মানুষকে মেরে ফেলা কত সহজ। কারো শাস্তি হবে না। খুনিরা ঘুরে বেড়াবে প্রকাশ্যে। তারাই মেডিকেল কাউন্সিলের মাথায় বসবে। তারা মঞ্চ আলো করে বেসুরো গান করবে। তারা অসুস্থ হলে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করবে।
একমাত্র আমরাই তাদের শাস্তি দিতে পারি। আমরা সাধারণ মানুষেরা একত্রিত হলে, আন্দোলনে থাকলে তবেই খুনিরা ভয় পাবে। বিচার ব্যবস্থা, পুলিশ প্রশাসন দোষীকে আড়াল করতে ভয় পাবে।
মেদিনীপুরে একজন মা মারা গেছেন। তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক। দুজন মা ভেন্টিলেশনে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। কয়েকজন অর্থলোভী নৈতিকতাহীন মানুষ জেনেবুঝে খুন করেছে।
আমরা যদি এখনো রাস্তায় না নামি, প্রতিবাদে সোচ্চার না হই তাহলে কবে হব? আরও কয়েকজন নবজাতক মাতৃহীন হওয়ার পর?
লাগাতার আন্দোলন কিন্তু ব্যর্থ হয় না। আগেও চিকিৎসকরা অনেকবার ওষুধের গুণমান নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। মাতৃমৃত্যুর পর অক্সিটোসিন নামক একটি ওষুধের গুণমান নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। কেউ মাথা ঘামায়নি। বরঞ্চ অনেকক্ষেত্রে চিকিৎসকের উপর শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছে।
আরজি কর আন্দোলনের পর আজ কিন্তু মৃত্যুগুলিকে আর ধামাচাপা দেওয়া যাচ্ছে না। চিকিৎসকদের কণ্ঠস্বর সকলের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এডমিনিস্ট্রেশন চিকিৎসকদের বলির পাঁঠা করে পরিস্থিতি সামলে দিতে পারছে না।
অভয়ার আত্মবলিদান যেন ব্যর্থ না হয়। এই জাল ওষুধের কারবার, মানুষের জীবনের বিনিময়ে কাটমানি খাওয়ার কারবার বন্ধ করতেই হবে। সংশ্লিষ্ট সকল অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য লড়ে যেতে হবে।