করোনার জন্য অনেকেই মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত।
এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে কী করবেন?
অনেকেই আছেন যাঁরা কোভিড-১৯ বা করোনার জন্য মানসিকভাবে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ছেন। যাঁরা বাড়ীতে আছেন বা রোজকার কাজে বেরন দুজনেরই অবস্থা কাহিল। বাড়ীতে সময়েই যেন কাটতে চাইছে না। তার ওপর আছে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর খবর। আবার কাজের জায়গায় না চাইতেও অনেক লোকের সাথে মিশতে হচ্ছে। মনে ভয়। তাই সবারই আবেগ ও আচরণগত সমস্যা হচ্ছে বা হতে পারে।
কারা কী ধরনের সমস্যার শিকার হতে পারেন?
সাধারণ লোকেদের ক্ষেত্রে যা হতে পারে-
• ভবিষ্যতের কথা ভেবে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা
• হাঁচি, কাশি বা গলা ব্যথা হলেই অসুখের দুর্ভাবনা মাথায় চেপে বসা
• আগামী দিনে কী হবে সে আশংকায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিস মজুতের চিন্তা
• সোশ্যাল মিডিয়া বা টিভিতে ও নানারকম খারাপ খবরের প্রতি বেশি মন দেওয়া
• আরও বেশি করে মুখ বা নাকে হাত দেওয়া।
যাঁদের সংক্রমণ হয়েছে তাদের সমস্যা হল-
• অসুখের ভয় ও আইসোলেশন এড়ানোর জন্য রোগ লুকিয়ে রাখা
• অসুখ হওয়ার জন্য নিজেকে দোষী ভাবা
• নিজের অসুখ অন্যদের মধ্যে ছড়ানোর জন্য পাপবোধ
• ভবিষ্যতে কী জটিলতা দেখা দিতে পারে তা নিয়ে উদ্বেগ ও প্যানিক
• পরিবারের অন্যদের জন্য অহেতুক দুশ্চিন্তা।
সন্দেহভাজন রোগীদের সমস্যা-
• আলাদা থাকার জন্য একঘেঁয়েমি ও একাকীত্ব
• পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য নিয়ে অহেতুক চিন্তা
• অসুখ বহন করা বা রোগে আক্রান্ত হওয়ার জন্য নিজেকে অপরাধী ভাবা
• নিজের বা পরিবারের কাজ করতে না পারার জন্য অপরাধবোধ।
এজন্য যা যা করতে পারেন?
• সবরকম জল্পনা ও গুজব এড়িয়ে যাওয়া। নাক,মুখ নয় কানটাও ঢাকুন। গুজব ছড়াবেন না।
• ভালো করে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ও সামাজিক ভাবে অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা না করা
• নিজেকে সক্রিয় রাখা
• ব্যালান্সড ডায়েট এর দিকে নজর দেওয়া ও ফাস্টফুড বাদ দেওয়া
• নিজের সাধ্য মত অন্যদের সাহায্য করুন
• কাজ ও বিশ্রামের সামঞ্জস্য রেখে চলুন
• সহানুভূতির সঙ্গে অন্যর সঙ্গে কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা করা। লোককে উপদেশ দেবার আগে তাদের কথা ভালো করে শুনুন। এই সময় কথা শোনার লোকের খুম প্রয়োজন।
• পরিবারে বয়স্ক ব্যক্তিদের দেখুন। ওনারা এই সময় বাচ্চাদের মতোই ব্যবহার করছেন।
• নিজের হবি ও রোজকার রুটিনকে নতুন রূপ দেওয়া।নিজের জন্য সাজুন।
• বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়দের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখা।
নিজেকে খুশি রাখতে পারাটাই বড়ো কথা।