আজ বিশ্বকবির আবির্ভাব দিবস। আজ আন্তর্জাতিক মাতৃদিবস। এই দুই হৃদয়ছোঁয়া দিনের পাশাপাশি আজ বিশ্ব থ্যালাসিমিয়া দিবসও বটে।
আমাদের মরমী হৃদয়ের স্পর্শ পাক এই রোগাক্রান্তরা, আগামী বিশ্ব হোক থ্যালাসিমিয়া মুক্ত — আজকের দিনে এইটুকু আশা নিয়েই সামনের বছরটার দিকে পা বাড়িয়ে দিলাম।
মূল আর্টিকল ডঃ শুভ্রশঙ্খ দত্তের, যিনি মেডিক্যাল কলেজের ইমিউনোহেমাটোলজি এবং ব্লাড ট্রান্সফিউশন ডিপার্টমেন্ট থেকে ট্রান্সফিউশন মেডিসিনে স্নাতকোত্তর এবং বর্তমানে কলকাতার টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের অন্যতম কনসালট্যান্ট।
শুভ্র আমার ভ্রাতৃপ্রতিম, অত্যন্ত স্নেহধন্য এক মরমী চিকিৎসক। তার অনুরোধেই দুরূহ থিসিসটি সহজ বাংলায় সর্বসাধারণের কাছে উপস্থাপনের চেষ্টা করছি।
খুব দীর্ঘ পোস্ট — যদি একজনও শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে পড়েন তাহলে আমি নয়, থ্যালাসিমিয়া আক্রান্ত যে বারো বছরের বালক গতকাল ব্লাডব্যাঙ্কে আমার আঁচল টেনে ধরে এক ইউনিট রক্তের আবেদন করছিল, তার পাশে দাঁড়াতে পারব সকলে।
থ্যালাসিমিয়া নামক রক্তের রোগটি দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ব্যাপকভাবে দেখা যায় — ভারতীয় উপমহাদেশেও তার প্রাদুর্ভাব যথেষ্ট। রোগীর শরীরে নিয়মিত রক্ত সঞ্চালনই এই রোগের মূল চিকিৎসা, কিন্তু ভারতে এই রোগীদের নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে নিরাপদ রক্ত সরবরাহ করাটা এখনো একটি বড় সমস্যা।
নিয়মিত জোগানের জন্য পর্যাপ্ত রক্তের অভাব, রক্ত সঞ্চালনের জন্য সঠিক বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসাকেন্দ্রের অপ্রতুলতা এবং দেশে একটি সুচারু জাতীয় রক্তনীতি না থাকা এই রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করা হয়।
থ্যালাসিমিয়া এমন একটি জন্মগত হিমোগ্লোবিনঘটিত অসুখ, যাতে রক্তের লোহিতকণিকা ভেঙে নষ্ট হয়ে যায়, আবার অস্থিমজ্জা থেকে নতুন লোহিতকণিকা তৈরির পদ্ধতিও কার্যকরী হয় না, কারণ, মজ্জার যে কোষ থেকে নতুন লোহিতকণিকার জন্ম নেওয়ার কথা, সেগুলি অপরিণত অবস্থাতেই মারা যায়।
থ্যালাসিমিয়া মূলত দুই ধরণের — প্রথমত, যার চিকিৎসা পুরোপুরি রক্ত সঞ্চালনের উপর নির্ভরশীল আর দ্বিতীয়ত, যেসব ক্ষেত্রে রক্ত দেওয়ার দরকার পড়ে না। রক্ত সঞ্চালন নির্ভর থ্যালাসিমিয়া রোগীকে সারা জীবন প্রয়োজনমাফিক রক্ত দিয়ে যেতে হবে, সচরাচর যা রোগীর দু’বছর বয়স থেকেই আরম্ভ হয়ে যায়। অন্যদিকে নন ট্রান্সফিউশন ডিপেন্ডেন্ট থ্যালাসিমিয়া রোগীর ক্ষেত্রে রক্ত দেওয়ার দরকারই পড়ে না বা পড়লেও কদাচিৎ পড়ে।
কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, এই ধরণের রক্তের উপর নির্ভরশীল না থাকা থ্যালাসিমিয়া রোগী ধীরে ধীরে ট্রান্সফিউশন ডিপেন্ডেন্ট রোগীতে পরিণত হয়ে যাচ্ছেন, অর্থাৎ তাঁদের বেশ কম সময়ের ব্যবধানেই রক্ত নেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে।
এই বারংবার রক্ত নেওয়ার ফলে, থ্যালাসিমিয়া রোগীর শরীরে লোহার পরিমাণ বৃদ্ধি, রক্তসঞ্চালনজনিত সংক্রামক নানা ব্যাধির প্রকোপ এবং অনভিপ্রেত অ্যালো ইমিউনাইজেশনের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
সারা পৃথিবীতে বছরে প্রায় ২৬০০০ রক্তসঞ্চালন-নির্ভর থ্যালাসিমিয়া আক্রান্ত শিশুর জন্ম হয়, যার নব্বই শতাংশই উন্নয়নশীল দেশে।
ভারতীয় উপমহাদেশে বছরে প্রায় ১০০০০ থ্যালাসিমিয়া আক্রান্ত শিশু জন্ম নেয়।
থ্যালাসিমিয়া রোগের রোগীকে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে বারবার রক্ত দিতে হয়। আর সেই উপর্যুপরি রক্ত সঞ্চালনের ফলে সেই রোগীর শরীরে সঞ্চালিত অন্য মানুষের রক্তের লোহিতকণিকাস্থিত অ্যান্টিজেনের প্রতিক্রিয়ায় তৈরি হয় অ্যালো অ্যান্টিবডি। এই অ্যালো অ্যান্টিবডি যত বেশি তৈরি হবে, তত সেই রোগীর শরীরে পরবর্তীকালে সঞ্চালনের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ রক্ত অমিল হবে — হ্যাঁ, গ্রুপ মিলে গেলেও অমিল হবে। কারণ, ভারতে জেলাস্তরের নিচের বহু ব্লাড সেন্টারে এই অ্যালো ইমিউনাইজেশন নির্ধারণকারী পরীক্ষা হয় না অথবা পরীক্ষার কিট অপ্রতুল থাকে। সেই সঙ্গে গ্রহীতা রোগীর রক্তের লোহিতকণিকার অ্যান্টিজেন টাইপিংও হয় না, যেটা হলে গ্রহীতাকে এমন সুসমঞ্জস দাতার রক্ত সঞ্চালন করা যেতে পারে, যাতে অ্যালোইমিউনাইজেশনের সম্ভাবনাকে অনেকটাই কমিয়ে আনা যায়।
থ্যালাসিমিয়া রোগীকে রক্ত সঞ্চালনের সময় লিউকোরিডাকশন বলে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিৎ। এটি আদতে একটি ছাঁকনি, যাতে রক্ত সঞ্চালনের সময় দাতার শ্বেতকণিকাগুলি আটকে যায়, সঞ্চালিত হতে পারে না। কারণ দাতার রক্তের এই শ্বেতকণিকাগুলি গ্রহীতার শরীরে এইচএলএ অ্যালো ইমিউনাইজেশন বলে একধরণের অবাঞ্ছিত প্রতিরোধী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, যেটা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় এই লিউকোফিল্টার করা রক্ত সঞ্চালন, যেটা হামেশাই তৃণমূলস্তরের ব্লাড সেন্টারগুলিতে হয় না।
যে সমস্ত রোগে বারবার রক্ত দিতে হয়, থ্যালাসিমিয়া তার অন্যতম। তাই রক্তসঞ্চালনঘটিত সংক্রামক রোগগুলির থেকে সতর্ক থাকতে সম্ভাব্য রক্তদাতাদের বাছাই পদ্ধতি একেবারে ত্রুটিমুক্ত হওয়া প্রয়োজন। এখানেও কিন্তু দেখা যায়, জেলাস্তরের নিচের স্তরে রক্তদাতাদের রোগের ইতিহাস নেওয়ায় খামতি থেকে যাচ্ছে, তাই গলদ রয়ে যাচ্ছে সঠিক রক্তদাতা বাছাই করার ক্ষেত্রে – যেটা নিরাপদ রক্ত সঞ্চালনের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এটা সংশোধনের জন্য ব্লাড সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত সকল স্তরের স্বাস্থ্যকর্মীদের নিবিড় এবং নিয়মিত প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।
এই দুর্ভাগ্যজনক অসুখটি থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্তি দিতে হলে সামাজিক সচেতনতাকে অন্যতম হাতিয়ার করতে হবে, বিবাহপূর্ববর্তী স্ক্রিনিংয়ের উপর দিতে হবে জোর, আর সর্বোপরি, দেশের প্রান্তিকতম অঞ্চলেও একটি কার্যকরী থ্যালাসিমিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর শিকড় ছড়িয়ে দিতে হবে — যে লক্ষ্যে এখনো পুরোপুরি পৌঁছনো যায়নি।
প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে নিকটতম ব্লাড সেন্টারের অবস্থানগত দূরত্ব, সেই সব এলাকায় রক্তদান শিবিরের স্বল্পতা হেতু ব্লাড সেন্টারে প্রয়োজনীয় রক্তের উপাদানের অভাব, অ্যালো ইমিউনাইজেশন চিহ্নিতকরণের জন্য প্যানেল সেলের (যেটা সরকারের তরফে ব্লাড সেন্টারগুলিকে কিনে দেওয়ার কথা) অভাব — এইরকম হাজারো প্রশাসনিক, সামাজিক, আর্থিক বাধাবিপত্তির কারণে থ্যালাসিমিয়া দূরীকরণের অভীষ্ট লক্ষ্য এখনো অধরা রয়ে গিয়েছে।
রোগীর রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখার জন্য ছাড়াও থ্যালাসিমিয়া আক্রান্ত শিশুর হাড়ের স্বাভাবিক বাড়বৃদ্ধি এবং সুস্থ জীবনযাপনের মান বজায় রাখার জন্য মাসে দু’বার তার শরীরে সুসমঞ্জস রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন রয়েছে।
জাতীয় রক্ত সঞ্চালন পর্ষদের নির্দেশাবলী অনুযায়ী রোগীর রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ৭গ্রাম/ডেসিলিটার বা তার নিচে নেমে গেলেই রক্ত দেওয়া প্রয়োজন।
এবারে রোগীকে নিয়মিত রক্ত দেওয়ার নানান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে দু’চার কথা।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মোটামুটি দুই ধরণের — তাৎক্ষণিক এবং বিলম্বিত।
তাৎক্ষণিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে সেপটিক শক, মারাত্মক অ্যালার্জি, সঞ্চালনঘটিত অবাঞ্ছিত প্রতিক্রিয়া যেমন জ্বর, কাঁপুনি, দ্রুত হৃদস্পন্দন বা প্রস্রাবে রক্তপাত ইত্যাদি। বিলম্বিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে রক্তবাহিত রোগের সংক্রমণ, অ্যালো ইমিউনাইজেশনের সম্ভাবনা (আগে বিস্তারিতভাবে আলোচিত) এবং রোগীর শরীরে অতিরিক্ত লোহা জমে যাওয়ার বিপত্তি।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রতি এক লক্ষ রক্ত সঞ্চালনে ২৫০টি ক্ষেত্রে বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে। আবার এও দেখা গিয়েছে, ৮২.৩% রক্তসঞ্চালন নির্ভর থ্যালাসিমিয়ার রোগী সারাজীবনে একবার (কখনো একাধিকবার) কোনো না কোনো বিলম্বিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হয়েছেন।
এতটা পড়ে খুব সাধারণ যে প্রশ্নটা সকলের মনে জেগে উঠছে, সেটার কথা লিখছি।
ব্লাড সেন্টারের পরীক্ষাগারে দাতার রক্তের নমুনা পরীক্ষা করার পরেই তো সেই রক্ত কোনো রোগীর শরীরে সঞ্চালিত হওয়ার ছাড়পত্র পায়। তবে সেই সুরক্ষিত রক্ত থেকে রোগীর সঞ্চালনজনিত সংক্রমণ কী ভাবে হতে পারে?
পারে। কারণ, কারোর শরীরে কোনো রোগের জীবাণু ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সেই রোগে আক্রান্ত হ’ন না — শরীরে জীবাণু ঢোকা এবং রক্তে সেই জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হওয়ার মধ্যবর্তী সময়কে বলে উইন্ডো পিরিয়ড। এখন কোনো দাতা যদি কোনো সংক্রামক ব্যাধির উইন্ডো পিরিয়ডের মধ্যে রক্তদান করেন, ব্লাড সেন্টারের ল্যাবরেটরিতে দাতাটির রক্তে সেই নির্দিষ্ট রোগের জীবাণুর উপস্থিতি ধরা পড়বে না। ফলে তাঁর দান করা রক্ত সুরক্ষিত বলে গণ্য হবে, কোনো থ্যালাসিমিয়া রোগীকে দেওয়ার জন্য। এইভাবে রোগীর শরীরে প্রবেশাধিকার পেয়ে যায় জীবাণু।
আবার দেখা যায়, যত নামীদামি মেশিনেই পরীক্ষা করা হোক না কেন, কোনো মেশিন ১০০% সঠিক ফলাফল দেয় না, সামান্য হলেও ভ্রান্তির সম্ভাবনা থেকে যায়। বিজ্ঞানও এ কথা স্বীকার করে নিয়েছে যে nothing is full proof.
এবার যে অপারেশনের রোগী বা প্রসবকালীন রক্তক্ষরণে কাহিল প্রসূতি রক্ত নিচ্ছেন, তিনি হয়ত জীবনে প্রথম এবং শেষবার রক্ত গ্রহণ করছেন, অতএব তাঁর ক্ষেত্রে রক্তসঞ্চালন ঘটিত সংক্রমণের সম্ভাবনা খুব কম। কিন্তু যে থ্যালাসিমিয়া রোগী মাসে এক/দু’বার রক্ত নিচ্ছে, তার ক্ষেত্রে অসুরক্ষিত রক্ত সঞ্চালিত হবার সম্ভাবনা বহুগুণ বেশি। উচ্চতর প্রযুক্তির মেশিন, যেমন কেমিলুমিনিসেন্স মেশিনে এই সম্ভাবনাকে কমিয়ে আনা যায়, কিন্তু একেবারে নির্মূল করা যায় না।
এই রোগের সার্বিক মোকাবিলায় রোগী এবং তার স্বজনদের অভিজ্ঞতার ভাগ নেওয়াটাও ভীষণ জরুরি, কারণ তার থেকে রোগটির বিরুদ্ধে যুদ্ধে কোথায় প্রশাসনিক খামতি রয়েছে তা চিহ্নিত করা যায়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের থ্যালাসিমিয়া রোগীরা অনেকেই চিকিৎসার আওতা থেকে মুছে যেতে বাধ্য হয়, ব্লাড সেন্টারের দূরত্ব এবং যাতায়াতের ব্যয়বহুলতার কারণে। এই বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।
সারা বিশ্বের আনুমানিক ২৫% থ্যালাসিমিয়া আক্রান্তের বাস ভারতে। সঠিক সংখ্যা অজানা কারণ এখনো পর্যন্ত দেশে থ্যালাসিমিয়া রোগীদের কোনো জাতীয় নিবন্ধীকরণ পঞ্জী নেই।
যদি রক্তসঞ্চালনের উপর নির্ভরশীল প্রতিটি থ্যালাসিমিয়া রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দিতে হয়, তবে মাসে দু’বার রক্ত দিতেই হবে — আর সেটা সত্যিই দেওয়া হয়ে থাকলে, সারা দেশের বার্ষিক সংগৃহীত রক্তের ৫০% এই রোগাক্রান্তদের দ্বারা ব্যবহৃত হওয়ার কথা।
কিন্তু বাস্তব নথি বলছে, দেশের বার্ষিক রক্তসংগ্রহের মাত্র ২% থ্যালাসিমিয়া সহ অন্যান্য রক্তঘটিত রোগের রোগীদের দেওয়া হয়, বাকিটা অন্যান্য রক্তাল্প রোগীদের জন্য ব্যয় হয়।
তথ্যের এই খণ্ডাংশই প্রমাণ করে যে থ্যালাসিমিয়া রোগীর রক্তের চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে এখনো আমরা কতটা পিছিয়ে রয়েছি।
দীর্ঘ আলোচনার শেষে এইটুকুই বলার, যে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে প্রশাসন, সমাজ, রোগীর আত্মীয় সকলকে এগিয়ে এসে একযোগে লড়তে হবে, সমস্যাগুলো চিনে নিয়ে দ্রুত তার সমাধানের উপায় বের করতে হবে।
সব পক্ষের আন্তরিক সদিচ্ছা, সামাজিক সচেতনতা ও সরকারের নিরলস পৃষ্ঠপোষকতা ব্যতীত এই রোগকে নির্মূল করা সম্ভব নয়।
৮ই এপ্রিল, ২০২৪