ডোনাল্ড ট্রাম্প গল্ফ কোর্সের একপ্রান্তে গাছের ছায়ায় মাথা নীচু করে বসেছিল। মাথায় লাল গল্ফ ক্যাপ, পাশে গল্ফের ‘টি’। করোনা ভাইরাস গুটিগুটি পায়ে পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।
‘কি ব্যপার, মজা দেখতে এসেছ? চাইনিজ ভাইরাস কোথাকার!’
‘বলছিলাম যে, এত ভেঙ্গে পড়েছেন কেন? হারজিত তো থাকেই জীবনে। এই যেমন আমি, সব জায়গায় ছেয়ে গেছি। কিন্তু তাইওয়ান,নিউজিল্যান্ড,ভিয়েতনামে কি জিততে পারলাম?’
‘ভিয়েতনাম। ভিয়েতনাম। ওই নাম আমার সামনে উচ্চারণ করবে না। জন ম্যাকেন-ও হেরে এসেছিল। লুজার কোথাকার! আমি হলে……’
‘আপনি হলে! আপনি হলে কি করতেন শুনি?’
‘আমি হলে কখনো ছেড়ে পালিয়ে আসতাম না!’
‘হেরে যাওয়ার পরে কি করতেন?’
‘হেরে যাওয়া আমার রক্তে নেই। ছেড়ে যাওয়া তো আরো নয়।’
‘কিন্তু আপনার গিন্নী তো আপনাকে ছেড়ে যাবে বলছে।’
‘বেইমান, সব বেইমান। স্লোভেনিয়া থেকে এসে ফ্যামিলি শুদ্ধ ফ্যা ফ্যা করে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। ধরে নিয়ে এসে সিটিজেনশিপ দিয়ে দিলাম। তার এই প্রতিদান?’
‘কি দুঃখু! তবে গিন্নীর কথা থাক। একটা গিন্নী গেলে আর একটা আসবে। কিন্তু একবার হোয়াইট হাউস ছাড়লে তো সোজা ফেডারেল জেল।’
‘আরে আমার অপোগন্ডগুলো-কে এসব কে বোঝাবে! তারপর বাইডেনকে বিশ্বাস আছে? চায়না-রাশিয়ার ব্যাঙ্ক থেকে কি খুঁড়ে বের করবে কে জানে!’
‘আপনার আরো আগে থেকে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।’
‘ কি রকম?’
‘এই সব ব্যালট-ফ্যালটে কেউ ভোট করে না কি? যত্তসব ব্যাকডেটেড ব্যাপার। ইলেকট্রনিক্স ইস্সামাল করুন, ইলেকট্রনিক্স। একবার খেলাটা বুঝে গেলে ক’টা নিজে নেবেন, ক’টা বাইডেনকে দেবেন- সব আপনার হাতে।’
‘ঠিকই বলেছ। সেবার ভিবকানমুনমুন নিয়ে মাতাতাতি না করে ওইটা শিখে এলে কাজে দিত।’