তোমায় ছোঁয়ার তীব্রতা-সুখ, ভীষণ অসুখ, অন্ধ মোহ,
একটু আঙুল স্পর্শ পেলেই এই পৃথিবী অন্য গ্রহ
তোমায় দেখার দর্শ-নেশায় শরাব লাগে সেরেফ পানি,
তাই তো মাতাল নিত্য খোঁজে ঝলক-নজর মেহেরবানি।
হয়তো তুমি এসব জানো , কেমন বেহুঁশ তোমার নামে
যেখানটাতেই হোক না দেখা, তোমার দোরে সময় থামে
কঠিন মুখে তাই তো এড়াও গোলাপ দেওয়া, প্রলাপ
লিখে,
তির্যকে ক্রুর বাক্য শানাও, তির ছুঁড়ে দাও আমার দিকে।
সে বাণ আমার পুষ্পস্তবক, অন্তত তো বলছো কথা,
হলোই নাহয় দেখতে পেলেই পালিয়ে যেতে খুব দ্রুততা,
তাও তো আমায় চিনছো তুমি, বিরক্তিতেও রাখছো মনে
ঘেন্না এবং ভালোবাসা, মিল তো থাকেই এই দু-বোনে।
কিন্তু অমন ফোনের দিকে চলতি পা’য়ে মগ্ন হলে ,
যমের সাথে দেখা হওয়ার পাঁজি নতুন লগ্ন খোলে
জানোই তো এই পথে এখন রুটের বাসের রেষারেষি,
তবুও ব্লুটুথ অফ করোনি, বিশ্রী স্বভাব এ কোনদেশী।
ধাক্কা দিয়ে তাই সরালাম, নয়তো আজই ফটোয় মালা,
ফসকে শিকার বাস মেটালো আমার ওপর গায়ের জ্বালা
রাস্তা জুড়ে রক্তনদী, ওই তো তুমি আসলে ছুটে,
মাফ করে দাও, মান দিইনি তোমার তখন দাঁড়িয়ে উঠে
রক্তে ভেজা পথের ধুলোয় হাত রেখেছো আমার হাতে
মৃত্যু তখন আমায় ঝাঁকায় ভীষণ নাছোড় শক্ত দাঁতে
অ্যাড্রিনালিন নিংড়ে দিয়ে লড়তে থাকি দারুণ দ্রোহে
হটতে থাকেন স্বয়ং শমন , চক্রব্যূহের সেই বলয়ে।
তারপরে আর পাইনি দেখা, ভিনদিকে যায় গল্প বয়ে,
জায়গা ছেড়ে গেছো চলে এলাম যখন সারাই হয়ে,
তাই বলে তিল হাল ছাড়িনি, নানান টানাপোড়েন সয়ে
খুঁজে বেড়াই সুযোগ পেলেই, যাক না তাতে সময় ক্ষয়ে
পাগল নাকি প্রেমিক আমি, নাকি বাঁচি অন্ধ মোহে
তা জানিনা,
কিন্তু কারো প্রশ্ন এলে তোমায় খোঁজার এই বিষয়ে..
বুঝিয়ে বলি সফল হবোই , দুজন থাকি একই গ্রহে।