শিক্ষায় চিরকালই শাসকের কুন্ঠা, একবার জ্বেলে দিলে জ্ঞানের উনুনটা,
রাঁধবে যে কী সেটা বোঝা বড় শক্ত, চোখে চোখ রাখে কাল আজকে যে ভক্ত,
পাখি পড়া করে তাকে যে মশলা শেখানো, বুদ্ধিতে ধোঁয়া গেলে মুশকিল টেকানো,
যত বলো ঝাঁঝ হবে ধর্মের তড়কায়, ভিন্ন রকম স্বাদ হালালে ও ঝটকায়,
ওষ্ঠ উল্টে বলে শিক্ষিত রাঁধুনি, মানুষকে বাদ দিলে সবই লাগে আলুনি।
যে খানা পাকানো হয় রাষ্ট্রের কিচেনে, ভাষা জাতি বর্ণের নানাবিধ ভিয়েনে,
সেখানে শিক্ষা ভারী বেয়াদপ খুন্তি, অন্ধ স্তাবক পালে কমে যায় গুনতি,
শেখালেও শিখবে না ঘৃণা আঁচে ভাপানো, ভালোবাসা ঢেলে বলে আরো পাঁচ কাপ আনো,
কেটে নিতে যেই বলে বিভাজন ছুরিতে, মানুষকে ওরা গোটা রেখে দেয় ঝুড়িতে,
কাবাব করতে যদি হিংসার শিক চায়, কিছুতে না পোড়ে যেন তাই দেখে শিক্ষায়।
সুতরাং বড়জোর সাক্ষরই লক্ষ্য, রাষ্ট্রের সাথে নেই শিক্ষার সখ্য,
সাক্ষর যেই ক্রমে স্বাক্ষরে বদলায়, চোখ থেকে পটি খুলে নাগরিক হক চায়।
খুব কষে আঁটা চাই শাসনের বাঁধুনি, ফস্কা গেরোতে বাঁধে শিক্ষিত রাঁধুনি,
শিক্ষার ভ্রমে রাখো ঢেলে দিয়ে নম্বর, না শিখিয়ে ছোটো থেকে ভিত করো কমজোর,
পাশ করা লোক যেন দেশে হয় বাড়তি, নম্বরে চাপা পড়ে শিক্ষার আর্তি,
সত্যিই শিক্ষিত করে দিলে লোককে, মানুষের থেকে নেই রাষ্ট্রের রক্ষে।
উসকিয়ে দিয়ে তাই নম্বরি ঝোঁককে, শাসকেরা বেঁধে রাখে ভাবনার চোখকে।
মন ছুঁয়ে গেল। অপূর্ব!