নাটুকে কিন্তু না-টুকে নয়।
বিশুদ্ধ টুকে লেখা। কার থেকে টুকেছি বলব না।
★
রূপুর বর চলে গেল আজ। রূপু বাপের বাড়িতে রইল।
নাটক কি শেষ হয় কখনও? এক দৃশ্যে ড্রপসিন পড়ে যায়। কিন্তু নাটক শেষ হয় না। এক নাটক থেকে অন্য নাটকে গড়িয়ে যায় জীবন।
আমাদের রূপু, যার ভালো নাম রূপবতী ভাবে সত্যিই জীবনটা একটা নাটক। নইলে এই সে’দিন যে ছেলেটার হাত ধরে চলে যাবার সময়, কেঁদে ভাসিয়েছিল বাবাকে জড়িয়ে ধরে, আজ সেই বরটাকেই না দেখলে বুকটা অমন ফাঁকা ফাঁকা লাগে কেন?
কথাটা কে যেন বলেছিল? শেক্সপীয়ার না কে যেন। সেই যে, “পৃথিবীর জীবন নামক নাট্যমঞ্চে সবাই একেকজন অভিনেতা/ অভিনেত্রী। শুধুমাত্র চরিত্রগুলো পালটে যায়। ”
রূপুর আবার ছোটোবেলা থেকেই এই নাটকের ব্যাপারে ভারি ঝোঁক। মানে ওই এক্সট্রাকারিকুলার অ্যাকটিভিটি যাকে বলে। কেউ বাড়িতে এলে, পুঁচকে কন্যার গুণপনা দেখাতে তার মা যেই বলত, – রূপু মা, ওই ব্যা ব্যা ব্ল্যাকশিপটা এট্টু বলে দাও তো! বয়ে গেছে রূপুর ওই পচা ব্ল্যাকশিপ কী টুইঙ্কল টুইঙ্কল বলতে। সে তখন তার কচি হাতে ফ্রকের কোণা বিছিয়ে দু’পাক আশ্চর্য নাচ অতিথিকে দেখাতে ব্যস্ত। তার সঙ্গে দু’এক কলি গান বা সংলাপ থাকলে তো সোনায় সোহাগা। সে’গুলি সবই অবিশ্যি বিষবৎ পরিত্যাজ্য টিভি দেখে শেখা।
অতিথিটি হেসে গড়িয়ে পড়ে। বলে, – বাঃ, চমৎকার অ্যাকটিং শিখেছে তো এইটুকু বাচ্চা!
‘বিষবৎ’ই যদি, তাহলে শিখল কী ভাবে? বা রে, মা যখন ইশকুলে যায়, রূপু থাকে আন্নামাসীর কাছে। থাকে না? তো, তখন তিনি হাতের কাজ সারার জন্য রূপুকে টিভি চালিয়ে বসিয়ে রাখেন। ঠিক কি না?
সেই অতিথি বিদায় নেবার পর মায়ের তর্জন শুরু হয়। – যত সব নোংরা জিনিস শিখছে মেয়ে। কী, না ডপলি ওয়ালে ডপলি বাজা, বেরিলিকা বাজার মে, ঝুমকা…। আন্নাটারও বলিহারি। কতবার বারণ করেছি, টিভি চালাস না। শোনো, তুমি তোমার ওই ছাতার মাথা অফিস থেকে ছুটি নেবে। মেয়েকে কোলে করে বসে থাকবে টানা দু’বছর। হ্যাঁ, পেটারনিটি লিভ! বলে দিলাম।
শেষের বাক্য তিনটে রূপুর বাবা বেচারাকে উদ্দেশ্য করে বলা। বাবা মানে দীপক নেহাতই নির্বিরোধী মানুষ। তবু ক্ষীণ গলায় প্রতিবাদ করে, – মানে বলছিলাম কী, ইয়ে, ছুটিটা তো তুমিও নিতে পারো সুমি!
– কী! ফের মুখোমুখি তক্কো! বাংলা ইশকুলের ডাকসাইটে দিদিমণি দাবড়ে দেয়। যেমন ছাত্রীদের দেয় ইশকুলেও।
– আমি ছুটি নেব? অন্যেরা মেয়েগুলোকে আমার কাছে কত ভরসা করে পাঠায়। জানো? আমি তোমার রাজকন্যের জন্য তাদের ভবিষ্যৎ ঝরঝরে করব ভেবেছো? তোমার দোষেই তোমার মেয়ে বিগড়ে যাচ্ছে। শিশু নির্যাতনের কেসে তোমায় পুলিশে দেওয়া উচিত।
যেন বাবাই আন্নাকে বলে টিভি দেখিয়ে এ’সব শেখাচ্ছে।
তা’ সেই ইশকুল যাওয়া রূপুরও শুরু হয় কিছুদিন পর থেকে। একে মা মনসা, তায় ধূপের ধুনো। ইশকুলে তার নাট্যপ্রতিভা বিকাশের অতি উত্তম মঞ্চ তৈরি দেখে বাচ্চা রূপু এককথায় অভিভূত।
হেড মিস, যাকে কেউ কেউ বড় আন্টি বলে, তিনি নাকি বিলেত না কোত্থেকে শিখে এসেছেন, শিশুদের বইতে দিতে হবে নদীর মত, ছড়াতে দিতে হবে আলোর মত ইত্যাদি, আরও কী সব। যদিও অ্যাসিস্ট্যান্ট হেড বিনি ম্যাডামের এইসব ধিঙ্গিপনা বেজায় নাপসন্দ্, কিন্তু নতুন বড় মিস এসে অবধি এই সবই চলছে। আর রূপু কিনা ভর্তি হল এ’বছরই।
ইশকুলে ভর্তির দু’মাসের মাথায়ই গার্জিয়ান কল্। দীপকের দিকে রোষ কষায়িত দৃষ্টি হেনে সুমি বলল, – না, মোটেই তুমি যাবে না। আমি যাব। কী অনাচ্ছিস্টি বাধিয়েছে তোমার মেয়ে, কতটা উচ্ছন্নে গ্যাছে নিজে বুঝে আসব। বংশের ধারা যাবে কোথায়। ইশকুলেও হয় তো শুনিয়েছে মানে দেখিয়েছে ওই ঝুট বোলে কাউয়া কাটে…
ইশকুলে গিয়ে কিন্তু সুমি বেজায় অপ্রস্তুত হল। বড় আন্টি রূপুর মাকে খুব সম্মান দেখিয়ে নিজের চেম্বারে বসিয়ে বললেন, – কী জানেন মিসেস বাসু, এই কচি কচি বাচ্চাগুলোকে ঠিকঠাক মত সার জল দিয়ে বড় করতে হবে আমাদেরই। বাড়িতে আপনারা আর এ’খানে আমরা।
সুমি তো তো করে বলল, – হ্যাঁ, মানে বাড়িতে আমি ওর বাবা আর মানে আমার শ্বশুরমশাইও ওকে যথাসম্ভব ঠিক ভাবে…
– আহ্হা, সে তো দেখবেনই। কিন্তু এক্সট্রাকারিকুলার অ্যাকটিভিটিসে বাধা দেবেন না, প্লিজ্!
– ন্ না, মানে ওই কী বলে, বাধা দিই না তো!
– ও কিন্তু বলে, বাড়িতে নাচলে গাইলে বকেন আপনারা মানে আপনি। এই তো এখনে পাগলা দাশু নাটকে ওকে দাশুর পার্ট দেওয়া হল। আসলে একটু লম্বাটে গড়ন তো, তাই ছেলেদের রোলেই ওকে বেশি মানায়। তো সে’দিন কেঁদে কেটে একাকার। ওকে নাকি নাটক করছে শুনলে আপনি ভীষণ বকবেন।
সুমি বুঝে যায় ব্যাপারটা। চুকলিখোর মেয়ে এই ভদ্রমহিলাকে যা তা বুঝিয়েছে। মান মর্যাদা ডুবিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছে।
রূপু কাজেই ইশকুলে কলার উঁচিয়ে নাটক করে, গান গায়। মানে চান্স লাগায়। রিহার্সালে গেলে অঙ্কের আর ইতিহাসের বিরক্তিকর ক্লাস ফাঁকি মারা যায় যে! অবিশ্যি ক্লাস ফাঁকি দেয় বলে রেজাল্ট খারাপ হয় তা’ না।
তবু বাড়িতে মায়ের কপালের ভাঁজ মেটে না।
আসলে রূপু তার বাবার কাছে বাবারই ছোটোবেলার নাটক করার নানান গল্প শুনেছে। বাবা একবার ছেলেবেলায়, বয়েস সাত কী আট তখন। বাবা তার মায়ের মানে রূপুর ঠাকুমার দামী শাড়ি দিয়ে স্টেজ সাজানোর লোভ দেখিয়ে পাড়ার নাটকে বড় রোল বাগিয়েছিল। আর রিহার্সাল ফাঁকি দিয়ে মাসির বাড়ি বেড়াতে চলে গেছিল। ফিরল যখন, নাটক মঞ্চস্থ হতে আর দিন তিনেক বাকি।
মহা গোলযোগ! সেই বড়ো লোভনীয় রোলটা আর এক সিনসিয়ার কচির ভাগ্যে জুটে গেছে, বাবাকে বলা হলো, একটা ছোটখাটো রোলে আপাততঃ অভিনয় করতে, প্রহরী না মৃত সৈনিক কী যেন।
বাবা রেগে কাঁই! প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস নিয়ে বালক প্রতিভা জানাল, ওই রোলটিই তার চাই। তিনদিনে সে পার্ট কণ্ঠস্থ করে ফেলবে! কিন্তু নিজের এ হেন ধীশক্তির উপর বালকের নিজের অগাধ আস্থা থাকলেও কচি নাট্যদলের পাণ্ডাদের ছিল না। তাই অন্যায় দাবী ডিসমিস হল বলাই বাহুল্য।
উপায়ান্তর না দেখে বাবা প্রয়োগ করল ব্রহ্মাস্ত্র। “আমি মায়ের শাড়ি দেবো না! দিতেই দেবো না মাকে ওসব।”
পাণ্ডারা পড়ল উভয় সংকটে। এদিকে বাবাকে সে রোল দিলে কি হবে কেউ জানেনা, ওদিকে ঝিকমিকে “সিন” না হলে নাটকের গরিমা ক্ষুণ্ণ হবে। মিটিং টিটিং সেরে তাঁরা শেষ পর্যন্ত প্রম্পটার কাকার ভরসায় রাজি হলেন “ডিল” মেনে নিতে। কটমটে চোখে বাবার দিকে তাকিয়ে প্রায় তাকে ভস্ম করার উপক্রম করেছিলো অন্য বেচারা ছেলেটি, যে ওই রোল থেকে শেষ মুহূর্তে বাদ পড়লো, কিন্তু তাতে বাবার থোড়াই কেয়ার!
এইবার নাটকের দিনে তো পাড়া ঝেঁটিয়ে লোক-সমাগম হয়েছে! নায়ক বাবা মোটামুটি গড়গড় করে মুখস্থ বলছে পার্ট, তেমন একটা গণ্ডগোল কিছু বাঁধাননি। এইবার এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, সেই বাদ পড়া বেচারার শাপেই হোক, বা অন্য কোনও কারণে, কোনও এক দৃশ্যে গিয়ে বাবার রাংতায় মোড়া তরোয়াল গেল কোমরে আটকে।
অনুরূপ অবস্থায় মহামহিম দাশু বলেছিল, “দেখছিস না, বকলস আটকিয়ে গেছে!”
রূপুর বালক বাবা আরও সরেস। তাই সে ডায়ালগ ভুলে খানিক তলোয়ার টানাটানি করে অডিয়েন্সের দিকে সম্পূর্ণ পিছন ফিরে দাঁড়িয়ে উদাত্ত গলায় হেঁকে উঠল, “ও বিশুকাকু, প্রম্পট করো জোরে, শুনতে পাচ্ছিনা তো, এরপরটা ধরিয়ে দাও না!”
চারদিকে হাসির রোল, তার মধ্যে স্টেজের সামনেই খ্যাঁক খ্যাঁক করে সবচেয়ে জোরে হাসতে থাকলো সেই বাদ পড়ে যাওয়া অভাগাটি, আর এইসবের মধ্যেই পড়ে গেলো সিন! পাণ্ডারা তারপর বাবার কি প্রকার আদরযত্ন করেছিল, এই ডিটেইলসটা, বাবা আর ঝেড়ে কাশেনি।
এই অবধি বলার পর বাবা থেমেছে। রূপু বাবার গলা জড়িয়ে ধরে বলেছে,
– বড় হয়ে আর নাটক করোনি, হ্যাঁ বাবা?
– করেছি বই কি মা! ঢের করেছি। সেখানেও ঘোর গণ্ডগোল।
সেই কাহিনীও বেশ চমকদার। সেই বাবা তো তারপর কালের নিয়মে কলেজে উঠে বেশ লায়েক হল, আর চতুর্গুণ বেড়ে উঠলো নাটকে অভিনয় করার ইচ্ছা। সত্তরের দশকের গোড়ার কথা, “পাদপ্রদীপ” নামে এক নামকরা থিয়েটার দলে চান্স পেল বাবা। এবার দল যত নামী হয়, নবাগতদের রোল সাধারণতঃ ততই ছোটখাটো হয়। “মোকাবিলা” নাটকে বাবাকে দেওয়া হলো পুলিশের রোল। বাবা আর আরও কয়েকজন পুলিশের ভূমিকায়। অভিনয় বিশেষ কিছু নেই, গুলিগোলা চলবে, আর্তনাদ করে স্টেজেই পুলিশ বেচারাদের পতন। পড়ে মরতে হবে না মরে পড়তে হবে, তা জানা নেই কারও। এদিকে স্টেজের চারদিকে বড়ো বড়ো কাঠ-কাপড় দিয়ে বানানো থাম গোটা কয়েক। তার মধ্যে একটির পাশে বাবা আর তার মত আরও কয়েকজন পুলিশ ততক্ষণে পড়ে গেছে। স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী, মরেও গেছে। দারুণ গোলাগুলি চলছে, শেষ রাউন্ড গুলি চলার সময়ে পলায়মান নায়ক, ছুটে যেতে যেতে একটা থামে গিয়ে খেল রামধাক্কা। সে নড়বড়ে থাম পড়ল মরে যাওয়া পুলিশদের উপর। একসাথে সবকটা মৃত পুলিশ আর্তনাদ করে উঠল! হাসির হররা উঠলো দর্শকদের মধ্যে। পুলিশবাহিনীর মরণোত্তর ভূতুড়ে কান্নায় দর্শক জনগণ বিপুল আমোদিত।
– তারপর কী হল বাবা?
– তার আর পর নেই রে মা! কিছুদিন পরই জীবন নাট্যে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। আমি, তোর এই মৃত সৈনিক বাবাটা। আর তার কিছুদিন বাদেই মঞ্চের দখল নিল তোর মা। এই এখনও অবধি।
এইটুকু বলা হয়েছে কী হয়নি, মায়ের কানে যেতেই, মন্তব্য ভেসে এলো,
– ওই… ওই… ট্রেনিং হচ্ছে বাপ সোহাগি মেয়ের। মায়ের চরিত্র হনন আর মেয়ের পড়াশুনো হননের চক্রান্ত ভরা ট্রেনিং!
গলার আওয়াজ পেয়েই বাবা মেয়ে চুপ।
আমাদের রূপু ইশকুলে নাটক করার খবর শুনিয়ে পাড়ার রবীন্দ্রজয়ন্তী আর বিজয়া-সম্মিলনের নাটকে প্রোগ্রামে এন্ট্রি নিল অনায়াসে। কিন্তু সমস্যা ওইই। দেখতে ধিঙ্গিপানা বলে ছেলেদের রোল।
সে যতই সবখানে ছেলেদের পার্ট দিক না কেন, ওকে দমাবে কে? মোক্ষম সময়ে ফাইন্যাল মেকাপের পরেও দাশু লুকিয়ে নিয়ে আসা মায়ের লিপস্টিক ঠোঁটে বুলিয়ে নিজেকে আরও হাস্যকর করে তোলে। কিম্বা কিশোর উত্তীয় বা সিন্ডারেলার রাজপুত্তুরের সদ্য ওঠা গোঁফের নীচে লাল টুকটুকে ঠোঁট দেখে আঁতকে ওঠে মোশন মাস্টার। তো এ’সব ছিল রূপুর সেই ছোটো বেলার ব্যাপার। আর রূপু, হাজার হলেও সাজু-গুজু করতে চাওয়া মেয়েই তো।
বড় হবার পর যখন তাকে অস্ত্রাগার লুণ্ঠন নাটকে প্রীতিলতার রোল করতে দেওয়া হল, মানে অ্যাদ্দিনে সত্যি মেয়ের পার্ট, আর কড়া করে বলা হল সে এখন বিপ্লবী মেয়ে, কাজেই মোটে ওইসব মেয়েলি রঙটঙ মাখতে পারবে না, আমাদের রূপু এককথায় মুষড়েই পড়ল। সে যে মহা সাজুনি। সাজ করার লোভেই তার নাটক করা।
রূপুর নাট্যসাধ এতদিনে ঘুচল। বাবাকে জানিয়ে দিল, সে আর ওই নাটক ফাটকের ফাঁকিবাজির মধ্যে নেই। তার চেয়ে বরং ওই এতদিনে নজর না দেওয়া কারিকুলামে মন দেবে সে। যদি রোল নাম্বারটা তিন নম্বর থেকে এক নম্বরে নিয়ে আসা যায়!
মা অ্যাদ্দিনে খুশি হল মেয়ে ঠিকঠাক সাইজ হয়েছে ভেবে। আরও খুশি হল কন্যা যখন জয়েন্টে চান্স পেয়ে ডাক্তারি পড়তে ঢুকল। এখন আর ‘তোমার মেয়ে’ বলে না। বরং কথায় কথায় সুমি দীপককে শোনায়, – শোনো আমার মেয়েটাকে প্রায় বিগড়ে দিয়েছিলে তুমি আর ওর ছোটোবেলার হেড মিস্ট্রেস। ভাগ্যিস গুরুদেবের আশীর্বাদে ওর মতি ফিরল। বংশের ধারা ব্যর্থ করে নাটক-বাতিক নামল আমার মেয়েটার ঘাড় থেকে।
সেই ডাক্তার মেয়ে, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট হল।। বিয়ে হল। রূপু ভাবে নাটকের বাতিক না হয় ঘাড় থেকে নামল, নাটক থামল কি?
নইলে কত কেঁদেছিলাম বিয়ের পর চলে যাবার দিন। ভেবেছিলাম বাবা মার কাছ থেকে একটা পাজি ডাকাত এসে কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে আমাকে।
আর আজ যে ওই ডাকাতটাই গতকাল এসে আজকে চলে গেল। ওর জন্য এত কান্না পাচ্ছে কেন?
নাঃ, শেক্সপিয়ার মশাই, তুমিই ঠিক বলে গেছো। নাটক চলছেই। নতুন চরিত্র এন্ট্রি নিয়েছে নাটকে।