Skip to content
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

স্পঞ্জ সিটি : এক চেন্নাইয়ান প্রয়াস

feature
Somnath Mukhopadhyay

Somnath Mukhopadhyay

Retired school teacher, Writer
My Other Posts
  • April 30, 2025
  • 7:57 am
  • 8 Comments

স্পঞ্জ, তা সে প্রাকৃতিক হোক বা কৃত্রিম , একটি নরম তুলতুলে পদার্থ। এক টুকরো স্পঞ্জের ওপর বেশ কয়েক ফোঁটা জল ঢেলে দেখুন, নিমেষেই সব জল নিজের অসংখ্য ছিদ্র ভরা শরীরে দিব্যি শুষে নিয়েছে। নরম শরীর আর এক লহমায় তরল পদার্থকে নিজের শরীরের অসংখ্য ফাঁকফোকরের মধ্যে শুষে নিয়ে ধরে রাখার ক্ষমতার কারণে স্পঞ্জের এমন জনপ্রিয়তা। আমাদের পৃথিবীর আদিতম নিরেট পাথুরে মলাটের ওপর স্পঞ্জের মতো এমন‌ই একটা কোমল আস্তরণ লক্ষ কোটি বছর ধরে তিলতিল করে গড়ে উঠেছে। এই নমনীয় তুলতুলে স্পঞ্জের মতো স্তরটির কারণেই আমাদের পৃথিবী এতো সজীব, প্রাণময়। সংসারে মা না থাকলে যেমন তার ছন্নছাড়া শ্রীহীন দশা হয়, আমাদের পৃথিবীর‌ও নগর , মহানগরগুলোর যে এখন তেমন‌ই বেহাল দশা। নিজেদের স্বার্থে মাটি সরিয়ে মহানগর পত্তনের বিষবাষ্প আজ গ্রাস করছে আমাদের অস্তিত্ব। এই পরিস্থিতির হাত থেকে রেহাই পেতে সেই স্পঞ্জের বৈশিষ্ট্যকে আজ আঁকড়ে ধরছেন নগর স্থপতিরা। আজকের প্রতিবেদন সেই কর্ম প্রয়াস প্রসঙ্গে।।

দক্ষিণ ভারতের দুই মহানগর, দুই স্বতন্ত্র পরিচিতি। একটি হলো ঝরা প্লাবনের জনপদ,অন্যটি হা পিত্যেশ করে চাতক পাখি হয়ে তাকিয়ে থাকে দো বুন্দ পানি তৃষিত কন্ঠে ঢালবে বলে। প্রথমটির সমস্যা বর্ষাকে ঘিরে, আর দ্বিতীয়টির সমস্যা এই ভরা গ্রীষ্মে। আজ অবশ্য আমরা আলোচনা করবো  বানভাসি হবার সম্ভাবনাকে ঠেকাতে প্রথম জনপদ চেন্নাইয়ের এক অভিনব প্রস্তুতির প্রসঙ্গে।

চেন্নাই : এক বানভাসি জনপদ?

ফেলে আসা এক দশকের পরিসংখ্যান বলছে তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাই ক্রমশই একটি বন্যা প্লাবিত মহানগর হিসেবে চিহ্নিত হতে চলেছে। তামিলনাড়ু রাজ্যের বৃষ্টিপাতের চরিত্র দেশের বাকি অংশের থেকে অনেকটাই আলাদা। ভারতের কোন্ রাজ্যে বছরে দুবার বৃষ্টি হয়? স্কুল জীবনে যতবার এই প্রশ্নটি আমাদের সামনে এসেছে ততবারই আমরা ঊর্দ্ধবাহু হয়ে গলা উঁচিয়ে উত্তর দিয়েছি – তামিলনাড়ু। হৈচৈ থামাতে মাস্টারমশাই হয়তো ততক্ষণে ছুঁড়ে  দিয়েছেন তাঁর পরের প্রশ্নবাণ– কেন চেন্নাইতে বছরে দুবার করে বৃষ্টি হয়? ছাত্রদের উৎসাহে এবার খানিকটা ভাঁটা পড়লেও ক্লাস ঘর একদম নীরব হয়না । “কেউ না কেউ সপাটে জবাব দিয়েছে – তামিলনাড়ু মৌসুমী বায়ুর আসা যাওয়ার পথে পড়ে। আর তাই একবার বর্ষায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এবং অন্যবার প্রত্যাবর্তনকারী উত্তর পূর্ব মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে তামিলনাড়ুতে বৃষ্টি হয়”। ২০১৫ সালের নভেম্বর – ডিসেম্বর মাসে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে চেন্নাই মহানগর শতাব্দীর স্মরণীয়তম বন্যার কবলে পড়ে। এখানেই শেষ নয়। ২০১৫ পর ২০২০,২০২১, ২০২৩ – ঐ একই বিপর্যয়ের পুনরাবৃত্তি। ২০২৩ ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে চেন্নাই আবার জলের তলায়। মহানগরীর বিস্তির্ণ অংশের পাশাপাশি রাজ্যের অনেকটা এলাকায় এই বন্যার ঘটনা গভীর প্রভাব ফেলে।

বন্যার পরে ..

বন্যার ঘটনা মানুষের জীবনে গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। চেন্নাইয়ের ক্ষেত্রেও এমনটাই যে ঘটেছে তা এখানে বসেই বিলকুল অনুমান করতে পারি। ঘূর্ণিঝড়ের আসা যাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, তবে বন্যার জল যাতে দ্রুত গতিতে নেমে যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া খুব জরুরি হয়ে পড়ে। অবশ্য সমুদ্রের প্রান্ত ঘেঁষা অবস্থান এখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অদূর ভবিষ্যতে সমুদ্র জলতলের উচ্চতা আরও বেড়ে গেলে চেন্নাইয়ের সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না। তাহলে উপায়? আগামীদিনে পেয় জলের সংকট আরও বাড়বে। জলের জন্য আজকের ব্যাঙ্গালুরুর যে প্রবল হাহাকার তেমনটা চেন্নাইয়ের হতে কতক্ষণ? খুব সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের নাসিকের জল যন্ত্রণার ছবি আমাদের সবার নজরে এসেছে। বোতল ভরা কোম্পানির জলে তৃষ্ণা মেটানো শহুরে মানুষের কাছে তার মূল্য কতটুকু? তাঁরা এসব নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন হয়তো !

মনে রাখতে হবে যে , বৃষ্টির জল মিঠা পেয় জল হিসেবে ব্যবহার্য। এই জলকে ধরে রাখতে পারলে যে লাভ আমাদের‌ই। জল ধরো, জল ভরো – এটা নিছক একটা শ্লোগান নয়। এই কাজটি এখন অবশ্য পালনীয়, অবশ্য করণীয়। প্রশ্ন হলো জল ধরে রাখবো কোথায় ? এই ভাবনা থেকেই দুনিয়া জুড়ে জন্ম নিয়েছে নগরায়নের এক নতুন ধারনা, নতুন মডেল। কী সেই মডেল? স্পঞ্জ সিটির মডেল। দেখে নেওয়া যাক্ এই নতুন ভাবনার খুঁটিনাটি দিকগুলো।

স্পঞ্জ সিটি কী?

নগরায়ন বা নগর জনপদের বিকাশ একটি স্বতঃস্ফূর্ত মানবিক প্রক্রিয়া। কোনো জনপদ‌ই প্রকৃতির তৈরি নয়। বরং বলা যায়, প্রকৃতির স্বাভাবিক বিন্যাস ব্যবস্থার রূপান্তর ঘটিয়ে মানুষ‌ই গ্রামকে সরিয়ে দিয়ে শহরের পত্তন করেছে। এই মুহূর্তে গোটা দুনিয়ার ৫০%’এর বেশি মানুষ নাগরিক জীবন যাপনের সুবিধা ভোগ করে। অথচ নগর জীবনে সমস্যার অন্ত নেই। অন্যতর সমস্যার কথা বাদ দিলেও বলা যায় যে একালের শহরের বানভাসি হবার প্রবণতা অনেক অনেক বেশি। এই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই বিখ্যাত চৈনিক নগর প্রযুক্তিবিদ

Dr. Yu Kongjian , ২০১৩ সালে স্পঞ্জ সিটি স্থাপনের প্রস্তাব ও পরিকল্পনা করেন। এই নগর প্রযুক্তির মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে বন্যার জলকে নগরপথে বয়ে যেতে না দিয়ে তাকে স্পঞ্জের মতো অধিশোষণের মাধ্যমে শহরের নিজের একান্ত পরিসরে ধরে রাখা, যাতে করে ভবিষ্যতে সেই সঞ্চিত মূল্যবান জল সম্পদকে নগরবাসী মানুষজনের বহুমুখী প্রয়োজন মেটাতে কাজে লাগানো যায় এবং পাশাপাশি নগরীর জীববৈচিত্রের সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়।  ২০১৫ সালে চিনা সরকার তাদের রাষ্ট্রিয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় স্পঞ্জ সিটি স্থাপনের বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করেন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ৩০% শহর – নগরকে স্পঞ্জ সিটিতে পরিবর্তিত করা হবে। ডঃ ইউ. কোঞ্ঝিয়ান প্রস্তাবিত, নগর বন্যা নিয়ন্ত্রণের স্পঞ্জ সিটি মডেলটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং অচিরেই তার রূপায়ণের কাজ শুরু হয়। আজকের দুনিয়ায় স্পঞ্জ সিটি কনসেপ্ট বন্যার ক্ষয়ক্ষতিকে প্রশমিত করার এক কার্যকর উপায় হিসেবে মান্যতা পেয়েছে। (আমাদের বহু প্রচলিত নয়ানজুলিগুলোও এই জল ধরার কাজে খনন করা হতো)। আর সেই কারণেই দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শহরগুলোর ভূমি ভাগের ব্যবহারিক চরিত্রকে আরও ইতিবাচক পরিবর্তনের পথে নিয়ে যাবার নিরন্তর প্রচেষ্টা চলছে। কংক্রিটে সবকিছু মুড়ে ফেলার প্রবণতাই হলো আজকের নগর প্লাবনের মূল কারণ। কংক্রিটের ওপর দিয়ে জল গড়িয়ে যায় , মাটির তৃষা এরফলে মেটেনা।এখন স্পঞ্জ সিটি প্রকল্পের রূপায়ণ আমাদের বিলম্বিত বোধোদয়ের‌ই নামান্তর। পৃথিবীর জল পৃথিবীর মায়ের কোলেই ফিরিয়ে

দেবার প্রয়াস আর কি! চলুন এবার খোঁজ নিয়ে দেখি, এই লক্ষ্যপূরণে চেন্নাই কোন্ ধরনের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।   চলো যাই চেন্নাই

শুরুতেই বলেছি চেন্নাই হয়তো ক্রমশই এক বন্যা প্রবণ মহানগরের অভিধা  পেতে চলেছে। এই দুর্বিসহ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে চেন্নাই মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি একগুচ্ছ প্রকল্প রূপায়ণের কথা ভেবেছে যাতে বন্যার জলকে ধরে রাখা সম্ভব হয়। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম. কে.স্ট্যালিন চেন্নাই শহরের প্রথম ওয়েট ল্যান্ড স্পঞ্জ পার্ক বা জলাভূমির উদ্বোধন করেছেন পোরুরে, মাউন্ট পুন্নামালি হাই রোডে একটি সংরক্ষিত সরকারি জমিতে, পরিভাষায় যাদের বলা হয় Open Space Reservation বা OSR. নগর পরিকল্পনাবিদদের বিশ্বাস , প্রায় ১৭ একর এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা এই নগর উদ্যানটি পোরুরের সাবেকি জলাভূমিটিকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে। গোটা জমিটি শ্রী রামচন্দ্র ইউনিভার্সিটির অধীনে ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনক্রমে পার্কিংয়ের জন্য ব্যবহৃত এই জমিটিকেই স্পঞ্জ পার্ক হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। শহরের মধ্যে সুপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা এই এলাকাটি এখন বাস্ততান্ত্রিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী সকলেই। মিউনিসিপ্যালিটির তরফে GIS প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে শহরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনাদরে পড়ে থাকা থাকা জলাভূমিগুলোকে খুঁজে বার করে, বন্যার জল ধরে রাখার জন্য তাদের কার্যকর করে তোলা হচ্ছে। শহরের বেশ কিছু এলাকাকে কংক্রিট মুক্ত রাখাই হলো এর মূল উদ্দেশ্য। শহরের মোট এলাকার একটি বড়োসড়ো অংশকে বৃষ্টি বা বন্যার জল ধরে রাখার উপযোগী ক্ষেত্র হিসেবে কাজে লাগাতে পারলে বন্যার দাপটকে হয়তো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারা সম্ভব হবে। এমন‌ই মনে করছেন চেন্নাইয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

তবে এক্ষেত্রে সমস্যা যে একেবারে নেই তা নয়। সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে যে , আজকের চেন্নাইয়ের আকাশ ছোঁয়া বাড়ি ঘর , হাউজিং সোসাইটির অনেকগুলোই নির্মাণ করা হয়েছে পুরনো জলাভূমির অংশগুলোকে বেআইনিভাবে ভরাট করে। সেইসব জমিকে পুনরুদ্ধার করা চট জলদি সম্ভব নয়। তাই সমপরিমাণ ফাঁকা জায়গায় জলাভূমি নির্মাণ করে ভৌম জলের জোগান বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিরাও বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন যাতে চেন্নাই ও সংলগ্ন শহরতলি এলাকার জলাভূমিসহ ফাঁকা জমিগুলোতে স্পঞ্জ পার্ক গড়ে তোলা যায়। যেখানে সরকারি জমি পাওয়া যাচ্ছেনা সেখানে ব্যক্তিগত মালিকানার জমি নিয়েও খোঁজখবর করা হচ্ছে যাতে রাজ্যের হিতে সেগুলোকে কাজে লাগানো যায়। বানভাসির সমস্যা কখনোই ব্যক্তি বিশেষের সমস্যা নয়, এটি একটি সর্বাত্মক সমস্যা। আর তাই এমন গণ উদ্যোগ বিশেষ তাৎপর্যবাহী।  পৌর প্রশাসকরা আশাবাদী যে, এই স্পঞ্জ পার্ক প্রকল্পের রূপায়ণ চেন্নাই শহরের বন্যায় ভেসে যাওয়ার সমস্যার পাশাপাশি জল সংকটের সমস্যার‌ও সমাধান করতে সাহায্য করবে। কংক্রিটের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক স্পঞ্জের আচ্ছাদনটিকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হলে তা মাটির নিচে থাকা জল ভাণ্ডারকেও পূর্ণ করবে। ইট কাঠ কংক্রিটের ধুসর মলাটের নিচে ঢাকা পড়ে যাওয়া প্রাণদায়ী প্রাকৃতিক স্তরটি ফিরে আসবে এই পরিকল্পনার সূত্রে। গাছ গাছালি,পাখ পাখালির কলকাকলিতে আবার মুখরিত হয়ে উঠবে শহুরে প্রকৃতির প্রাঙ্গণ। এরমধ্যেই তার ইঙ্গিত মিলেছে। 

জনসংখ্যার প্রবল উৎপাতে পৃথিবীর মহানগরীগুলোর নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। চেন্নাই তো এই নিয়মের ব্যতিক্রম নয়। বিগত কয়েক দশকে চেন্নাইয়ের সাবেকি ভূমি ব্যবহার ব্যবস্থার ব্যাপক রদবদল ঘটানো হয়েছে অত্যন্ত অপরিকল্পিত ভাবে। কৃষি জমি, বনাঞ্চল, নিঁচু জলাভূমি ইত্যাদি দখল করে যথেচ্ছভাবে বাড়ি ঘর, হাউজিং এস্টেটের নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে হারিয়ে গেছে ভূমির প্রাকৃতিক আচ্ছাদন। জল চলাচলের স্বাভাবিক পথগুলোকে বন্ধ করে দেওয়ায় চেন্নাই শহরের ভূপৃষ্ঠের স্বাভাবিক জল শোষণ ও ধারণ ক্ষমতা সীমিত হয়ে গেছে। শহরে সবুজের সমারোহ নজরে পড়েনা। ফলে ফি বছর ফিরে ফিরে আসে বন্যা,খরা,ভৌম জলস্তরের অবনমন, শহুরে তাপদ্বীপ হয়ে ওঠার মতো সমস্যাগুলো ‌। মাঝেমাঝেই  পরিচিত মানুষজনদের কেউ কেউ সখেদে আক্ষেপ করে বলেন – মানুষ আর মানুষ নেই। খুব ভুল হয়তো বলেন না তাঁরা। আমরা ক্রমশই প্রকৃতি থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছি। সহজাত এই সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলার ফল ভুগছি আমরা। স্মার্ট সিঁড়িগুলো যদি এভাবে স্পঞ্জ সিটি হয়ে সেই ছিঁড়ে যাওয়া বাঁধনে আবার আমাদের নতুন করে বেঁধে ফেলে তাহলে মন্দ কি!

ঋণ স্বীকার

বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত প্রাসঙ্গিক প্রতিবেদন। উইকিপিডিয়া।

ছবির জন্য প্রচলিত উৎস সমূহের কাছে ঋণী।

এপ্রিল ২৯.২০০৪.

PrevPrevious“গাহি সাম্যের গান, মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান।”
Nextতিলোত্তমা ও চাকরি চুরিNext
5 1 vote
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
8 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Soumen Roy
Soumen Roy
2 months ago

পরিবেশের নিত্যনতুন খবর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।ভালোবাসা থাকলে তবেই ছোট ছোট ঘটনাগুলি থেকেও আশার আলো দেখা যায়।

0
Reply
Somnath Mukhopadhyay
Somnath Mukhopadhyay
Reply to  Soumen Roy
2 months ago

ধন্যবাদ জানাই সৌমেন রায় মশাইকে। কোঞ্ঝিয়ানের দেশ চিন দ্রুত গতিতে বেড়ে উঠতে গিয়েই মহাবিপদের ছায়া দেখতে পাচ্ছে তারা। “Destruction of my own paradise” এই উক্তির মধ্যেই সুপ্ত রয়েছে নতুন কিছু ভাববার গভীর আগ্রহ ও ভালোবাসা। সহজ কাজ। চাই সদিচ্ছা এবং উদ্যমী প্রয়াস। মিয়াওয়াকির পর স্পঞ্জ সিটি। চমকের পর চমক।

0
Reply
Soumyadip Saha Roy
Soumyadip Saha Roy
2 months ago

আবার এক নতুন তথ্যের সন্ধান পেলাম এই লেখাটিতে। একটি শহর যদি করে দেখাতে পারে, অন্যরাও তাহলে এগিয়ে আসুক।

0
Reply
Somnath Mukhopadhyay
Somnath Mukhopadhyay
Reply to  Soumyadip Saha Roy
2 months ago

তথ্যের জন্ম হয় নতুন করে সবকিছুকে দেখার জন্য , ভাবার জন্য, ভাবাবার জন্য। কিছুদিন আগে ডি– পেভ মুভমেন্টের কথা শুনিয়েছিলাম। আজ স্পঞ্জ সিটির কথা বললাম। সারা দুনিয়া জুড়েই শহর গুলোতে ফাঁকা জায়গার পরিসর বাড়ানো হচ্ছে, রক্ষার চেষ্টা চলছে জলাভূমিগুলোকে। আর কিছুদিনের মধ্যেই জল নিয়ে তুলকালাম হবে দুনিয়া। সময় সচেতন হবার

0
Reply
Dr Sourav
Dr Sourav
2 months ago

Nice article… cities should take these type of initiatives… We should all try to harvest rain water even at home/ apartments using already available technologies… Also we should try permaculture in a collective way…

0
Reply
Somnath Mukhopadhyay
Somnath Mukhopadhyay
Reply to  Dr Sourav
2 months ago

Thanks for your lively comment. It should be customary to keep open space in every household. It’s important to boost up ground water storage. China has paved a new path. Let’s follow it.

0
Reply
Sugata Bhattacharjee
Sugata Bhattacharjee
2 months ago

Khub sundor ebong prasongik bisoy… Asha korbo Kolkata teo ei uddog newa hok jate asu biporjoy theke bacha jay… Lekha ta share korte onurodh korbo sobai k…

0
Reply
Somnath Mukhopadhyay
Somnath Mukhopadhyay
Reply to  Sugata Bhattacharjee
2 months ago

ধন্যবাদ ডাঃ বাবু। এই মুহূর্তে কলকাতার থেকে কলকাতার আশপাশের এলাকায় এই উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। শহরতলি এলাকাতে কংক্রিটের জঙ্গল যেভাবে বাড়ছে নিয়মের তোয়াক্কা না করে, তাতে এখানেও চেন্নাইয়ের দশা হবে। প্রশাসনের পাশাপাশি আমআদমিরাও এসব নিয়ে একদমই ভাবছে না।আসলে সংকট এখানেই।

0
Reply

সম্পর্কিত পোস্ট

Memoirs of a Travel Fellow Chapter 3: Hills, Resistance and Hope: Odisha

July 8, 2025 No Comments

For me Odisha is a land of contradictions, and the story starts from a rainy day when I came to Bhawanipatna, Kalahandi, Odisha from Chattisgarh.My

গণতান্ত্রিক পথেই আমরা এতদিন স্বর তুলেছি, আগামী দিনেও তুলব, যতদিন না ন্যায়বিচার পাই

July 8, 2025 No Comments

৭ জুলাই, ২০২৫ ২০২৪ এর ৯ আগষ্ট, কলঙ্কজনক ইতিহাস রচিত হয় এই কলকাতায়,এই বাংলায়। মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক-পি জি

Memoirs of a Travel Fellow Chapter 2: Chhattisgarh: Where Red Dust Meets Red-Green Flags

July 7, 2025 No Comments

When I first scanned the list of centres offered through the travel fellowship, one name leapt out at me: Shaheed Hospital—a Martyrs’ Hospital. There was

অভয়া আন্দোলন: রাজপথ থেকে এবার ছড়িয়ে পড়ুক আল পথে

July 7, 2025 No Comments

৫ই জুলাই

July 7, 2025 No Comments

তেরো বছর আগে এইরকমই এক বর্ষাদিনে শত শত বাঙালির হাত একটি শবদেহ স্পর্শ করে শপথ নিয়েছিল — পশ্চিমবঙ্গকে নৈরাজ্যের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হওয়া থেকে প্রতিহত করতে

সাম্প্রতিক পোস্ট

Memoirs of a Travel Fellow Chapter 3: Hills, Resistance and Hope: Odisha

Dr. Avani Unni July 8, 2025

গণতান্ত্রিক পথেই আমরা এতদিন স্বর তুলেছি, আগামী দিনেও তুলব, যতদিন না ন্যায়বিচার পাই

Abhaya Mancha July 8, 2025

Memoirs of a Travel Fellow Chapter 2: Chhattisgarh: Where Red Dust Meets Red-Green Flags

Dr. Avani Unni July 7, 2025

অভয়া আন্দোলন: রাজপথ থেকে এবার ছড়িয়ে পড়ুক আল পথে

Abhaya Mancha July 7, 2025

৫ই জুলাই

Dr. Sukanya Bandopadhyay July 7, 2025

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

565975
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

[wppb-register]