একদিকে জামাতি, অন্যদিকে অতি বাম আর মাঝখানে বাকি সবাই
মাননীয় বুদ্ধবাবু,
লোকটা সত্যি বোকা! যাকে তাকে বিশ্বাস করলেন আর তারা সুযোগ পেয়েই পালটি খেয়ে ছেড়ে পালাল। লোকটা জানতেন চাষির ছেলেমেয়েরা সবসময় চাষি হয় না। তাদের জন্য কর্মসংস্থান দরকার। জানতেন ভারী শিল্প অসংখ্য অনুসারী শিল্পের জন্ম দেয়। কর্মসংস্থানের জোয়ার আসে। এই বোকা লোকটাকে বিশ্বাস করে বিদেশ ছেড়ে দেশের মাটিতে ফিরে আসা। কিন্তু বাঙালির উপকার হবে আর বাঙালি মেনে নেবে তা হয় নাকি!
একদিকে জামাতি, অন্যদিকে অতিবাম আর মাঝখানে বাকি সবাই, সে এক অপূর্ব মিলন ক্ষেত্র! মিথ্যার বেসাতি সাজিয়ে লোকটাকে টেনে নামাল। তারপর পাড়ায় পাড়ায় ছেলেমেয়েরা পরিযায়ী পাখির মতো সুদূরের রাজ্যে পাড়ি দিল। শহর-গ্রাম এখন সংগঠিত বৃদ্ধাশ্রম।
এই ক্ষতি সামলাতে বাংলার আরও পঞ্চাশ বছর লাগবে। তবু সেই বোকা লোকটার সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি কিন্তু আজও অমলিন।
ইতি, ডক্টর অর্জুন দাশগুপ্ত
৩ এপ্রিল, ২০২৩
‘খোলা চিঠি মাননীয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সমীপেষু’ গ্রন্থে প্রথম প্রকাশিত।
৮ই আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে এই চিঠিটি পুনঃপ্রকাশ করা হল।