কলেরার কারণ নির্ণয়ে যেমন বিশিষ্ট ভূমিকা ছিল বাঙালি চিকিৎসাবিজ্ঞানী শম্ভুনাথ দের তেমনই কলেরার চিকিৎসার গবেষণাতেও দু’জন বাঙালি চিকিৎসাবিজ্ঞানীর কথা বলতেই হবে। একজন হচ্ছেন হেমেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যজন দিলীপ মহলানবীশ (১৯৩৪-২০২২)। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা দেখছি একদিকে বহুলোক যুদ্ধক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অন্যদিকে বাস্তুহারাদের মধ্যেও কলেরার প্রকোপ বাড়ছে। তাদের জন্য ভাবছেন দিলীপ। তবে তাঁর আগে এই নিয়ে গবেষণা করেছেন হেমেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। ১৯৫৩ সালের দ্যা লান্সেট-এ তাঁর গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। এই প্রবন্ধে কলেরায় বমি নিয়ন্ত্রণ এবং মুখে খাওয়ানো যায় এমন তরল ব্যবহারের কথা বলছেন তিনি। তরলটা শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরা ধমনীতে না পৌঁছে মুখের ভিতর দিয়ে খাওয়ানোর কথা বলা হচ্ছে। ১৯৫৩ সালে নভেম্বর মাসে লেখাটা বেরোচ্ছে। তাঁর গবেষণায় বলা হচ্ছে যে, তিনি ডায়েরিয়া কমানোর জন্য পাথরচুর গাছের পাতার রস রোগীদের খাওয়াচ্ছেন। মনে রাখতে হবে তখনও ওআরএস-এর আবিষ্কার হয়নি। তিনি বলছেন গাছের পাতার রস রোগীকে খাওয়ানো হলে ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে আসছে অনেক দ্রুত। মৃত্যুর হারও অনেক কমে যাচ্ছে। ১৯৫২-৫৩ সালে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালের কলেরা ওয়ার্ডে ১০৯৩ রোগী ভর্তি হয়েছিল। তাঁদের চল্লিশ শতাংশ প্রচণ্ড বমি করেছিল। বমি কমানোর ওষুধ অ্যাভোমিন দিলে প্রত্যেকের বমি নিয়ন্ত্রণ হয়েছিল। আর ডায়েরিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য দেওয়া হয়েছিল পাথরচুরের পাতার রস। বমি ও ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে এসে গেলে জল খাইয়ে রোগীদের রোগমুক্ত করা হয়েছিল। ফলে গাছের পাতার রস খাইয়ে যে কলেরা রোগের চিকিৎসা করা যেতে পারে সেটা হেমেন্দ্রনাথ ভেবেছিলেন। ১৯৯৪ সালে বেরোয় জেএন রাক্সিন-এর ‘ম্যাজিক বুলেট: দ্য হিস্ট্রি অফ ওরাল ডিহাইড্রেশন থেরাপি’। এই প্রবন্ধে হেমেন্দ্রনাথ চ্যাটার্জির কথা উল্লেখ করা হয়।
এবার চলে আসি দিলীপ মহলানবীশ-এর গবেষণা প্রসঙ্গে। ১৯৭৩ সালে তাঁর “Oral fluid therapy of cholera among Bangladesh refugees” শীর্ষক এক গবেষণাপত্র বেরোয়। কলেরার থেরাপি হিসেবে মুখে খাওয়া যায় এমন তরল খাওয়ানোর যে কাজ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে হয়েছিল তার কথা তিনি সেই গবেষণাপত্রে লিখেছিলেন। একটা টিম সেখানে একসাথে কাজ করেছিল ডাক্তার দিলীপ মহলানবিশের নেতৃত্বে। তবে প্রদীপ জ্বালানোর আগে একটা সলতে পাকানোর পর্ব ছিল। দিলীপ মহলানবীশের এই কাজের শুরু কলকাতায়, বেলেঘাটা শিশু হাসপাতালে। সেখানকার কলেরার ওয়ার্ডে তখন ঢুকতেন না ডাক্তার ও নার্সরা। জনা কয়েক ওয়ার্ডবয় স্যালাইনের বোতল চালিয়ে দিত শিশুদের শরীরে। ওয়ার্ডে বাবা-মাকে ঢুকতে দেওয়া হতো না। জানলার বাইরে তাঁরা থাকতেন। ওয়ার্ডবয়রা জানলা খুলে শিশুদের দেখিয়ে দিত। বাবা-মা ব্যস্ত হয়ে উঠতেন। একেই অপুষ্টিতে ভোগা দুর্বল এতটুকু বাচ্চা, তার উপর ডায়রিয়া হয়েছে। ফলে শিশুর অবস্থা একটু ভালো হলেই রিস্ক বন্ড সই করে শিশুকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যেতেন মা-বাবারা। বন্ডে সই করে বাচ্চা নেওয়ার সময় ওয়ার্ডবয় বলতো ‘এই দেখুন আমি ছিলাম স্যালাইন দেওয়ার সময় আমাকে বকশিশ দিয়ে যান’। ফলে ‘ডিসচার্জ অন রিস্ক বন্ড’ সই করিয়ে ওয়ার্ডবয়দের হাতে দু-চার পয়সা আসতো। মহালানবীশ এই অবস্থায় কাজ শুরু করলেন। তিনি দেখলেন, বাচ্চাদের অসুখ সম্পর্কে বুঝতে গেলে প্রতিটি শিশুর প্রতি নজর রাখতে হবে। অসুস্থ শিশুর মল এবং বমি হওয়াও স্বাভাবিক। কাজ করতে গেলে মল বমি ঘাঁটতে হবে। তিনি নার্স চাইলেন। হাসপাতাল থেকে বলা হল, কোন নার্স কলেরা ওয়ার্ডে কাজ করতে রাজি হবেন না। তখন তিনি বললেন, ‘আমি যেকোনো পাশ করা ছেলে কে নিয়ে তাদের কাজ শিখিয়ে নিই?’ তাতে কর্তৃপক্ষ রাজি হল। এবার তিনি তাঁর পাড়ার কিছু ছেলেকে কাজে ঢোকালেন। চাকরির শর্ত হলো একটাই। তিনি যা যা করবেন তাদেরও সেটা করতে হবে।
সময়টা হচ্ছে মোটামুটি ষাটের দশকের শেষের দিকে। গবেষণা শুরুর কদিন পরেই সমস্যা দেখা দিল ওয়ার্ডবয়দের নিয়ে। রোগীদের ওপর চিকিৎসার প্রভাব কি পড়ছে বুঝতে গেলে প্রতিটা শিশুকে নির্দিষ্ট সময় ধরে নজর রাখতে হবে। এবার গবেষণা করার নিয়ম অনুসারে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ অফ কন্ট্রোলে দুটো ভাগে ভাগ করা হল শিশুদের। এক ভাগকে স্যালাইন দেওয়া হল অন্য ভাগকে খাওয়ানো হল ওআরএস। উদ্দেশ্য: কোন চিকিৎসা কতটা কার্যকরী তা দেখা। স্যালাইন এবং ওআরএস দেওয়ার পাঁচ-ছয় ঘণ্টা পরপর তাদের রক্তের নমুনা নিয়ে তাতে বিভিন্ন উপাদানের অনুপাত বিচার করা হতে লাগল। কিন্তু ওয়ার্ডবয়রা তাদের উপরি রোজগারের পথ খোলা রাখতে পয়সা নিয়ে রোগী ছেড়ে দেওয়ার প্রথা বহাল রাখলো। এরকম হলে তো যাবতীয় গবেষণা মাঠে মারা যাবে। বাচ্চা ছেড়ে দিলে স্যালাই্ন এবং ওআরএস কোনটা বেশি কার্যকর তা তো বোঝা যাবে না। ফলে প্রথমে দরকার বাচ্চা ছেড়ে দেওয়া আটকানো। মহলানবীশ ওয়ার্ডবয়দের অনুরোধ করলেন কিন্তু তাতে কোনো লাভ হলো না। তাহলে কী করা যায়? যাদের তিনি নিয়োগ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে থেকে এবার দুটো ছেলে বলল, ‘স্যার, আমাদের উপর ছেড়ে দিন’।ক’দিন পরে দেখা গেল, টাকা নিয়ে বাচ্চা ছেড়ে দেওয়া বন্ধ হয়েছে। হাসপাতালে প্রায় এক বছর ধরে চলল গবেষণা। গবেষণা করে যা পাওয়া গেল তা দিয়ে একটা পেপার তৈরি করে ১৯৭০ সালে পাঠানো হলো আমেরিকান জার্নাল অফ পেডিয়াট্রিক্সে। সেই পেপারে বলা হল, অন্ত্র থেকে নুন চিনির দ্রবণ শুষে নেওয়ার যে প্রক্রিয়া, তা ডায়রিয়া হলে অব্যাহত থাকে। অর্থাৎ রোগীকে জল খাওয়ানো গেলে ডিহাইড্রেশন ঠিক হতে পারে। অর্থাৎ বোঝা গেল, ওআরএস দিয়েও স্যালাইনের মতো ফল পাওয়া যায়। তার মানে অনেক আগেই কাজটা হয়েছিল। ব্যাপারটা এমন নয় যে সব মুক্তিযুদ্ধের সময় হল। তিনি গবেষণালব্ধ ফল নিয়ে তিনি পেপার লিখেছিলেন যা মুক্তিযুদ্ধের আগে প্রকাশিত হয়নি।
১৯৭১-এ শুরু হল মুক্তিযুদ্ধ। বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্ত মানুষ আসতে লাগলেন এপারে। তারা একই ক্লান্তিতে অনাহারে অর্ধমৃত,তার উপর মে মাসের প্রচণ্ড গরমে দেখা দিল কলেরা। রিফিউজি ক্যাম্পে অবর্ণনীয় অবস্থা। আইডি হাসপাতালের টিম নিয়ে বনগাঁ সীমান্তের ক্যাম্পে কলেরা নিয়ন্ত্রণের কাজে নেমে পড়লেন মহালানবিশ। কাজে নেমে দেখলেন মহা সমস্যা। কলেরার রোগীদের স্যালাইন দিতে গেলে দরকার উঁচু জায়গায় একটা কাঠামো তৈরি করা, যেখানে বোতলটা আটকে দিতে হবে। সেখান থেকে ফোঁটা ফোঁটা করে স্যালাইন নামবে।ফলে এই প্রক্রিয়াটাতে একটা খাট দরকার যেখানে রোগী শুয়ে থাকবেন আর তা ছুঁচের মধ্যে দিয়ে তার শরীরে স্যালাইন প্রবেশ করবে। সমস্যা আরও; ছুঁচ ফোটাতে গেলে অভিজ্ঞ লোক দরকার। আক্রান্তের সংখ্যা যখন এতটাই বেশি তখন কোথায় মিলবে খাট, কোথায়ই বা পাওয়া যাবে বোতল টাঙানোর স্ট্যান্ড? কোথায়ই বা এত স্যালাইনের বোতল পাওয়া যাবে?
বাস্তবে তিনি সেটাই দেখলেন। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে কলেরার ক্যাম্পে গিয়ে দেখলেন, রোগীরা নিজেদের মলের মধ্যে পড়ে রয়েছেন। একটা করে খুঁটি পুঁতে তা থেকে বোতল ঝুলিয়ে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে ৬-৭ জন রোগীকে। একটাই বোতলে সাতটা নল ঢোকানো আছে। স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে বটে তবে মাপটা বোঝা যাচ্ছে না। আবার স্যালাইন এবং স্যালাইন দেওয়ার লোক দুটোর কোনটাই যথেষ্ট নেই। রোগী মরছে হু হু করে। দশজনের মধ্যে তিনজন তো মরছেই। কিছুদিনের মধ্যে বোঝা গেল যে পরিমাণ স্যালাইনের বোতলের প্রয়োজন তা তো নেই। তা পাওয়ার কোন সম্ভাবনাও নেই। গবেষণার জন্য তিনি যে বিভিন্ন ধরনের স্যালাইন কলকাতার হাসপাতালে রেখেছিলেন মানুষকে বাঁচাতে সেসব নিয়ে চলে এলেন। মুহূর্তের মধ্যে তা শেষ হয়ে গেল। তখন তিনি ভাবলেন যে তিনি গবেষণা তো করেছেন, তা তখনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকমহলের মান্যতা পায়নি। এখন সেসব না ভেবে মানুষ বাঁচাতে রোগীর মুখ দিয়েই ঢোকাতে হবে পরিমাণমতো নুন-চিনি।ফলে এক ধরনের বাধ্যতার জায়গা থেকে দিলীপ ওআরএস প্রয়োগের কাজ শুরু করলেন।
তিনি বেলেঘাটা হাসপাতালে লাইব্রেরি রুমে তাঁর সহযোগীদের নিয়ে কাজ শুরু করে দিলেন। গবেষক দলের সবাই লাইন দিয়ে বসে গেল ১৬ লিটার জলের অনুপাতে এক একটা ওআরএস প্যাকেট বানাতে। একজন ওজন করে পলিথিনের প্যাকেটে গ্লুকোজ, নুন পোরে একজন তা সিল করে গরম লোহা দিয়ে। প্রতি লিটার জলে মেশানোর জন্য ২২ গ্রাম গ্লুকোজ, ৩.৫ গ্রাম নুন আর ২.৫ গ্রাম সোডিয়াম বাই কার্বনেট মেশানো হচ্ছিল। ১৬ লিটার জলের ড্রাম কেনা অনেকগুলো। সেখানে কল লাগানো হলো। কারণ তা না হলে সেখানে হাতের নোংরা লেগে যাবে। এবার ড্রামে জল ধরা হলো তাতে মেশানো হলো ওআরএস পাউডার। মগে করে সেই জল ধরে খাওয়ানো হতে লাগলো রোগীদের। একই দ্রবণ শিশু থেকে বড় সকলকেই খাওয়ানো হচ্ছে। কাজ হল এই চিকিৎসায়; মৃত্যুহার কমে এলো তিন শতাংশে। একএকটা ওআরএস প্যাকেটের দাম পড়ছিল মাত্র এগারো পয়সা যা স্যালাইনের দামের থেকে অনেক কম। পরে বিষয়টি আরও সহজ হয়েছে। ছয় চামচ চিনি আর আধা চা-চামচ নুন যদি এক লিটার জলে গুলে দেওয়া যায় তবেই ওআরএস তৈরি হয়ে যায়।
কিন্তু সহজ চিকিৎসার কাজটা অবশ্য সহজ হয়নি। দিলীপ মহলানবীশ তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন; “সমস্যা হল রোগী ভরসা করছিল না। তাদের ভরসা স্যালাইনের ওপর। স্যালাইন না চালালে রীতিমত আপত্তি করতে থাকেন অনেকে।” রোগীরা বলছিলেন, “ডাক্তারবাবু স্যালাইন দিন, তবেই তো বাঁচবো। তখন মহলানবীশ বললেন যে এটা খাবার স্যালাইন। কিন্তু বারবার যারা বমি করছিল তারা জল খেতেও নারাজ ছিল। তখন স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রধান কাজ ছিল তাদের বুঝিয়ে ওআরএস মেশানো জল খাওয়ানো।
হেমেন্দ্রনাথ ছিলেন কলেরা হাসপাতালের ফিজিশিয়ান। তিনি যে কাজটা করেছিলেন সেটা ওআরএস-এর সমতুল্য ছিল না। মহলানবীশ যখন কাজটা করছেন তখন ব্যাপারটা অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে। প্রমাণিত হচ্ছে, কলেরা যদি হয়েও থাকে অন্ত্র থেকে বাকি শরীরে এই সোডিয়াম এবং গ্লুকোজ শোষিত হতে থাকছে। তিনি বলেন ওআরএস দেওয়ার পরেও স্যালাইনের প্রয়োজন থাকে কিছু কিছু লোকের। তবে প্রতি পাঁচজন লোকের মধ্যে চারজনের আর স্যালাইনের প্রয়োজন থাকে না। যদি কলেরা না হয়ে শুধু ডায়রিয়াও হয় তাহলেও ওআরএস খাওয়া যায়। ফলে দেখা যাচ্ছে মুখ দিয়ে সঠিক অনুপাতে সোডিয়াম আর গ্লুকোজ খেলে নিরাময় সম্ভব।
১৯৭২ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই আবিষ্কারকে কলেরা-সহ সব ধরনের ডায়েরিয়ার সেরা চিকিৎসা বলে অভিহিত করে। আর ১৯৭৮ সালে ব্রিটেনের ল্যানসেট জার্নাল ওরাল রিহাইড্রেশন থেরাপিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের জগতে এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হিসেবে চিহ্নিত করে। সাধারণত আমরা পশ্চিম থেকে এদেশে চিকিৎসাবিজ্ঞানের নতুন প্রযুক্তি এবং পদ্ধতি আসা দেখতে অভ্যস্ত। কিন্তু এক্ষেত্রে ঘটলো উলোট-পুরাণ। ভারতের চিকিৎসাবিজ্ঞানের উদ্ভাবন মান্যতা পেয়ে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ল। এই গবেষণার কারিগর দিলীপ মহলানবীশ ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ অবধি জীবিত ছিলেন। তবে আমাদের সরকার-বাহাদুরের তাঁকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়ার কথা মনে পড়ে তাঁর মৃত্যুর পর। ২০২৩-এ মরনোত্তর পদ্মবিভূষণে বিভূষিত হন প্রয়াত দিলীপ মহলানবীশ।
লেখাটি খুব ভালো লাগলো।