Skip to content
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

আয়ুর্বেদের মূল পাঠ ও বিভিন্নতার সন্ধান (২য় অংশ)

Turmeric powder,Turmeric in Mortar Grinder drugs and ingredient herbs on wooden background
Dr. Jayanta Bhattacharya

Dr. Jayanta Bhattacharya

General physician
My Other Posts
  • April 21, 2025
  • 7:22 am
  • 4 Comments

(পাঠকদের সুবিধার জন্য আগের অংশের লিংক দেওয়া থাকল – https://thedoctorsdialogue.com/ayurvedic-texts-1/#comments)

আয়ুর্বেদ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পণ্ডিত শিব শর্মা (যাঁকে গান্ধীজি এবং মিউলেনবেল্ড দু’জনেই সৎ আয়ুর্বেদজ্ঞ বলে মনে করেছেন) একটি প্রণিধানযোগ্য কথা বলেছেন। তাঁর অভিমত অনুযায়ী, আয়ুর্বেদের কৃতিত্বকে বিচার করতে হবে সমসাময়িক সামাজিক ও জ্ঞান জগতের প্রেক্ষিতে। এরকম প্রেক্ষিতে বিচার করা প্রয়োজন আয়ুর্বেদে জ্ঞানের গুনমান কী। শুধু এটুকুই নয়, বিচার করতে হবে “potentialities and limitations of relevant era.”[1]

মিউলেনবেল্ড তাঁর ম্যাগনাম ওপাস (A History of Indian Medical Literature – HIML) গ্রন্থরাজির পটভূমি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানাচ্ছেন – “Indian medicine is a relatively neglected area in works on the history of medicine. Seen from a wider perspective, encompassing the great civilizations of the world, the medical art that originated in the Indian subcontinent deserves more attention than it has received. Like Greek medicine, it spreads over a large area, comprising Central Asia and a large part of Southeast Asia; Buddhist circles in China and Japan were interested in and influenced by it.”[2]

একথাগুলো মিউলেনবেল্ড ১৯৯৯ সালে লিখেছিলেন। তারপরে ২৫ বছরের বেশি সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের নিষ্ঠাবান, পরিশ্রমী এবং অনুসন্ধানী স্কলারেরা আয়ুর্বেদ নিয়ে ক্রমাগত গবেষণা করে চলেছেন। এবং আমাদের কাছে সাধারণভাবে অজানা বহু দিক উন্মোচিত ও ব্যাখ্যা করছেন। নতুন ভাবনার ও বিচার-বিশ্লেষণের একটি ক্রমপ্রবাহ বিদ্যমান।

মিউলেনবেল্ডের পরবর্তী পর্যবেক্ষণ – “A factual history of Indian medicine and its literature ought to show respect for both agreements and divergences of opinion expressed in the sources. Continuity in thought and practices of change over the centuries should be described with an equal degree of attention and accuracy.”[3] অস্যার্থ, টীকাকারদের ব্যাখ্যায় এবং মূল ভাষ্যে “এগ্রিমেন্ট” এবং “ডাইভেরজেন্স” দুটোই আছে। চিন্তাপ্রবাহের যেমন একটি ছেদহীন পরম্পরা আছে, তেমনি প্র্যাক্টিসের ক্ষেত্রে সময়ের সাথে পরিবর্তন ঘটেছে। দুটি বিষয়ই আমাদের বিচারের ক্ষেত্রে মনোযোগ ও শ্রদ্ধা দাবী করে।

কিন্তু বর্তমান ভারতে “হিন্দু” পুনরুত্থানের প্রবল বেগের মাঝে এই ক্রিটিকাল বিচার, অন্তত ভারতীয় গবেষকদের একটি উল্লেক্ষযোগ্য সংখ্যক অংশের মধ্য থেকে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। এবার আমরা সে অংশটুকু নিয়ে কিছু কথা বলি। ভারতীয় গবেষক এবং লেখকেদের এ অংশটি ধরে নেন অনন্তকাল ধরে (সময়ের কোন সীমারেখা নেই) একটি ছেদহীন পরম্পরা আছে। এর মধ্যে কোন বিভিন্নতা বা মতদ্বৈধ নেই, এবং সবই (অর্থাৎ ক্রিটিকাল বিচার ছাড়া তাঁরা যা বলছেন) শাস্ত্রানুমোদিত।

একটি প্রতিনিধিস্থানীয় সাম্প্রতিক উদাহরণ দেওয়া যাক – “Ayurveda is eternal, auspicious, auspicious, ayusha, and a professional scripture. It is the oldest medical system in the world and the invaluable cultural heritage and heritage of India and the disharmonious knowledge. Ayurveda, along with being a scientific medical science, is a complete life science, which has been providing long-term, semi-spiritual and spiritual healing benefits to human life in the country since ancient times. It has a holy post in all the Indian society and the Vadmaya (?).”[4]

ভিন্ন ধারণা পোষণ করেন রাহুল পিটার দাস। “ঐতিহ্যাশ্রয়ী ভারতীয় মেডিসিন (Traditional Indian Medicine)” বলতে সঠিকভাবে কী বোঝায়, ব্যাখ্যার মাঝে কী ধরনের অসঙ্গতি থাকতে পারে এবং আরও গভীরতর পাঠ (অবশ্যই আয়ুর্বেদের ক্ষেত্রে) কেমন হতে এ নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন।[5] সংক্ষিপ্তাকারে তাঁর আলোচনার প্রধান প্রতিপাদ্যগুলোকে এভাবে পরপর তুলে ধরা যায়।

(১) যখন আমরা “ঐতিহ্যাশ্রয়ী ভারতীয় মেডিসিন” নিয়ে কথা বলি, তখন আমরা প্রকৃত অর্থে কী বোঝাতে চাই? কারণ, আয়ুর্বেদের উদ্ভবের সময় আজ যে আধুনিক এবং “narrow politico-geographical sense” বোঝায়, তখন তা অনুপস্থিত ছিল। একদিকে এটা যেমন স্থানিক সমস্যা, তেমনি ভারতীয় মেডিসিনের মধ্যে বহু ধারা উপধারা রয়েছে। সেগুলোকে বিচার করে পৃথক করা আরেক দুঃসাধ্য কাজ।[6]

(২) তাঁর পর্যবেক্ষণে – “the whole subject of the autocthony of ‘Indian’ medicine is one which readily lends itself to speculation”।[7]

(৩) আয়ুর্বেদ কোন “ট্রেড মার্ক” নয়। এ কারণে এটা অনেকসময়েই পরিষ্কার নয় যে “what individual scholars understand under this term, but also similarly unclear whether what claims to be Āyurveda actually is always so.”[8]

(৪) আয়ুর্বেদকে আধুনিক মেডিসিনের সঙ্গে কোন তুলনায় আনা যায়না, উচিতও নয়। জীবনের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধির বিভিন্ন প্রকরণের কথা হয়েছে যার মধ্যে অনিবার্যভাবেই চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। একে “মেডিক্যাল লিটারেচার” বলা অধিকতর যুক্তিপূর্ণ।

(৫) “that the Indian climate is most unkind to manuscripts” এ কারণে মৌখিকভাবে এর ধারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বাহিত হয়েছে। লিখিত রূপ এসেছে অনেক পরে (অন্তত কয়েক’শ বছর)। লিখিত রূপ লিপিবদ্ধ করার সময় সংস্কারকর্তাদের হাতে কিছু বাদ গেছে, নতুনতর ব্যাখ্যা সংযোজিত হয়েছে। ফলে আদিতে মূল টেক্সটে কী বলা ছিল সেটা খুঁজে পাওয়া এবং নির্ভুলভাবে নির্ণয় করা প্রায় অসম্ভব একটি ঘটনা।[9] আরেকটি বিষয় হল, আমাদের মাঝে এরকম ধারণা বিশেষভাবে মান্যতা পায় যে, যে টেক্সট যত প্রাচীন তার “authoritativeness” তত বেশি।

(৬) দাসের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এর পরের সমস্যা টেক্সটের “heterogeneity”। তাঁর অভিমত হল – “In the older texts we can still clearly find various theories in conflict, while at the same time we can also see some theories suppressing others, leading to their being discarded.”[10]

(৭) আয়ুর্বেদ বিচারের আরেকটি সমস্যাকে চিহ্নিত করেছেন দাস – “anti-evolutionary”, অর্থাৎ সময়ের সাথে পরিবর্তনের যে ধারণা সেটা, বিশেষ করে ভারতে, অনুপস্থিত। বরঞ্চ এখানে আয়ুর্বেদকে ধরে নেওয়া হয় অপরিবর্তনীয়, দৈবী উৎপত্তি এবং মানুষ-অতিরিক্ত শক্তিসম্পন্ন অনন্তকাল ধরে প্রবাহিত একটি জ্ঞানপুঞ্জ হিসেবে। এর ফলে দাসের অভিমত অনুযায়ী (এবং অবশ্যই আমিও সহমত) – “seems gradually to have hindered independent investigation and ultimately to a sort of ossification and subsequent decline of medical knowledge.”[11]

মিউলেনবেল্ড প্রায় হুবহু সমধর্মী সমস্যা চিহ্নিত করেছেন তাঁর অতিব্যাপ্ত অনুসন্ধান এবং গভীর পর্যবেক্ষণে – “Statements that appeared to jeopardise the tridoṣaväda caught the eye of the commentators and gave them much food for thought in their efforts to avert any danger to the prevailing theory. The obvious meaning of some discordant utterances was twisted until concurring with the system. Passages that were ambiguous and susceptible to various interpretations were made to conform. A conspicuous aspect of the reasonings met with is the tendency to avoid the acceptance of any bodily constituent as a factor capable, independently of the doṣas, of initiating physiological and, more especially, pathogenetic processes. The champion in this field is Cakrapanidatta, while Dalhana is prone to give most weight to considerations relating to medical practice.”[12]

(৮) রাহুল পিটার দাসের আরেকটি বিশেষ পর্যবেক্ষণ হল, আয়ুর্বেদ বিভিন্ন ধারণার বাহক হিসেবে কাজ করে – “the use of Āyurveda as a vehicle for the propagation of ideas not necessarily of a medicial nature.”[13] প্রাচীনত্বের ধারণার এক বাহক হিসেবে কাজ করে আয়ুর্বেদ। আজকের ভারতবর্ষে এর পরিব্যাপ্ত ও সুপ্রচুর প্রয়োগ আমরা দেখছি।

চরক-সংহিতা – সূত্রস্থান – প্রথম অধ্যায়

চরক-সংহিতা-র সূত্রস্থান-এর প্রথম অধ্যায় হল দীর্ঘমজীবিতীয় অধ্যায়। সূত্রস্থানকে সমগ্র সংহিতার মুখবন্ধ বললেও অত্যুক্তি হয়না। ফলে আয়ুর্বেদের সেক্যুলার চরিত্রের ওপরে ব্রাহ্মণ্যবাদ এবং দৈব মাহাত্ম্যের স্তরটি সূত্রস্থান থেকেই আরোপ করা হয়েছে। এ কথাগুলো টেক্সটের মনোযোগী পাঠে সহজেই চোখে আসে। সূত্রস্থানে যেভাবে বিবৃত হয়েছে তাতে জ্ঞানের প্রবাহের চরিত্রটি এরকম – ব্রহ্মা ˃ দক্ষ-প্রজাপতি ˃ অশ্বিন ভ্রাতৃদ্বয় ˃ ইন্দ্র ˃ ভরদ্বাজ ˃ আত্রেয় পুনর্বসু ˃ অগ্নিবেশ। অগ্নিবেশ ছাড়াও ভেল, জতূকর্ণ, পরাশর, হারীত এবং ক্ষরপাণি-ও আয়ুর্বেদ গ্রন্থ তথা সূত্রসমূহ লিপিবদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু বারংবার বিভিন্ন সময়ে আত্রেয়কেই আয়ুর্বেদের মূল গ্রন্থকার হিসেবে গৃহীত হয়েছেন (ইতি-হ-স্মাহভগবান-আত্রেয়।[14] (সূঃ ১.১-৪০)

সূত্রস্থান-এর প্রথম অধ্যায় তথা “দীর্ঘমজীবিতীয় অধ্যায়”-এর শুরুতে বলা হচ্ছে – “নানাবিধ রোগের প্রাদুর্ভাবে মানুশের তপস্যা, উপবাস, অধ্যয়ন, ব্রহ্মচর্য, ব্রত ও আয়ুর বিঘ্ন ঘটছে চাক্ষুষ করে সর্বভূতে দয়াপরবশ পুণ্যকর্মা মহর্ষিরা হিমালয়ের শুভ পার্শ্বদেশে এক সময়ে সমাবেত হয়েছিলেন।” এই দুটি শ্লোকে আরও বলা হচ্ছে – “কেবলমাত্র আরোগ্যই ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ এই চতুর্বর্গ সাধনের মূল কারণ। বিপরীতে রোগসমূহ উল্লেখিত চতুর্বর্গ ও জীবনের অপহর্তা হয়ে এখন মানুষের বিশেষ অন্তরায় স্বরূপ হয়েছ। এ বলে সবাই ধ্যানস্থ হলেন।” (সূঃ ১.১৫-১৭)

এখানে ধ্যানস্থ হবার কথা যাদের উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে তাঁরা হিমালয়ের পাদদেশে কোন এক অঞ্চলে আয়ুর্বেদ শিক্ষার জন্য সমবেত হয়েছিলেন – অনেকটা বর্তমান কালের সেমিনারের মতো। এই মহর্ষিরা হলেন – অঙ্গিরা, যমদগ্নি, বশিষ্ঠ, কাশ্যপ, ভৃগু, অত্রিনন্দন পুনর্বসু (তথা আত্রেয়), কপিঞ্জল, সাঙ্খ্য, গৌতম, পুলস্ত্য, নারদ, অগস্ত্য, বামদেব মার্কণ্ডেয়, আশ্বলায়ন, অত্রিনন্দন ভিক্ষু পারিক্ষি, কপিঞ্জল, ভরদ্বাজ, বিশ্বামিত্র, আশ্বরথ্য, ভার্গব, ভ্যবন, অভিজিৎ, গার্গ্য, শাণ্ডিল্য, কৌণ্ডিল্য, বাক্ষি, দেবল, গালব, সঙ্কৃত্য, বৈজবাপি, কুশিক, বাদরায়ন, বড়িশ, শরলোমা, কাপ্য, কাত্যায়ন, কাঙ্কায়ন, কৈকেশেয়, ধৌম্য, মারীচি, কাশ্যপ, শর্করাক্ষ, হিরণ্যাক্ষ, লোকাক্ষ, পৈঙ্গি, শৌনক, শাকুনেয়, মৈত্রেয় ও মৈনতায়নি। এরা ছাড়াও আরও অনেক ঋষি ও বৈখানস এবং বালখিল্য গোত্রের ঋষিরা ছিলেন। এরা সকলেই দম (আত্মনিয়ন্ত্রন), নিয়ম এবং ব্রহ্মজ্ঞানের নিধি (জ্ঞানের উৎস) এবং সকলেই তপস্যার তেজে উজ্জ্বল অগ্নির মতো প্রদীপ্ত। (সূঃ ১.৮-১৪)

আয়ুর্বেদের ঐশ্বরিক উদ্ভবকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এরকম বিপুলসংখ্যক মহর্ষি ও ঋষি সমাগমের কাহিনি সূত্রস্থানে প্রবিষ্ট হয়েছে, অনুমান করা যায়। মিউলেনবেল্ড বলছনে – “Stories about the transmission of the āyurveda from divinities to human sages, similar to those found in the Carasaṃhitā or of a more or less different character in the Suśrutsaṃhitā, the works attributed to Vāgbhaṭa, the Kāśapasaṃhitā, Bhāvamiśra’s Bhävaprakāśa, and the Bṛhannighaṇṭauratnākara. An independent tradition regarding the origin of äyurveda is presented by the Brahmavaibartaprāṇa.”[15]

মিউলেনবেল্ডের ব্যাখানুযায়ী – “The large assembly of sages is a characteristic feature of the Carasaṃhitä, although not unique. A similar group of the met at the court of king Romapäda in order to be instructed in hatyäyurveda (হস্তি-আয়ুর্বেদ). Part I of Bower MS tells us about a group of of sages in the Himälayas who are interested in medicinal plants.”[16] বাংলা করলে হবে – বহুসংখ্যক ঋষির সমবেত হওয়া চরক-সংহিতা-র একটি বৈশিষ্ট্য, তবে অনন্য নয়। রোমপাদ রাজার দরবারে হস্তি-আয়ুর্বেদ-এ শিক্ষালাভের জন্য এরকম সমাবেশ হয়েছিল। এছাড়াও Bower ম্যানাসক্রিপ্টেও এর নমুনা দেখা যায়। এরপরে মিউলেনবেল্ড দেখিয়েছেন – “Parallels occur in non-medical treatises. A long list, with partly the same names as those of the Carasaṃhitä, is found in Bharatīyanäṭyaśästra. Meeting of numerous sages is also described in the Mahäbhärata, Rämäyaṇa and Bhägavatpuräṇa.”[17] অর্থাৎ মহাভারত, রামায়ণ ও ভাগবতপুরাণের মতো non-medical সাহিত্যেও সমধর্মী সমাবেশের উদাহরণ দেখা যায়। এমনকি বহু ঋষির নামও এক – যেমনটা সূত্রস্থান-এ পেয়েছি। সাহিত্য, শাস্ত্র এবং আয়ুর্বেদের দৈবীকরণের ক্ষেত্রে সর্বত্রই কমবেশি একই পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে কৌতুহলজনক, ঐতিহাসিকভাবে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে রচিত হলেও ঋষিদের নামও এক থাকছে। এ বিষয়টি যথেষ্ট আশ্চর্যজনক বৈকি।

(ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ – উইকিপিডিয়া)

এবার ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ (শব্দভেদে একে ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণ-ও বলা হয়)-এ আয়ুর্বেদ-এর উৎপত্তি নিয়ে কী বলা আছে দেখা যাক।[18] এই পুরাণের প্রথম কাণ্ড হচ্ছে “ব্রহ্মকাণ্ড”। ব্রহ্মকাণ্ডের দশম অধ্যায়ে বলা হয়েছে – “বেদের পরচিতি রিগ, যজু, সাম এবং অথর্বন হিসেবে। এই বেদ্গুলো পাঠ এবং অর্থোদ্ধার করে অধীশ্বর ব্রহ্মা আয়ুর্বেদ নামে পরিচিত বেদের সৃষ্টি করলেন।”[19] এরপরে ব্রহ্মা “তাঁর শিষ্যদের আয়ুর্বেদ শিক্ষা দিয়ে তাঁদের হাতে তুলে দিলেন। এরপরে তাঁর ছাত্ররা এর থেকে প্রচুরসংখ্যক সংহিতার সৃষ্টি করলেন।”[20]

পরে বলা হচ্ছে – “The intellectuals churned the ocean of Ayurveda with the churning rod of their intelligence and gave the above tantras a new form।“[21] এখানে বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, স্বয়ং ব্রহ্মা তাঁর শিষ্যদের সরাসরি আয়ুর্বেদ শিক্ষা দিচ্ছেন। মধ্যবর্তী বাহক (ঋষি) বা সমাবেশের কথা বলা নেই। এবং গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, মেধাসম্পন্ন ব্যক্তিরা (intellectuals, সংস্কৃতে “আয়ুর্বেদয়োনিধিম্” শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে) এই তন্ত্রের নতুন চেহারা দিয়েছেন ও অনেকসংখ্যক সংহিতার জন্ম দিয়েছেন। এরকম ব্যাখ্যার মধ্যে দৈবী উৎস ও বহুসংখ্যক ঋষিদের অংশগ্রহণের বিস্তার, পরিধি এবং গুরুত্ব অনেক কম। এ কারণে আয়ুর্বেদ-এর উৎপত্তি সম্পর্কে ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ-এর ব্যাখা বিশেষ অনুধাবনযোগ্য। আরও একটি বিষয় আমাদের ভাবাবে যে, চরক-সংহিতা-র যে মান্য ও গ্রাহ্য পাঠ আমরা অনুসরণ করি, এর বাইরেও ভিন্নতর পাঠ রয়েছে। রয়েছে ভিন্নতা। আমরা যেন এগুলোও বিবেচনায় রাখি।

মিউলেনবেল্ড জানাচ্ছেন – “Verses 3-40 describe the descent of divine äyurveda to earth. The äyurveda was transmitted by Brahmä to Prajäpati, by Prajäpati to the Aśvins, by the Aśvins to Indra.”[22] আমরা এ বিষয়ে এ লেখার গোড়াতেই আলোচনা করেছি।

গুরুত্বপূর্ণ হল, প্রথম ৪০টি শ্লোক জুড়ে বিবৃত হয়েছে আয়ুর্বেদের দেবলোক থেকে মর্ত্যে অবতরণের বিশদ বৃত্তান্ত। পরবর্তী শ্লোকগুলোতে আমরা পাবো আয়ুর্বেদের বিভিন্ন বিচার ও শিক্ষার আনুপূর্বিক বৃত্তান্ত। আমাদের নজরে থাকা ভালো, বেদ রচনার সময়কাল থেকেই আরোগ্যলাভের জন্য দেবতা ও মানুষের আকাঙ্খা এবং প্রয়োজনীয় ওষধির সন্ধান ও সংগ্রহ করা অনিবার্যকারণেই একটি আবশ্যিক কাজ ছিল। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ঋগবেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ, অথর্ববেদ এবং বাজসনেয়ি সংহিতা (শুক্ল যজুর্বেদ-এর একটি অংশ – রচনার সময়াকাল ১২০০-৮০০ খৃষ্টপূর্বাব্দ বলে অনুমিত হয়) সবটিতেই বিভিন্ন প্রসঙ্গে ধর্মীয় অনুষঙ্গে দেবতা ও মানুষের আরোগ্যলাভ এবং দীর্ঘায়ু অর্জন প্রাধান্য পেয়েছে। অথর্ববেদ-এ বিপুল পরিমাণ ভেষজের উল্লেখ আছে। কিন্তু এই আরোগ্যের পথ ছিল দৈবব্যপাশ্রয় ভেষজ। পরে আয়ুর্বেদ-এ এসে এর যুক্তিব্যপাশ্রয় ভেষজ-এ উত্তরণ ঘটেছে।

একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। দেবতা রুদ্রের ব্যাপারে বলা হচ্ছে – “His healing powers are mentioned with especial frequency. He grants remedies, he commands every remedy, and has a thousand remedies. He carries in his hand choice remedies, and his hand is restorative and healing. He raises up heroes by his remedies, for he is the greatest physician of physicians, and by his auspicious remedies his worshipper hopes to live a hundred winters. He is besought to remove sickness from his worshippers’ offspring and to be favourable to man and beast, that all in the village may be well-fed and free from disease. In this connexion Rudra has two epithets which are peculiar to him, jalāṣa, (perhaps) ‘healing’ and jalāsa-bheṣaja, ‘possessing healing remedies. These medicines against sickness are probably rains.”[23]

সূত্রস্থান-এর ৪১তম শ্লোক থেকে শুরু মূল আরোগ্য সংক্রান্ত বিষয়। এর আগের ৪০টি শ্লোক যদি না থাকত, কিংবা অনুপ্রবিষ্ট না হত, তাহলে যে মূল টেক্সটের প্রতিপাদ্য পরিবর্তিত হত, আদৌ বিষয়টি এমন নয়।

হিতাহিতং সুখং দুখঃমায়ুস্তস্য হিতাহিতম্।

                                    মানঞ্চতচ্চ যত্রোক্তমায়ুর্ব্বেদঃ স উচ্যতে। (সূঃ ১.৪১)

বাংলায় – আয়ু চার প্রকার। হিতায়ুঃ, অহিতায়ুঃ, সুখায়ুঃ এবং দুখায়ুঃ। এই চার প্রকার আয়ুঃ এবং আয়ুর হিতকর ও অহিতকর সমস্ত বিষয়, আয়ুর পরিমাণ ও স্বরূপ নির্ণয় যে শাস্ত্রে বলা আছে, তাকে আয়ুর্বেদ বলে।

এখানে উল্লেখযোগ্য হল, হিতায়ুঃ, অহিতায়ুঃ, সুখায়ুঃ এবং দু;খায়ূঃ – এই চারটি অবস্থার মধ্যে মনুষ্যজীবন চক্রাকারে অতিবাহিত হয়। এখানে কোন প্রশ্ন তুললে তাদেরকে সংশয়বাদী বা নাস্তিক্যবাদী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রান্তিক অবস্থানে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হল – আয়ুর দ্বিত্বতা। হিতায়ুঃ-অহিতায়ুঃ এবং সুখায়ুঃ-দুঃখায়ু এই দুটি দ্বিত্ব অবস্থান সহজেই চোখে পড়ে – “The object of the science of life is to teach what is conducive to all these four kinds of life and to determine the length of such a life. But, if Āyurveda means “science of life,” what is the connection with the Atharva-veda? We find in the Caraka-saṃhitä that a physician be attached (bhaktir-adeśya) to the Atharva-veda.”[24]

পরের শ্লোকটি হল – শরীরেন্দ্রিয়সত্ত্বাসংযোগ ধারি জীবিতম্। নিত্যগশ্চানুবন্ধশ্চ পর্যায়ৈরায়ুরুচ্যতে।। (সূঃ ১.৪২) (শরীর, ইন্দ্রিয়, মন ও আত্মা এদের সংযুক্ত অবস্থার নাম আয়ু। ধারি, জীবিত, ন্ত্যগ এবং অনুবন্ধ – এই কয়েকটি শব্দ আয়ুর সমার্থক শব্দ।)

     তস্যায়ুষঃ পুণ্যতম বেদোবেদবিদাং মত।

বক্ষ্যতে ষন্মনুষ্যানাং লোকয়োরূভয়োর্হিতং।। (সূঃ ১.৪৩)

বাংলায় – বেদবিদ্ সম্মত উভয়লোক হিতকর পুণ্যতম আয়ুর্বেদ এবার বর্ণনা করা হবে।

সর্ব্বদা সর্ভাবানাং সামান্যং বৃদ্ধিকারণং।

    হ্রাসহেতুর্বিশেষশ্চ প্রবৃত্তিরুভয়স্যত্য।। (সূঃ ১.৪৪)

বাংলায় – সমস্ত সময়ে ও সমস্ত অবস্থায় সমস্ত রকমের দ্রব্য, গুণ ও কর্মের যে সমানতা, সেগুলোই তাদের বৃদ্ধির কারণ। এবং দ্রব্যসমূহের যে অসমান ভাব, সেগুলোই তাদের হ্রাসের কারণ। উপরন্তু উভয়ই অর্থাৎ বৃদ্ধি বা হ্রাস সংযোগসাপেক্ষ। এর অর্থ হল, সমান ধর্মী দ্রব্যসমূহের যোগে দ্রব্যসমহ বৃদ্ধি পায় এবং বিপরীতধর্মী দ্রব্যসমূহের যোগে দ্রব্যসমূহ হ্রাস পায়।

এখানে আমাদের “সর্ব্বদা সর্ভাবানাং সামান্যং” বাক্যাংশটির দিকে নজর দেব। দর্শনের পরিভাষায় সামান্য-কে generic concomitance  হিসেবে দেখা হয়। পরের শ্লোকে বলা হচ্ছে –

                                    সামান্যমেকত্বকরং বিশেষস্তু পৃথকত্বকৃৎ।

         তুল্যার্থতা হি সামান্যং বিশেষন্তুবিপর্য্যয়ঃ।। (সুঃ ১.৪৫)

বাংলায় – যার সাহায্যে একত্ব বোধ জন্মে, তার নাম সামান্য, এবং যার সাহায্যে পৃথত্ব বোধ জন্মায় তার নাম বিশেষ। সামান্য শব্দে তুল্যার্থতা বা এক পদার্থতা বোঝায় এবং বিশেষ শব্দে পৃথক পদার্থতা বোঝায়।

প্রসঙ্গত আমরা মিউলেনবেল্ডের গুরুত্ববাহী পর্যবেক্ষণ দেখে নিতে পারি। তিনি বলছেন – “The next series of verses, 44-52, deal with Vaiśeṣika concepts and their application in āyurveda, a subject not discussed in Bhelasaṃhitā, Suśrutasaṃhitā and in the ascribed to Vāgbhaṭa … The most important passages of Carakasaṃhitā on the universals (sāmānya) and particulars (viśeṣa) are: Sü.1.28cd-29ab, which lists the six categories of Vaiśeṣika in the following order: sāmānya, viśeṣa, guṇa, dravya, karman and samavāya; 1.44, which describes the causality of sāmānya and viśeṣa; 1.45, which defines these concepts through characteristics useful in medicine.”[25]

আমরা দেখে নিই “Sü.1.28cd-29ab”-তে কী বলা হয়েছে – ঋষিগণ দীর্ঘায়ু লাভের কামনায় সেই সর্বলোকহিতকর আয়ুর্বুদ্ধিকারক আয়ুর্বেদ শাস্ত্র ভরদ্বাজের কাছ থেকে সমাদরে গ্রহণ করে জ্ঞানচক্ষু লাভ করে সামান্য, বিশেষ, দ্রব্য, গুণ, কর্ম ও সমবায় সম্বন্ধে যথাযথ আবগত হয়ে আয়ুর্বেদতন্ত্রের বিধিসমূহ প্রতিপালন করে পরম সুখ ও অক্ষয় আয়ুলাভ করেছিলেন।”

এ শ্লোকগুলোর মাঝে এবং চরক– ও সুশ্রুত-সংহিতা-য় যুক্তিবাদী দর্শনের ধারা বৈশেষিক এবং ন্যায়-এর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এবং সে প্রভাব যথেষ্ট গভীর। সুরেন্দ্রনাথ দাসগুপ্ত তাঁর পূর্বোল্লেখিত A History of Indian Philosophy (HIP, in 5 volumes) গ্রন্থে এ বিষয়ে সম্যক আলোচনা করেছেন। আমি প্রাসঙ্গিক দুটি অংশ উদ্ধৃত করছি – “It is well to note in this connection that the Caraka-saṃhitā begins with an enumeration of the Vaiśeṣika categories, and though it often differs from the Vaiśeṣika view, it seems to take its start with from the Vaiśeṣika. It enumerates the five elements, mānas, time, space and self as substances (dravya)…”[26] পরবর্তীতে বলছেন – “Having described the Sāṃkhya theory, Suśruta says that according to medical science the causes of things are sixfold, viz. (1) nature of things (svabhāva), (2) God (Īśvara), (3) time (kāla), (4) accidental happenings (yadṛcchā), (5) destiny (niyati) and (6) evolution (pariṇāma).”[27]

আমাদের মাথায় রাখতে হবে, দাসগুপ্ত “পরিণাম”-এর যে অর্থ হিসেবে ইংরেজিতে evolution করেছেন, তার সাথে বৈজ্ঞানিকভাবে গৃহীত বিবর্তন বা evolution-এর কোন সম্পর্ক বা সাযুজ্য নেই। পরিণাম-এর গৃহীত বিভিন্ন অর্থের মধ্যে পরিমাণ বা ১০টির মধ্যে ১টি পরাদি গুণ, সময়ের প্রভাব বা রূপান্তর (transformation) বোঝায়। এ কারণে দাসগুপ্তের অনুবাদে evolution শব্দার্থটি গ্রহণ করা সমস্যার।

দাসগুপ্তের আরেকটি প্রণিধানযোগ্য বক্তব্য আমরা দেখে নিতে পারি – “It was practical necessity for these physicians to earn their bread in the face of strong competition, and it is easy to see how the logical tricks of chala, jāti and nigraha-sthana developed into a regular art of debate, not always for the discovery of truth, but also for gaining victory over opponents.”[28]

এবার আমরা আবার সূত্রস্থান-এর বিবেচনায় ফিরে আসি – “মন, আত্মা ও শরীর – এরা ত্রিদণ্ডের মতো। অর্থাৎ যেমন তিনটি দণ্ডের সংযোগে একটি ত্রিদণ্ড (ত্রিপদী বা তেপায়া) প্রস্তুত হয় এবং তার ওপরে দ্রব্যসমুহ রাখতে পারা য্য; সেরকম মন, আত্মা ও শরীরের সংযোগের ওপরেই কর্মফল, বিষয়বাসনা, সুখ, দুঃখ, জ্ঞানাজ্ঞান প্রভৃতি সবকিছুই নির্ভর করছে। এদের সংযুক্ত অবস্থাকেই পুরুষ বলে। এই পুরুষই চেতনা, ইনিই সুখ দুঃখ ইত্যাদির আধার এবং এর জন্যই বেদ (আয়ুর্বেদ) প্রকাশিত হয়েছে।” (সূঃ ১.৪৬-৪৭)

বায়ু, পিত্ত ও কফের বিকৃতি থেকে শরীরে সবধরনের রোগের উৎপত্তি হয়ে থাকে। এ কারণে বায়ু, পিত্ত ও কফকে শারীর-দোষ বলে এবং রজঃ ও তম থেকে সমস্তপ্রকার উৎপন্ন হয় বলে এদেরকে মানসদোষ বলে। (সূঃ ১.৫৭)

পূর্ব অর্থাৎ শারীরিক দোষসমূহ হোম প্রভৃতি দৈব-কার্য ও যুক্তিঘটিত ওষুধ সেবনের সাহায্যে উপশমিত হয়ে থাকে এবং মানস-দোষসকল জ্ঞান, বিজ্ঞান, ধৈর্য, স্মৃতি ও সমাধিবলে প্রশান্ত হয়। (সূঃ ১.৫৮)

এখানে লক্ষ্যণীয়, দৈব-কার্য ও যুক্তিঘটিত ওষুধ সেবন-কে পাশাপাশি রাখতে হয়েছে। সম্ভবত এরকম বহু জায়গায় চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান ও যুক্তিবোধের সঙ্গে প্রচলিত সামাজিক মতবাদের সংঘাতে একটি সমঝোতায় আসতে হয়েছে। মানস-দোষ-এর ক্ষেত্রে জ্ঞান, বিজ্ঞান, ধৈর্য, স্মৃতি ও সমাধি[29]-র উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে বলা হয়েছে – “কর্ম ও গুণ যার মধ্যে আশ্রিত থাকে এবং যা সমবায়ি কারণ, তাহল দ্রব্য। আর যা সমবায়ি অথচ নিশ্চেষ্ট এবং কারণ, তাকে গুণ বলা যায়। সংযোগ ও বিভাগ বিষয়ে যা কারণ অথচ যা দ্রব্যকে আশ্রয় করে থাকে, তাকে কর্ম বলা যায়। কর্তব্যের যে ক্রিয়া তা-ই হল কর্ম। কর্ম অন্য কোন কর্মের জন্য অপেক্ষা করেনা। (সূঃ ১.৫১-৫২)

মিউলেনবেল্ড এই শ্লোকটি সম্বন্ধে মন্তব্য করছেন – “Verse 52 describes karman, in conformity with Vaiśeṣika views, as inherent in substance, causative of conjunction (samyoga) and disjunction (bibhāga), and independent of other factors (nānyad apekṣate).”[30]

সূত্রস্থান-এ বলা হল – “শরীর এবং মন, এই দুটিকে আশ্রয় করে যতরকমের রোগ উৎপন্ন হতে পারে – কাল, বুদ্ধি ও ইন্দ্রিয়সমূহের অযোগ, অতিযোগ এবং মিথ্যাযোগ, এই তিনটিই সমস্ত রোগের কারণ।” (সূঃ ১.৫৪) এবং – “বায়ু, পিত্ত ও কফ-এর বিকৃতি থেকে শরীরে সবরকমের রোগের উৎপত্তি হয়ে থাকে। এ কারণে বায়ু, পিত্ত ও কফ-কে শারীর দোষ বলে এবং রজঃ ও তম থেকে সমস্তরকমের মানসিক রোগ উৎপন্ন হয় বলে এদেরকে মানসদোষ বলে।” (সূঃ ১.৫৭)

ওষধি তথা চিকিৎসার দ্রব্যকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে – “প্রভাব ভেদে দ্রব্য ত্রিবিধ। কোন কোন দ্রব্য বায়ু, পিত্ত ও কফের শমতা করে (দোষপ্রশমন), কোন কোন দ্রব্যের প্রভাবে রক্ত ইত্যাদির দোষ উৎপন্ন হয় (ধাতুপ্রদূষণ) এবং কোন কোন দ্রব্যের প্রভাব সুস্থ শরীরের অনুকূল হয় (স্বস্থবৃতিকর)।” (সূঃ ১.৬৭)

মিউলেনবেল্ড স্বল্প কথায় বলছেন – “Verses 8-74ab divide drugs, according to their sources jäṇgama (মধু, গব্যদুগ্ধাদি, পিত্ত, মজ্জা, রক্ত, মাংস, মল, চর্ম, শুক্র, অস্থি, স্নায়ু, শৃঙ্গ, নখ, খুর, কেশ, রোম ও গোরচনা – এসব পদার্থ চিকিৎসার জন্য প্রযুক্ত হয়), bhauma (or pārthiva) and aubhida i.e., of animal, inorganic and vegetable origin”.[31]

ভূমিজাত উদ্ভিদকে ঔদ্ভিদ বলে। এরা ৪ প্রকার – বনস্পতি, বীরুধ, বানস্পত্য ও ওষধি। যাদের ফুল না হয়ে একেবারে ফল জন্মে তাদেরকে বনস্পতি বলে। ফুল হবার পরে যাদের ফল হয়, তাদেরকে বানস্পত্য বলে। ফল পেকে গেলে যাদের বিনাশ ঘটে, তাদেরকে ওষধি বলে এবং যারা গুল্মলতা ইত্যাদি দীর্ঘ জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে থাকে তাদেরকে বীরুধ  (বিস্তৃতবল্লী) বলে। (সূঃ ১.৬৮-৭৩)

যে সমস্ত উদ্ভিদ ব্যবহারে লাগে তাদের মধ্যে মূল-প্রধান উদ্ভিদ ১৬ প্রকার এবং ফল-প্রধান উদ্ভিদ ১৯ প্রকার। এরপরে এদের বিস্তৃত বর্ণনা দেওয়া আছে। (সূঃ ৭৭-৮৫) এরপরে লবণের ৫ প্রকার ভাগ করা হয়েছে। ৮ ধরনের মূত্রের উল্লেখ করা হয়েছে এবং এদের বিস্তৃত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। (সূঃ ১.৮৬-১০৪)

এছাড়াও বলা হয়েছে, ঘৃত, তৈল, বসা (মাংসের চর্বি) ও মজ্জা – মহাস্নেহ এই ৪ প্রকারের। এদের বিবরণ রয়েছে। (সূঃ ১.৮৬-৮৭) লবণ ৫ প্রকার। যেমন – সৌর্বচল (এক বিশেষ ধরনের বৃক্ষ থেকে জাত), সৈন্ধব, বিড় (মলমূত্র থেকে প্রাপ্ত), ঔদ্ভিদ ও সামুদ্র। পরে এদের বিবরণ রয়েছে। (সূঃ ১.৮৮-৯১)

এক জায়গায় বলা হচ্ছে – “যদি কোন ওষুধ অজানা থাকে তাহলে বিষ, শস্ত্র (অস্ত্র), অগ্নি ও বজ্রের মতো বিপজ্জনক, এমনকি মারণান্তক। কিন্তু বিজ্ঞাত ওষুধ (জানা ওষুধ) অমৃতের মতো উপকারী।” (সূঃ ১.১২৪-১২৫)

পুনরায় – “ওষুধের নাম, রূপ ও গুণ জানা না থাকলে, অথবা নাম, রূপ ও গুণ থাকলেও যদি ওষুধ অযথপ্রযুক্ত হয়, তাহলে সে ওষুধ অনর্থের কারণ হয়। সংযোগ ও প্রয়োগের গুণে তীক্ষ্ণ বিষও উত্তম ভেষজ হয়ে থাকে এবং সংযোগ ও প্রয়োগের দোষে উত্তম ভেষজও বিষের মতো অপকারী হয় … ইন্দ্রের বজ্র মাথায় পড়লে তার ফলে জীবন শেষ না-ও হতে পারে, কিন্তু অজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োগ করা ওষুধ রোগীর প্রাণ একেবারেই নিঃশেষ করে থাকে … কার্যসিদ্ধিতেই বোঝা যায় যে বৈ্যটি বৈদ্যোত্তম ও সর্বগুণযুক্ত।” (সূঃ ১.১২৬-১৩৩)

এখানে লক্ষ্যণীয়, কী গভীর মনোযোগ ও যত্ন সেসময়ের পারিপার্শ্বিকতায় যতটুকু জ্ঞানার্জন সম্ভব সেরকম অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানের (empirical knowledge) খুঁটিনাটি চিকিৎসকেরা সঞ্চয় করছেন, লিপিবদ্ধ করছেন। এরকম এক অবস্থান থেকে বলা হচ্ছে – “ছাগপালক, মেষপালক, ও গোপালক এবং অন্যান্য বনবাসীরাও ঔষধি সমূহের নাম এবং রূপ জানেন। কিন্তু নাম বা রূপ জানলেই যে ওষধির সম্যক জ্ঞান লাভ হয়, তা নয়। যিনি ওষধি সমূহের নাম ও রূপ জানেন এবং গুণ ও কর্মানুযায়ী তাদেরকে প্রয়োগ করতে সমর্থ, যোগজ্ঞ ব্যক্তিকেই ওষুধের তত্ত্ববিদ বলা যায়। এবং যে ভিষক সবরকম ওষধির তত্ত্ব অবগত আছেন, যিনি তাদের নাম, রূপ ও যোগ অবগত হয়ে দেশ, কাল ও পাত্র বিবেচনা করে তাদেরকে প্রয়োগ করতে সক্ষম, তাদেরকেই বৈদ্যরাজ বলে।” (সূঃ ১.১২০-১২৩)

শ্লোক ১৩৬-১৪০ জুড়ে সূত্রস্থান-এর সামগ্রিক শিক্ষার সংক্ষিপ্তসার করা হয়েছে। আধুনিক মেডিসিনের বর্তমান স্ময়ে যখন রোগীকে স্পর্শ করা, তার পাশে দাঁড়িয়ে শেখার মতো বুনিয়াদি বিষয়গুলো হারিয়ে গিয়ে তার জায়গা নিচ্ছে, তাকে প্রতিস্থাপিত করছে টেকনো-মেডিসিন এবং, সর্বোপরি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, সেরকম প্রেক্ষিতে যে যত্ন নিয়ে প্রাচীন আয়ুর্বেদ রচয়িতারা মাটি, জল, বৃক্ষ, জীবজগৎ এবং প্রতিটি বিষয়ের গভীরে গিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করেছেন, সেটুকু অংশ আমাদের কাছে এখনও শিক্ষণীয়।

_________________________________________

[1] Shiv Sharma, Ayurvedic Medicine: Past and Present, 1987, p. 167.

[2] Meulenbeld, HIML, IA, 1999, p. 1.

[3] Ibid, p. 2.

[4] Vipul Singh, “The Specific Contribution of Acharya Hemadri  in the Context of Explanation of Ayurvedic Terminology: W.S.R to Ashtang Hridya Samhita”, World Journal of Pharmaceutical Research 2021, 10 (6): 754-763.

[5] Rahul Peter Das, “On the Nature and Development of ‘Traditional Indian Medicine’”, JEAS 1993, (3): 56-71.

[6] Ibid, pp. 57-58.

[7] প্রাগুক্ত, পৃঃ ৫৮।

[8] Ibid, p. 61. “ট্রেড মার্ক” সংক্রান্ত বিস্তৃত আলোচনার জন্য দ্রষ্টব্য – Dieter von Schmädel, “Aurveda – Quo vadis? Maharishi Ayur-Veda —Fortschritt oder Sackgasse?” JEAS 1993, (3): 229-249. “ট্রেড মার্ক” নিয়ে লেখার শেষে Schmädel জানাচ্ছেন – “Maharishi Ayurved(a) (MA) consists of a mingling of bits taken from Ayurveda with the ideology of the sect of Transcendental Meditation (TM) founded by Maharishi Mahesh Yogi … This occupation and misuse of Ayurveda through the TM-sect not only discredit Ayurveda, but also endanger its further development.” p. 249.

[9] দাস, প্রাগুক্ত, পৃঃ ৬৪-৬৫।

[10] প্রাগুক্ত, পৃঃ ৬৫।

[11] প্রাগুক্ত, পৃঃ ৬৭-৬৮।

[12] Meulenbeld, “Some Neglected Aspects of Āyurveda or The Illusion of a Consistent Theory”, Traditional South Asian Medicine (TSAM) 2008, (8): 16-31. Quotation on p. 30.

[13] দাস, “On the Nature and Development of ‘Traditional Indian Medicine’”, পৃঃ ৬৯।

[14] শর্মা ও দাস, চরক-সংহিতা, পৃঃ xxxv.

[15] Meulenbeld, HIML, IA, p. 9.

[16] প্রাগুক্ত, পৃঃ ৯।

[17] প্রাগুক্ত, পৃঃ ৯।

[18] ব্রহ্মবৈববর্ত-পুরাণ-এর সময়কাল নিয়ে একাধিক মত এবং মতদ্বৈধ আছে। মোটের ওপরে ধরে নেওয়া হয়, এর প্রাচীনতম অংশটি ৮ম শতাব্দীর আশেপাশে রচিত হয়। তারপরে দীর্ঘ সময় ধরে সংস্কারকর্তাদের হাতে বারংবার পুনর্লিখিত হয়। শেষ অবধি এখন যে সংস্করণটি ব্যবহার করা হয়ে সে ভার্সন ১৫শ-১৬শ শতাব্দী নাগাদ বঙ্গদেশে রচিত। দক্ষিণ ভারতেও এ পুরাণের আদি রূপ পাওয়া যায়। যদিও এখন আর লভ্য নয়। বিস্তৃত আলোচনার জন্য দ্রষ্টব্যঃ R. C. Hazra, Studies in the Puränic Records on Hindu Rites and Customs, 1940, pp. 166-167. হাজরা-র অভিমতানুযায়ী – “A perusal of the Brahmabaibarta-purana shows that it is one of the latest of the Puräṇic works. Jogesh Chandra Roy has carefully examined that this Puräṇa and come to the conclusion that it was first composed most probably in the 8th century A.D. From about the 10th century it began to be changed by the interfering hands of the Bengal authors who recast it to its present form and content in the sixteenth century.” – p. 166. (Emphasis in original) এরপরে হাজরা অন্যান্য সূত্র থেকে এর স্বপক্ষে প্রমাণ দিয়েছেন। সেগুলো আমাদের আলোচনার জন্য প্রাসঙ্গিক নয়। আরেকটি সূত্র জানাচ্ছে – “Those in which Rajas or passion prevails relate chiefly to the god Brahma. They are – (1) Brahma, (2) Brahmawda, (3) Brahma-vaivarta, (4) Maäkaṇdeeya, (5) Bhavishya, (6) Vamana.” – John Dowson, A Classical Dictionary of Hindu Mythology and Religion, Geography, History, and Literature, 2nd edn., 1888, p. 246.

[19] ব্রহ্মবৈববর্ত পুরাণ, অনুঃ শান্তি লাল নাগর, নিউ দিল্লি (প্রকাশনার তারিখ অনুল্লেখিত), ব্রহ্মখণ্ড, দশম অধ্যায়, পৃঃ ৭৫।

[20] প্রাগুক্ত, পৃঃ ৭৫।

[21] প্রাগুক্ত, পৃঃ ৭৬।

[22] Meulenbeld, HIML, IA, p. 9.

[23] Arthur A. Macdonell, Vedic Mythology, 1897, p. 76.

[24] S. N. Dasgupta, A History Indian Philosophy, vol. II, 1991, p. 278.

[25] Meulenbeld, HIML, IA, p. 10.

[26] Dasgupta, HIP, vol. 2, 1991, p. 369.

[27] Ibid, p. 372.

[28] Ibid, p. 401.

[29] পি ভি শর্মা সমাধি-র ইংরেজি করেছেন concentration – শর্মা, চরক সংহিতা, ১ম খণ্ড, পৃঃ ৮।

[30] Meulenbeld, HIML, IA, p. 11.

[31] Meulenbeld, HIML, IA, p.12.

PrevPrevious‘হাতে হাত রেখে পার হব এই বিষের বিষাদসিন্ধু’
Nextস্বাস্থ্যের সত্যি মিথ্যে ১Next
3.7 3 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
4 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Soumya Panigrahi
Soumya Panigrahi
27 days ago

Great work

0
Reply
Asutosh Ghosh
Asutosh Ghosh
27 days ago

Nicely observed and written.

Ayurveda needs to be revised which have not been done unfortunately even over centuries. It’s being practiced in a way as it was used to be centuries ago, which at times appear ridiculous by the practicing
Allopaths.
As we all know research on the principles, methods and the drug molecules are needed to see whether Ayurveda provides additional benefit.
Unfortunately lacking encouragement and funding.
After all, whatever advantages have been brought by modern science and technology at the same time cost and errors are also increasing.

By the way, little more introduction of
Meulenbeld please.

Perhaps better spell is Brahamabaibarta…

0
Reply
Asutosh Ghosh
Asutosh Ghosh
27 days ago

… Brahamabaibartto…

0
Reply
Soumya Chakraborty
Soumya Chakraborty
25 days ago

Good one sir

0
Reply

সম্পর্কিত পোস্ট

মহা (ডিএ) লোভের খতিয়ান

May 19, 2025 No Comments

গতকাল সারাদিন ধরে ডিএ রায় নিয়ে বহু আজেবাজে পোস্ট করেছি। আজ থেকে ওই ব্যাপারে আর কিছু বলব না। এই ডিএ পাবার লোভটা এককথায় লোভই। আর

E09: Body Balance & Brain Function: Science-Backed Movement Training

May 19, 2025 No Comments

খুপরির গল্প

May 19, 2025 No Comments

আমাদের ক্লাবে শুক্রবার মেডিকেল ক্যাম্প শুরু হয় সকাল ছটা থেকে। কিন্তু কখন থেকে মানুষজন আসতে শুরু করেন বলা মুশকিল। ছটায় আমরা যখন ক্লাব ঘর খুলি,

হাসপাতালের জার্নাল: পাপী পেটের কেচ্ছা

May 18, 2025 1 Comment

দশচক্রে ভগবান ভূত একটা প্রচলিত বাগধারা। উল্টোটাও কখনও ঘটে। সাক্ষী আমি নিজেই। ঘটনা প্রায় পঞ্চাশ বছর আগের। বলি শুনুন। আমার বাবাকে একদা ভর্তি করেছিলাম সার্জারি

স্বাস্থ্যের সত্যি মিথ্যে ৮: কুলেখাড়া শাকের খাদ্যগুণ

May 18, 2025 No Comments

আগে যে সব খাদ্যকে হেলাফেলার দৃষ্টিতে দেখা হতো, ইদানীং সে সব খাদ্য আবার মানুষের খাদ্য তালিকায় ফেরত আসছে। শুধু ফেরত আসছে তাই নয়, একেবারে হই

সাম্প্রতিক পোস্ট

মহা (ডিএ) লোভের খতিয়ান

Dr. Arunachal Datta Choudhury May 19, 2025

E09: Body Balance & Brain Function: Science-Backed Movement Training

Dr. Subhamita Maitra May 19, 2025

খুপরির গল্প

Dr. Aindril Bhowmik May 19, 2025

হাসপাতালের জার্নাল: পাপী পেটের কেচ্ছা

Dr. Arunachal Datta Choudhury May 18, 2025

স্বাস্থ্যের সত্যি মিথ্যে ৮: কুলেখাড়া শাকের খাদ্যগুণ

Dr. Aindril Bhowmik May 18, 2025

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

555014
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

[wppb-register]