শল্য অতি সহজ কলা, ছুরি দিয়ে শরীর খোলা, শিখতে হলে আই কিউতে একশো লাগে খালি৷ সবার আছে বুদ্ধি ওটুক, একই শরীর, এক প্রণালী, মরা কেটে ,কেতাব ঘেঁটে, শিখতে লাগে একটু সময়, ছুতোর দর্জি মুচির থেকে সার্জেনরা আলাদা নয়।ঠাট্টা করে বলছি না এ, চামড়া কাপড় বা কাঠ দিয়ে যেসব ম্যাজিক করেন তাঁরা, শল্য কিচ্ছু না তার কাছে
তফাত শুধু ,একটা মানুষ তার ওপরে মরে বাঁচে।
ফারাকটা যে তুচ্ছ ভীষণ, সরকারও তা বোঝান ফি সন,
স্বাস্থ্যবাজেট ক্রমেই কমে শতাংশে তাই একের কোঠায়,
মেদান্ততে মন্ত্রী ছোটেন , ভোটদাতারা যান যে কোথায়!
সেই সমাধান সরল অতি, গেজেট বেরোয় তড়িৎ গতি,
এবার থেকে কাটবে মানুষ আয়ুষ শেখা শল্যস্নাতক,
এমনটি আর হয়নি কোথাও মেরুর থেকে আফ্রিকা তক।
হয়নি বলেই হয়না নাকি, মেধা টেধা সব চালাকি,
সব নবীশই বিদ্যে এসব কোনো বইয়ের থেকেই শেখে,
মেশিনটা তো তেমনি আছে প্রজাতিটার প্রথম থেকে।
সমস্যা নয় শল্য শেখা, লার্নিং কার্ভ সরলরেখা,
কাটতে এবং জুড়তে লাগে কি আর হাতি ঘোড়া,
ফারাক শুধু করতে হবে স্ক্যালপেল আর ছোরা।
কিন্তু কখন কাটবে দেহ, শিখতে হবে বিদ্যে সে-ও,
এবং কখন শল্য হলে বরং রোগীর ক্ষতি,
সার্জেনদের কাছেও সে জ্ঞান জেনো বিরল অতি।
মেধা লাগে ওইটুকুতেই, হাতের কাজে কিচ্ছুটি নেই,
সার্জারিতে সেই তো সেরা থামতে জানে যে লোক,
জ্ঞানের সাথে অভিজ্ঞতায় মেলে কেবল সে চোখ।
এই কথাটাই জানেন না সেই আয়ুষ-গেজেট লেখক।