২৮.১০.২০২৪
১৪২. কথায় আছে, “mother of thief sounds most”- এটা অবশ্য দিদির কথা, আসল কথা হলো চোরের মায়ের বড় গলা। আসলে গলা বড় না করলে অফেন্সের মাধ্যমে ডিফেন্সটা যে ঠিকঠাক করা যায়না! কিন্তু বুদ্ধিমান লোকেরা গলা বড় করার আগে চুরির তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার কাজটা সেরে রাখেন। ঠিক যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী অভয়ার দেহ পুড়িয়ে টুড়িয়ে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সব প্রমাণ মুছে ২৪ঘন্টা পর মুখ খুলেছিলেন। ঠিক যেমন সন্দীপ ঘোষও সুন্দর দাড়ি টাড়ি কামিয়ে রিমলেস চশমাটা লাগিয়ে পদত্যাগ দিয়ে রাজ্যবাসীকে ধন্য করেছিলেন। ঠিক একইভাবে তাঁর অনুজরা নিজেদের একটু বেশ গুছিয়ে নিয়ে খোপ থেকে বেরিয়ে এসেছে। এর মাঝে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডের নামে তাদের আরজিকরে উপস্থিতিও জাস্টিফাই করা হয়ে গেছে সরকারের। এবার থ্রেট কালচারের মাথা অভীক দে, বীরূপাক্ষ বিশ্বাস সগর্বে মিডিয়ার সামনে বক্তব্য রাখছে। তারা নাকি নিজেদের কাজ নিয়েই থাকে, এসব মিথ্যা অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে!! একই সুরে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. শ্যামাপদ দাস, নিন্দুকেরা যদিও বলেন তাঁর অঙ্গুলিহেলনে নাকি গোটা স্বাস্থ্য দপ্তর চলে!! সবার মুখেই এক স্বর- না জাস্টিস ফর আরজিকর না। তারা বলছে, প্রমাণ করে দেখা!! অর্থাৎ এরা প্রমাণ লোপাটে এতটাই সিদ্ধহস্ত যে এরা জানে, কোনোভাবেই এদের কোনো কুকীর্তিই প্রমাণ করা সম্ভব হবেনা।
১৪৩. যাইহোক, এইসব ডাকাতদের রানীর সঙ্গে নবান্নে বৈঠক হলো জুনিয়র ডাক্তারদের। এর চেয়ে আইরনিক্যাল আর বুঝি কিছু হয়না পৃথিবীতে!! যে আন্দোলন পুলিশ কমিশনারকে সরিয়ে দিল ক্রাইম সীন সিকিওর না করতে পারার দোষে, যে আন্দোলন ডিএমই, ডিএইচএস-দের সরিয়ে দিল প্রমাণ লোপাটের দোষে- সেই আন্দোলনই ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছেও আসল মানুষটার পদত্যাগ দাবি জানাতে পারলো না, রাজনীতির রং লেগে যাওয়ার ভয়ে। শুধু তাই নয়, ন্যায়বিচারের দাবি নিয়ে হাত পাততে হলো তার কাছেই, যিনি আপাতভাবে এই সব কিছুর মূল উদ্যোক্তা!!
অভয়ার খুন কি উদ্দেশ্যে হয়েছিল আমরা জানিনা। বিভাগীয় নিম্নমানের ওষুধের চক্রের ব্যাপারে জানাজানি হওয়ায়, নাকি থিসিস নিয়ে বিভাগীয় থ্রেট কালচারের অনিবার্য ফলশ্রুতিতে! সেই দুর্নীতি হোক বা সেই থ্রেট কালচার- দু’টোরই মূল মাথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য সচিব অব্দি আন্দোলন পৌঁছলো, তার উপর আর উঠলো না। যে পুলিশ শুধু প্রমাণ লোপাটের মূল কাণ্ডারীই শুধু নয়, আন্দোলনের কণ্ঠরোধের মূল চালিকাশক্তি- সেই পুলিশের মাথায় বসে থাকা পুলিশমন্ত্রীকে জবাবদিহি দিতে হলো না। সর্বোপরি যে মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে স্বাধীন ভারতের তর্কসাপেক্ষে ঘৃণ্যতম অপরাধ হলো এবং সেটা প্রশাসনিক তৎপরতায় ধামাচাপা দেওয়া হলো, সেই মুখ্যমন্ত্রী স্বগরিমায় চেয়ারে থেকে গেলেন।
১৪৪. অবশ্য এটাই গণতন্ত্রের নীতি। বাংলাদেশের মতো অরাজকতার আন্দোলন এটা ছিল না, সশস্ত্র আন্দোলন তো নয়ই। তাই নবান্নের ছাদ থেকে তিনি হেলিকপ্টারে পালাবেন এই স্বপ্ন আমরা দেখিনি। তবে এটুকু আশা ছিল, একটা স্বচ্ছ তদন্তে অভয়ার খুনিরা না হোক, যে প্রশাসনিক প্রধানরা তথ্য লোপাট করেছেন অন্তত তাঁদের পরিচয়টা উঠে আসবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দৈন্য দশার পেছনে থাকা দুর্নীতিবাজরা অন্তত বেরিয়ে আসবে। থ্রেট কালচারের মাথাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আরেকটা অভয়া হওয়া অন্তত আটকানো যাবে।
কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্র এতটাই পোক্ত একটা ব্যবস্থা, যেখানে শাসক কোনোদিন দোষী হয়না। প্রকাশ্য দিবালোকের মত পরিস্কার এই তথ্যলোপাট নিয়ে শুধু তদন্তই হলো, সত্তর দিনে কোনো কিনারা এলো না। দেশের বাঘা বাঘা নেতারা একটা শব্দ খরচ করলেন না। কারণ এখানে কথা বললে হাথরাসের প্রসঙ্গ আসবে, মণিপুরের প্রসঙ্গ আসবে, ভিনেশের কথাও হয়তো উঠবে। তার চেয়ে বরং নারীনির্যাতনের প্রসঙ্গ এড়িয়ে চলাই ভালো! যে দেশে একটা ধর্ষণের বিচার হতে হতে বিভিন্ন প্রান্তে শতাধিক ধর্ষণ হয়ে যায়, সেদেশে মেয়ে হয়ে জন্মানোটাই তো পাপ- সেই পাপীদের বিচারের অধিকারই বা কী আছে!!
১৪৫. ডাক্তারদের অবশ্য বিশেষ কিছু করণীয় ছিল না। তারা চাইলেই বিজেপি-সিপিএমের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে পারতো, কিন্তু তাতে অভয়ার প্রতি কোথাও একটা অবিচারও বুঝি হতো। অন্তত দিনের শেষে আন্দোলনের ‘অরাজনৈতিক’ ভাবমূর্তিটুকু থাক।
তবে একজন কর্তব্যরত ডাক্তারের খুন-ধর্ষণে রাষ্ট্রব্যবস্থার আরেকটু তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত বা ন্যায়বিচারের সামান্য আশা বুঝি আমরা করেছিলাম। রাস্তায় লড়াই করেছি আমরা, আইনি লড়াইতেও অংশ নিয়েছি- তবে এটুকু বুঝেছি সাধারণ মানুষ যতটা বিচার চায়, বিচারক হয়তো চান না! বা গণতন্ত্রে বুঝি এত সহজে সব চাওয়া যায়না।
অগত্যা দিনের শেষে সাংবিধানিক প্রধানের কাছেই যেতে হয়েছে- কারণ গরমেন্ট বলে একটা (অ)পদার্থ আছে, আপনি মানুন আর নাই মানুন!! আর অনশনকারীদের স্বাস্থ্যের ক্রমশ অবনতির কথা ভেবে একটা মধ্যস্থতায় আসতেই হতো এবার।
১৪৬. মিটিং হলো, তাও আবার লাইভে- মেঘ না চাইতেই জল!! এতদিনের লাইভে না আসার নাটকের কী ব্যাখ্যা থাকলো জানা নেই। মিটিংয়ের মূল উপজীব্য অনিকেতের বক্তব্য, “বলতে দিলে তো বলবো!!” মিটিং কম, মমতা ব্যানার্জির ভোটের বিজ্ঞাপন বেশি সেটা। সেই চিরাচরিত মিথ্যা বুলি- ডাক্তার বানাতে এক কোটি খরচ, স্পেশালিস্ট বানাতে দু’কোটি খরচ (হিসাব দেখতে পারলে কালই কোর্স ছেড়ে দেব), স্বাস্থ্যে পশ্চিমবঙ্গ ভারতের মধ্যে এক নম্বর (এদিকে ভেলরে বাঙালির সংখ্যা এক নম্বর) ইত্যাদি নানা ভাঁওতাবাজির কথাবার্তা আমরা শুনলাম। সমস্ত কলেজের অধ্যক্ষদের ডেকে একটা কথা বলতে না দিয়ে শুধু নিজের কথায় “হ্যাঁ হুজুর” বলানোও আমরা দেখলাম (এনাদের মানসম্মান অবশ্য বহুদিন আগেই জলাঞ্জলি হয়ে গেছে)। শুধু তাই নয়, থ্রেট কালচারের মাথাদের বিরুদ্ধে সব কলেজে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো সবই উনি নাকচ করে দিলেন। আহা তৃণমূলী ‘গুণ্ডাক্তার’দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস হয় কীকরে!! যতই তারা থ্রেট দিক, তোলাবাজি করুক, মলেস্টেশন করুক- তারা তো ডাক্তার নাকি!! যতই এনএমসি-র গাইডলাইন মেনে কলেজ কাউন্সিলের মতো একটা বডি এই সিদ্ধান্ত নিক না কেন! মুখ্যমন্ত্রী কলেজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কমিটি ‘কলেজ কাউন্সিলে’র স্বায়ত্তশাসন নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন। সরকারি সব হাসপাতালে থ্রেট কালচারের আসল প্রাণভোমরা কে সেটা এই বৈঠকে জলের মতো পরিস্কার হয়ে গেল!!
১৪৭. তবে বলতে না দিলেও বলা হয়েছে- শালীনতা বজায় রেখে যতটা বলা যায় আর কি! যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকে যে অভিযুক্ত বলা হয়, এই বেসিক বাংলাটুকু মুখ্যমন্ত্রীকে শিখিয়ে এসেছে আমাদের মনীষা। কলেজে বহিষ্কৃত ছাত্রদের হয়ে যে গলা ফাটাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, তারা ‘নটোরিয়াস ক্রিমিনাল’ বলে এসেছে অনিকেত। ১৭ দিন ধরে অনশনের পর নবান্নে তারা চা খেতে আসেনি, সেই বার্তাটাও পৌঁছে দিয়েছে ভালোভাবেই।
কিন্তু কাজের কাজ বিশেষ কিছুই হয়নি। অভয়ার ন্যায়বিচার এখনো আদালতের বিচারাধীন- তাই সেই বিষয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। স্বাস্থ্যসচিবকে নিয়ে কোনো অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী শোনেননি। বাকি রেফারেল সিস্টেম, বেড ভ্যাকানসি ইত্যাদির প্রতিশ্রুতি দিতে বেশি কষ্ট হয়নি- উনিও জানেন এতে হাসপাতালে দালালচক্র বন্ধ হয়ে যাবে যে ভেবেছে, সেও মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। টাস্ক ফোর্স নিয়ে অনেক কথাবার্তা হয়েছে- মতানৈক্যের জায়গা যা ছিল শুরুতে, শেষেও তাই থেকেছে। নির্বাচনের দাবি নিয়ে অনেক শব্দব্যয় হয়েছে- তার দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে নভেম্বর-ডিসেম্বর-জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পেরিয়ে মার্চে- এবং কেন ঠিক হয়েছে, সেটাও ক্রমশ প্রকাশ্য।
১৪৮. অবশেষে এই বৈঠকের পর অভয়ার মা-বাবার অনুরোধকে সামনে রেখে অনশন তুলে দেওয়া হলো। অহিংস আন্দোলনের সর্বোচ্চ রূপ অনশন- অর্থাৎ এরপর হাতে অস্ত্র তুলে না নিলে এটাই হয়তো আন্দোলনের সর্বোচ্চ বিন্দু ছিল। এবং সত্যি বলতে ৭০ দিনের আন্দোলন ও ৩৮৫ ঘন্টা অনশনের পর আমাদের পাওনা বলতে শুধু একটাই, গণজাগরণ। অভয়ার বিচারের ধারেকাছে আমরা নেই, কোনদিন আসতে পারবো কিনা সেটা সিবিআই ও সময়ই বলতে পারবে! আরেকটা অভয়া হওয়া আটকানোর জন্য কলেজে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা যা পেয়েছি, সেটা দিয়ে ১৭দিনের অনশনকে জাস্টিফাই করতে বেশ কষ্ট হয়।
আন্দোলন ভবিষ্যতেও চলবে, এই প্রতিশ্রুতি বুকে নিয়ে আমরা এগোব হয়তো, কিন্তু এই উচ্চতায় আবার আন্দোলন পৌঁছাবে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ অবশ্যই থাকলো। শনিবার গণ কনভেনশনের মাধ্যমে আবারো আন্দোলনের পথ চলা শুরু হলো, গন্তব্য সেই একই- অভয়ার বিচার।
১৪৯. গল্পটা এই অব্দি শেষ হলে খুব সাধারণ হয়ে যেত। খলনায়ক হিসাবে তৃণমূলের চরিত্রায়ণটা পূর্ণতা পেতনা। তারা ঠিক কোন লেভেলের নির্লজ্জ এবং এদের বিবরণ যে সাহিত্যের গণ্ডির ঊর্ধ্বে সেটা কিছুতেই বোঝানো যেতনা। তাই গল্পের টুইস্টটাও একটু বলে নেওয়া ভালো।
বিভিন্ন কলেজে থ্রেট কালচারের মাথারা, যারা এমবিবিএস পড়ার সময় থেকেই শিখছে- কীভাবে পড়াশোনা না করেও পাশ করা যায়, কীভাবে ফেস্টের টাকা নয়ছয় করা যায়, কীভাবে সহপাঠী মেয়েদের নৈশ-পার্টির মদের আসরে নাচতে বাধ্য করা যায়- এরা এতদিনে জেগে উঠেছে মমতা ব্যানার্জির সেই অভয়বাণী শুনে। শুধু জেগেই ওঠেনি, তারা দলও বানিয়েছে- ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন এবং আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতিও তারা নিচ্ছে। এখানে মনে করিয়ে দিতে চাই, মুখ্যমন্ত্রী ভোটে রাজি হয়েছেন মার্চ মাসে- মার্চ মাস অব্দি কারা কীসের প্রস্তুতি নেবেন সেটা নিশ্চয়ই এতক্ষণে পরিস্কার… যাকগে সেসব কথা…
একবার ভাবুন, চব্বিশ-পঁচিশ বছর বয়সের যুবক এরা। নোংরামো করেছে, ধরা পড়েছে, কলেজ থেকে এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। আমাদের মা-বাপ এসব শুনলে আমাদের সাথে ঠিক কী করতো ভাবতেই ভয় লাগছে!
কিন্তু এরা তারপরও বুক চিতিয়ে ক্যামেরার সামনে এসে বক্তব্য রাখছে। বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই, বিন্দুমাত্র প্রায়শ্চিত্তের প্রশ্ন নেই। এটা হচ্ছে তৃণমূলের শক্তি, এটা মমতা ব্যানার্জির অনুপ্রেরণার দান, এটা কুণাল ঘোষের অভিজ্ঞতার দান। এ স্বাদের ভাগ হবেনা।
১৫০. যাইহোক, আপাতত গল্পের ইতি এখানেই থাক- বাকি গল্প আবার কোনোদিন হবে। তবে শেষে একটা কথা বলতে চাই, আন্দোলনের একটা শুরু থাকে, তেমনি তার শেষও থাকে। যারা আন্দোলন শুরু করে, সাধারণত তার শেষ কোথায় সেই রূপরেখাও তাদের ঠিক করতে হয়। কিন্তু প্রতিবাদের কোনো শুরু বা শেষ থাকে না। আজ আমরা যে অমানিশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তার একটাই কারণ- প্রতিবাদের অভাব। অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করতে করতে এটাই আমাদের অভ্যাসে দাঁড়িয়েছে, দুর্ভাগ্যের কথা অভ্যাসটা শাসকেরও হয়ে গেছে। এই অভ্যাসটুকু কাটিয়ে দিতে পারলেই সেটাও অভয়ার জন্য অনেক পাওনা।
অভয়ার বিচারের লড়াই আপনারও লড়াই, সরকারি হাসপাতালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই আপনারও লড়াই, স্বাস্থ্যের অধিকারের লড়াই আপনারও লড়াই, সাথে সাথে আপনার পাশে হয়ে চলা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইও আপনার লড়াই। এই লড়াই আমাকে-আপনাকে লড়তে হবে, নয়তো এই দুর্নীতিগ্রস্ত হায়নার দল আমাদেরও ছিঁড়ে খাবে।
আগামী দিনে আন্দোলন কোন পথে চলবে জানিনা, তবে আমাদের প্রতিবাদ, আমাদের লড়াই যেন জারি থাকে প্রতিনিয়ত।।
WE WANT JUSTICE…