সঞ্জয়ের ফাঁসি আমি কখনোই চাইনি। কারণ আমিতো জানি প্রকৃত অপরাধী সে নয়। সে মূল অপরাধীর সহযোগী মাত্র। নৈতিক ভাবেই তার ফাঁসি চাওয়া যায় না। আমৃত্যু কারাদণ্ড তার জন্য যথেষ্ট। আমি তাতেই সন্তুষ্ট। কৌশল গত ভাবেও যদি ভাবা যায়, সঞ্জয়কে বাঁচিয়ে রাখলে ভবিষ্যতে প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে পাবার ক্ষীণ সম্ভাবনা থাকলেও থাকতে পারে। যেটা কখনোই চাইছে না শাসকগোষ্ঠী। ঘটনা ঘটার পরপরই মুখ্যমন্ত্রী চিৎকার করে
উঠেছিলেন– সঞ্জয়ের ফাঁসি চাই। যেখানে ঘটনার বিবরণ একাধিক অপরাধীর সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করছে, সেখানে তিনি নিমেষের মধ্যে বুঝে গেলেন সঞ্জয় অপরাধী! ঠাকুর ঘরে কে রে, আমিতো কলা খাইনা! বিচারের রায়ের পর তিনি ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্ট যাচ্ছেন। দুটো উদ্দেশ্য — সঞ্জয় কে ফিনিস করে দিতে পারলে শাসক ঘনিষ্ঠ প্রকৃত অপরাধীদের বাঁচানো যাবে। অন্যদিকে জনসাধারণকেও বার্তা দেওয়া যাবে তিনি সত্যিই ভীষণ মর্মাহত, তাই এতো আকুল ভাবে অপরাধীর বিচার চাইছেন।
কিন্তু আমরা? আমরা কেন ফাঁসি চাইব? চাইলে শাসকের সুরে সামিল হয়ে যাব নাকি?
শাসক তো তাই চাইবে! সঞ্জয়ের ফাঁসি চাইলে কি বকলমে তাকেই প্রকৃত অপরাধী বলে মেনে নেওয়া হচ্ছে নাকি?
আমাদের দাবি হওয়া উচিত সঞ্জয়ের যে শাস্তি, তা যথেষ্ট।
এবার প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি চাই। তার সম্ভাবনা যতই দুরূহ হোক না কেন। নইলে আমাদের অবস্থান স্ববিরোধী হয়ে যায়।