টুম্পা বলতে টুম্পা কয়াল কেউ বোঝে না কেন?
এই বাংলার সেও তো বেটি, তোমরা তাকে চেনো?
এই যে আজও শিউরে ওঠো নাম শুনে কামদুনি,
বিচার চেয়ে মুখ্য-চোখে রাখলো কে চোখ শুনি?
মাওয়ের গালির কালির ছিটেয় নামায়নি সে চোখ,
অমন সোনা টুম্পা দেশের ঘরে ঘরে হোক।
তোমরা যারা টুম্পা গেয়ে বলছো সোনা হাম্পি দে,
অনিচ্ছাতেও সেই লড়াকুর করছো বোধহয় নাম ফিকে।
টুম্পা মানেই সে বাঙালী, তোমার আমার ঘরের মেয়ে,
মান পাওযা তার বোধহয় উচিৎ অমন চটুল গানের চেয়ে।
মানছি গানে চটক আছে, কোমর দোলে এমনি বেশ,
তাই বলে কি ভাসবো স্রোতে যুক্তি করে নিরুদ্দেশ?
টুম্পা ঝুমা টিংকু রুমা বাংলার মেয়ের ডাক
গান গেয়ে আর নাই বা দিলে সেসব নামে পাঁক।
বাংলা তার মেয়েকে যে চায় , শুধুই কি তা রাজনীতি?
রাস্তাঘাটে মেয়ে বেরোলে টুম্পাসোনার আজ ভীতি।
ভুলেই গেছে সুর নিলো যে লাল নিশানের টানে
প্যারোডি যে ফেরায় লোকের মনকে আসল গানে।
টুম্পা তৃণে টুম্পা লালে টুম্পা হাত ও পদ্মে,
টুম্পা আছে তোমার বউ আর আমার মেয়ের মধ্যে।
চটুল গানের এ ভাইরালে কাদের মুখ আজ নিচু?
মঞ্চ থেকে ভোটবাবুরা বলেন না তাও কিছু।
টুম্পা যদি নিচ্ছো ঠোঁটে , আয়না দেখো তবে,
টুম্পা তোমার ঘরেই থাকে, তোমারই কেউ হবে।
তাই যতবার ইউটিউবে টুম্পা খোঁজে চোখ,
টুম্পা কয়াল সার্চ না করার প্রধান কারণ হোক।
নাকি তাকে এই কদিনেই ভুলে গেছে লোক?