কয়েকটা অচল নম্বরে ওইধারে কেউ নেই জানা আছে।
ডিলিট হয় না তবু তারা।
অন্য নম্বর খুঁজতে গিয়ে সম-অক্ষর হেতু
হুট করে ভেসে ওঠে আনাচেকানাচে,
চোখ পড়ে, চোখ পোড়ে,
বুকের দমকা ধুকে স্মৃতি নডেচড়ে,
ক’সেকেন্ড ফ্ল্যাশব্যাকে উঠে আসে ভেসে যাওয়া সেতু,
ওপারে যে দাঁড়িয়ে আবছা চেহারা নিয়ে
কুয়াশার মাঝে দেখা সূর্যের মতো,
একবার, শুধু একবার যদি তার সাথে ফের দেখা হতো,
সেই আফশোষ ছুঁয়ে যায় লহমায়,
তারপর.. তারপর কাজ এসে যায়।
যার নং সন্ধানে ফোনবুকে সার্চ দেওয়া,
তার দিকে মন দিতে হবে,
সামনে কাজের ঢল, সময় থামতে জানে কবে!
নম্বরগুলো পড়ে থাকে, অজয়দা, নির্মাল্য , দীপক, ছোটোমাসি..
এমনকি মা আর বাবা-ও
পায়ের চিহ্ন বাটে হয়েছে উধাও,
তবু কেন জানি,
ডিলিট না করে সযত্নে রাখা,
অবরে সবরে ফিরে আসি,
দীপকের শেষ মেসেজটা এখনো পরে দেখা হওয়ার কথা বলে,
অ-শরীর হয়ে যাওয়ার
কিছু দিন আগে মাসি লিখেছিলো শরীর ভালো না, আসিস একবার!
নির্মাল্যর সাথে পরের রিইউনিয়নে দেখা হওয়ার কথা..
দুম করে নেই হয়ে গিয়েছিলো করোনা-ছোবলে,
ডি পি’তে এখন আর ওদের ছবি নেই,
নম্বরও কে জানে হয়ে গেছে কার,
জানি সেভ করে রাখাটা বেকার,
যারা গেছে, তাদেরকে যেতে দিতে হয়,
তবুও ডিলিট করিনা কখনো।
কটাদিন থাকুক না আটকে সময় ,
ক্ষতি কিছু নেই কারো যদি রেখে দিই।
সত্যি বলতে, ওই সব নম্বরে ওরা কেউ নেই,
স্মৃতির নোঙরে বাঁধা আর কেউ নয়,
এক এক টুকরো হয়ে রয়েছি আমি-ই ।