বাঙলাদেশের কোনো এক সেনাপতির কোলকাতা দখল করার হুমকিকে লোকে সিরিয়াসলি নিচ্ছে দেখে শেষ অব্দি ভিডিওটা দেখলাম। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, রবি ঘোষের চেয়েও উচ্চমানের পারফরম্যান্স। অত্যন্ত প্রশিক্ষিত এবং প্রফেশনাল অভিনয়। উন্নত কমেডি সিনে অভিনয় করার সময় যে অভিনেতার নিজের হাসা উচিত নয়, বরং গম্ভীরমুখে মজার কথা বললে দর্শক অনেক বেশি হেসে আনন্দ পায়, সেটা এঁরা জানেন দেখলাম।
তারপর খোঁজ নিয়ে দেখি এরা ‘প্রাক্তন’ সেনাকর্তা, বর্তমানে একটি রাজনৈতিক দলের নেতা। যেই মুহূর্তে জানতে পারলেন যে এরা রাজনৈতিক নেতা, সেইমুহূর্তেই কি এদের কমেডি শোয়ের আসল উদ্দেশ্য আপনার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল না? আরে ভাই, এরা ভারতকে হুমকি দিতে চাইছে না, হুমকি দেবার ভান করে বাজার গরম করে নিজের দেশের মানুষকেই বিভ্রান্ত করতে চাইছে, যাতে নিজেরা সব লুটেপুটে খেতে পারে। এরকম বক্কাবাজ এবং ধড়িবাজ নেতা কি আমাদের দেশেও আমরা প্রচুর দেখি না?
না, কোনো সবুজ বিমান কোলকাতা শহরে বুড়িমার চকোলেট বোম নিক্ষেপ করার উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে রওনা দেয়নি। কোলকাতার আসল বিপদ এই শহরের রাস্তাতেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর জি কর, কুলতলি, পটাশপুর, কৃষ্ণনগর, ন্যাজাট… কোথাও অপরাধী উড়ন্ত সাবমেরিনে কাঁটাতার পেরিয়ে এসে ধ র্ষ ণ, খু ন করে আবার ওপারে ফিরে যায়নি। এখানেই ছিল, এখানেই আছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বহালতবিয়ত।
রিল্যাক্স করার জন্য অন্য দেশের ঢপবাজ রাজনীতিবিদদের নিয়ে মাঝেমধ্যে মিম বানানো যেতেই পারে, কিন্তু নিজেদের দেশের গ্রাম-শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো শ্বাপদ আর তাদের রাজনৈতিক প্রভুদের ভুলে গেলে চলবে না। তাদের নিয়ে স্রেফ মিম বানালেও চলবে না৷ প্রতিরোধ করতে হবে। শহর, রাজ্য, দেশ সত্যিই বেদখল হয়ে যাচ্ছে… অপরাধীদের হাতে। আটকাতে হবে।
“আমার মাটি, আমার মা
ধ র্ষ কদের হবে না।”
দেখা হোক শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর দুটোয় রাণুছায়া মঞ্চে।