 21, 2023

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

451344
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

[wppb-register]