বাঁজা জমি সবুজ করেন তাঁরা,
অবুঝ রাজা বোঝেননি শিরদাঁড়া,
গ্রীষ্ম থেকে বর্ষা গিয়ে শীতে,
পথের বুকে অযুত চাষী খাড়া।
বানিয়েছিলেন আইন রাজা তিনটে
ভুল হয়না তাঁদের খোলস চিনতে
লাগু হলেই চাষীর গায়ের ঘর্ম
বদলে যেতো দাদনদারের মিন্টে।
ধমক গেলো, দ্রোহের গুজব গেলো,
চাষা তবু হননা এলোমেলো,
দাঙ্গা এবং পাঙ্গা নিয়ম যখন,
কোত্থেকে যে গান্ধীবাদী এলো!
রাজার সেপাই রাস্তা দিলো কেটে
রাজার লোকে কু ছড়ালো নেটে,
তবুও ক্ষেতে ফসল তোলার পরে,
কৃষকরা যান দিল্লীমুখো হেঁটে।
পথের ধারে অস্থায়ী সব তাঁবু
বৃষ্টি বা শীত করবে কাকে কাবু
ওঁদের শরীর রোদ জল হিম সওয়া
ওঁরা যে নন ঠাণ্ডাঘরের বাবু।
দাবি করেন রাজার হরেক পোষ্য
চাষীর নাকি চলছে চর্ব্য চোষ্য
কেউ বা হাঁকেন কৃষকই না ওঁরা,
প্রমাণ কিছুই পেশ নেই অবশ্য।
একটা বছর এমনি করেই গেছে,
চাষীর ব্যাটা পথেই আছে বেঁচে
দাবী তাঁদের তিনটে আইন তোলার,
দেবেন না ক্ষেত দাদন ছুতোয় বেচে।
ভাবেন রাজা এবার হবে ক্লান্ত,
মিডিয়া করেন গুজবে উদভ্রান্ত,
সারা জীবন ধৈর্য্য যাঁদের সঙ্গী,
এইটুকুতেই দেননা তাঁরা ক্ষান্ত।
এদিকে যে ভোট ঘনিয়ে আসে
রাজা এখন বিষম ফাটাবাঁশে
সব শাসকের মুকুট খসে পড়ে
চাষী যদি না থাকে তার পাশে।
এ রিস্কখানা চাইবে কে আর নিতে
কাজেই হঠাৎ গান্ধী গেলেন জিতে
দাদনদারের খাজনা ভুলে রাজা
বাধ্য হলেন আইন তুলে নিতে।
সবুজ করেন যাঁরা জমি বাঁজা,
জানেন তাঁরা, হয়না কিছুই ফ্রীতে।
এ মাঘ মোটেই যাবেনা এক শীতে।