৩১ জানুয়ারি ২০২৫
গতকাল মহামান্য হাইকোর্টে ডাঃ অরিন্দম ভট্টাচার্য, ডাঃ শোভন দাশ, ডাঃ স্বাগত মুখার্জি, ডাঃ প্রলয় বসু, শ্রী আর্য ব্যানার্জি, শ্রী ধৃতিমান সেনগুপ্ত, শ্রী অমিত দে-র পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের বিভিন্ন অনাচারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানি হয়, মাননীয় প্রধান বিচারপতি শ্রী টি এস শিবাজ্ঞনম ও মাননীয় বিচারপতি শ্রী হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে অবৈধ ভাবে পদে বসিয়ে রাখা রেজিস্ট্রার শ্রী মানস চক্রবর্তীকে তার পদ থেকে আজ ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ বিকেল ৫ টার মধ্যে সরে যাওয়ার আদেশ দিয়েছেন মহামান্য আদালত, অভিযোগগুলিকে মান্যতা দিয়ে এবং অন্যথায় তার সমস্ত আর্থিক সুযোগ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এই সময়কালের মধ্যে শ্রী চক্রবর্তীর non -statutory সব কাজগুলির বৈধতা পরে খতিয়ে দেখা হবে বলে মহামান্য আদালত জানিয়েছেন। জনস্বার্থকে সবকিছুর উর্দ্ধে তুলে ধরার জন্যে আমরা মহামান্য আদালতকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ।
জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস, পঃ বঃ অবৈধ ভাবে রেজিস্ট্রারকে চেয়ারে বসিয়ে রেখে, ভোট লুট করে কিছু “চিকিৎসক”যে অনৈতিক ভাবে কাউন্সিল দখল করে তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সরব আইনি ও রাস্তার লড়াইয়ে। ওই “চিকিৎসক”দের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, থ্রেট চক্র চালানোর অভিযোগ ওঠে এবং অভয়ার নৃশংস হত্যাকান্ডের সঙ্গে কারো কারো জড়িত থাকার আশঙ্কা, সন্দেহ এই সময়ে বহুল আলোচিত। আমরা লড়াই চালিয়ে গেছি।
আজ আমাদের অভিযোগ, সন্দেহ, আশঙ্কা মান্যতা পেয়েছে। আমরা বার বার রাজ্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম এই অবৈধ ও নানা অভিযোগে বিদ্ধ কাউন্সিলকে বাতিল করার। প্রশাসন কর্ণপাত করেনি। প্রশাসনের কাছে আমাদের আবার আবেদন এই রায়কে মান্যতা দিয়ে রেজিস্ট্রারকে অপসারণের পাশাপশি এই অবৈধ অনৈতিক কাউন্সিল ভেঙে দেওয়ার।
উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে মানস চক্রবর্তী আজ পদত্যাগ করেছেন।