লক্ষ্মী নারায়ণ মিষ্টান্ন ভান্ডারের ছোটো প্যাকেটটা খুলতেই সকালের ভাজা চুপসে যাওয়া নিমকি, একটা দানাদার, একটা লাড্ডু ,আর একট ছোটো ইটের মতো শক্ত ছানার মিষ্টি। জীবনে কোনদিন এসব খাওয়া হয় নি, এরকম চোখ মুখে গপাগপ ওইসব খেয়ে বাড়ি গিয়ে দাদুর ঘরে ঢুকে লুকিয়ে জোয়ানের আরক এক ছিপি খেয়ে ঢেঁকুর তুলে শান্তি।
এবারেও বসাক শাড়ির দোকানের সেই সারদা মা আর রামকৃষ্ণের ক্যালেন্ডার। বরং বাদলের টেলারিং-এর পুরীর সমুদ্রের ছবি দিয়ে ক্যালেন্ডারটা রেখে দিতে হবে। ওটা দিয়ে সামনের বছর বইয়ের মলাট দেওয়া যাবে। খুব সুন্দর ছবিটা।
মিনি পিসির দোকানে রসনা দিচ্ছে। যেতেই হবে সন্ধ্যে বেলায়। বাবা না নিয়ে যেতে চাইলেও জোর করতে হবে।
“আমার পূজার ফুল থেকে…”
“তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে আমার মরণ যাত্রা যেদিন যাবে…..”
সব মিলেমিশে একাকার সারাদিন।
মিষ্টি, রসনা খেয়ে হাতে গুটি কয়েক ক্যালেন্ডার, আর এক্সট্রা দু তিনটে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে গরমে পিঠের সাথে লেপ্টে থাকা নতুন বাটিক প্রিন্টের পাঞ্জাবির সাথে শক্ত করে বাবার হাত ধরে বাড়ি ফেরার দিনটাই ছিল বাংলা নববর্ষ।