আমাদের দুদিনের (১২-১৩ জুন) মৌসুনি গ্রাম ও পাথরপ্রতিমায় মেডিকেল ক্যাম্প শেষ হলো। টীমে সদস্য ছিলেন ডা. বিষান দত্ত, ডা. অয়ন দাস, ডা. শুভজিৎ ভট্টাচার্য, সঞ্জয় চৌধুরী, সদীপ থাপা, প্রসেনজিৎ রায়, পরীক্ষীত রায়, সৌভিক পাল ও অভিষেক সেন। এবারের যাতায়াতের দায়িত্ব এবং ব্যয়ভার দুটোই বহন করেছে রামকৃষ্ণ মিশন শিল্পপীঠ, ১৯৮৫ ব্যাচ। যথারীতি সিন্টু ছিল আমাদের সারথি। এবারকার সফরটি সংগঠিত করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, এ পি ডি আর।
প্রথম গন্তব্য মৌশুনি গ্রাম। বৃষ্টি বিঘ্নিত রাস্তা ধরে বিষান আর সিন্টুর দক্ষ হাতে আমরা নামখানা ব্রিজ পেরিয়ে সাতমাইলের হুজ্জুতের ঘাটে পৌঁছলাম। তারপর ভটভটিতে কুশুমতলা গ্রাম। সেখানকার ফ্লাড সেন্টারে ক্যাম্প। মাঝে দেশি মুরগীর ঝোল আর আমের চাটনি সহযোগে মধ্যাহ্ন ভোজ। তারপরেই বেড়িয়ে পড়া সমুদ্র দর্শনে। অনুপম দৃশ্য ফ্রেম বন্দী হয়েছে আমাদের ক্যামেরায়। রাস্তার কাঁদা আর পথের পরিশ্রম ধুয়ে মুছে সাফ প্রকৃতির মাধির্যে। ক্যাম্প শেষ হলো ৬০ জন রোগী দেখে।
আবার সেইপথে ফিরে পাথর প্রতিমায়। ভগবতীপুর কুমির প্রকল্পে লজে থাকা – খাওয়ার সুবন্দোবস্ত। সকালে বৃষ্টি আমাদের কর্মসূচিতে দাঁড়ি টানতে পারে নি। দলকে দুভাগ করে ডা. বিষান দত্ত, প্রসেনজিৎ ও পরীক্ষীত ক্যাম্প করল দুর্গাগোবিন্দপুর শিঙ্গার পল্লী শিশু শিক্ষানিকেতন-এ। রোগী হলো ৫৬ জন। বাকিদের বড় দলটা গেলো বনশ্যামনগর। দীর্ঘ নদী পথ পেরিয়ে পৌঁছে বৃষ্টির মধ্যেও পেলাম আন্তরিক আথিয়েতা। রোগীর সংখ্যাও প্রচুর। ১৪৪ জন রোগী দেখে খাওয়া ও ফেরা। আমাদের অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হলো সময়ের অভাবে।
রিপোর্ট ডা শুভজিত ভট্টাচার্যের লেখা।
খুব ভালো উদ্যোগ।