কেস আবার বাড়ছে। মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব। আমাদেরও। দ্বিতীয় ওয়েভ আটকানোর একমাত্র উপায় ভ্যাক্সিন সংখ্যা বাড়ানো।
ভারত সারা বিশ্বে বিশেষ করে কম এবং মাঝারি আয় দেশে ভ্যাক্সিন পৌঁছে দিচ্ছে। ভারত সরকারের এই উদ্যোগ অভিনন্দনযোগ্য। এই নিয়ে কিছু পোস্ট, ফরওয়ার্ড নিশ্চয়ই আপনি ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছেন। যে তথ্যটা পান নি সেটা হচ্ছে দেশে ভ্যাক্সিন দেবার গতি অত্যন্ত শ্লথ। এখন ৬০ বছরের উর্দ্ধে আর ৪৫ বছর বছরের উর্দ্ধে যাঁদের নানা আনুষঙ্গিক রোগ আছে। এই পদ্ধতিতে কোন সমস্যা নেই। যাদের আগে লাগবে তাদের দিতে হবে।
সমস্যা হচ্ছে আমলাতান্ত্রিক জালে ভ্যাক্সিন প্রক্রিয়া বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
১. ডাক্তারদের একটি ফর্ম ভরতে হচ্ছে তাতে এই প্রথমবার ভুল তথ্য দেবার বিরুদ্ধে শাস্তি দেবার হুমকি দেওয়া হয়েছে
২. আধার কার্ড বাধ্যতামূলক।
৩. আনুষঙ্গিক রোগের সমস্ত নথি জমা দেবার কথা।
দেশের বিপুল ও সংখ্যাগুরু প্রান্তিক গরীব মানুষদের নথি থাকে না। তাঁরা বঞ্চিত হবেন। ফলত শহরের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভ্যাক্সিন সেন্টার ফাঁকা ফাঁকা। সরকারি প্রতিষ্ঠান, যেমন এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের ভ্যাক্সিন সেন্টার ধুধু করছে। শহর ও মফস্বলের প্রান্তিক মানুষদের কাছে সমস্ত বাধা কাটিয়ে বিনামূল্যে তাদের দরজায় ভ্যাক্সিন না পৌঁছে দিলে দ্বিতীয় ওয়েভ আসন্ন। অনলাইন ক্লাস করা আপনার সন্তান, বাড়িতে বসে থেকে অবসাদগ্রস্থ বয়স্ক বাবা মা, কাজ ব্যবসা হারানো অথবা পে কাট পাওয়া আপনি আরেকটা লকডাউন সামলাতে পারবেন তো?
একটি গ্রাফ দিলাম। ভ্যাক্সিন প্রদানে আমরা বাংলাদেশের পেছনে। ‘বাংলাদেশের পেছনে’ এই বিশেষণে অভ্যস্ত হতে থাকুন। ঘন ঘন ফিরে আসছে এই শব্দচয়নটি।
তবু রাস্তায় ঘাটে কিছু লোক মাস্ক পড়ে থাকছে এটাই ভরসা।