দেখো ভাই, রোজ খায় কোভিডের ভাইরাস,
খেয়ে খেয়ে সংখ্যায় বেড়েছে সে ছয়মাস।
তার মানে , ব্যাটাদের খিদেটাই মুখ্য,
কিন্তু সবাই জানে দেহ তার সূক্ষ্ম,
কাজেই খেতে না দিলে চব্বিশ ঘন্টা,
নির্ঘাত অনাহারে হারাবে জীবনটা,
অত ছোটো দেহে আর কত জমে পুষ্টি,
উপোসেই যাবে মারা জীবাণুর গুষ্টি।
কেন যে আসেনি আগে মগজে এ থিওরি,
নোবেল প্রাইজ ধরো মোটামুটি সিওরই,
ঘরে যদি থাকো সব হপ্তাতে দুইদিন,
ভাইরাস মরে যাবে, লাগবে না ভ্যাক্সিন।
তার ওপরে ভেবে দেখো, মন্দায় বাজারও
কষ্টের গল্পরা রোজ জমে হাজারো,
এখন দুদিন নেই সপ্তাহে খরচা,
স্রেফ বাড়ি বসে করো ফেসবুক চর্চা,
তার মানে ভাবো দেখি কতটাকা বাঁচলো,
আও ভাই, ফূর্তি মে ঝুমো গাও নাচ লো,
যেইদিনে ভাইরাস খালি পেটে কাতরায়,
তোমাদের থালা ভরা ইলিশ বা কাতলায়,
একদিন আগে গিয়ে ভিড়ে ভরা বাজারে,
দোকানীকে বলে দিও থলে ভরে সাজা রে,
পয়সা কোথায় পাবে? শুনছো না, ধুত্তোর,
নিখরচ দিন দিই, তবু চাও উত্তর?
স্বপ্ন দেখছি জানো বিনা গাঁজা কল্কে,
এ থিওরি পৃথিবীর পাল্টাবে ভোলকে।
আগামীর আগমন কতজনা পাস টের,
দমদমে নামবেই প্লেন সব রাষ্ট্রের।
খালি পেটে মেরে যদি ভাইরাস সামলায়,
হু’এর সদর হবে জেনো এই বাংলায়।
ওরে ও দুঃখীজন, জ্বরভয়ে ভাবিত,
এইবারে দেশ হবে চাকরীতে প্লাবিত,
মাভৈ মন্ত্র জপে সপ্তাহে দুটো দিন,
ঘরে থাকো, ভাইরাস অনাহারে হবে লীন।
মুচকি হাসছো যারা ঠোঁটে এনে ব্যাঙ্গ,
দ্রাক্ষার মতো জানি টক লাগে ম্যাঙ্গো
হবেই তো, এ থিওরি তোমরা তো ভাবোনি,
পুরস্কারের বুঝি ওই এলো প্লাবণই,
ওসলোতে নিতে যাবো মেডেল আর চেকটা
বাংলাতে আসবেই নোবেল আরেকটা।
আপাতত চলি ভাই, বাকি আছে কার্য,
ভাইরাস উপোসের দিন করি ধার্য।