সত্যি করে বলতে গেলে সময় তো তার নিজস্ব গতিতেই চলে, আমরা স্বাগত করলাম কি করলাম না তাতে তো সময়ের কিছু এসে যায় না। তাও আমাদের শুভেচ্ছা জানাতে হয় বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন পরিচিত অপরিচিতদের, কারণ এটা একটা সামাজিক রীতি। আগামী দিন কি আমাদের সম্মিলিত শুভেচ্ছার জন্য অপেক্ষা করে আছে? তাও নয় ; বস্তুতঃ, আগামী দিন আরও কত ভয়ঙ্কর আরও কত অনিশ্চিত হতে পারে, সেটাই হয়তো আমাদের অজানা। তবে ,এসব কিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে…..!
আর, নববর্ষের ঘোষিত প্রকল্প তো রূপায়নের জন্য নয়, পরের সামাজিক/আর্থিক বছরের কর্মসূচির নব কলেবরে পেশের একটা উদাহরণ বা তুলনামূলক মানদণ্ড মাত্র।
তাও, সরকারের বাজেট পেশ বা রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহার/কর্মসূচির মতো কিছু তো রাখতেই হবে।
কিন্তু, সত্যিই এমন কিছু মনে আসছে না যা এই মুহূর্তে খুব জরুরী। কে জানে কি কি কাজ বাকি পড়ে রইলো যা না করলে পৃথিবীর বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে! আসলে সবই বাকি রয়ে গেছে,করা প্রায় কিছুই হয়নি। সেটাই ভালো, পৃথিবীর ভালো করার জন্য কত না মহান মানুষ বিশ্ব তোলপাড় করে দিচ্ছেন। আমরা কিছু লোক বরং একটু কম কাজ করি যাতে পৃথিবী তার আহ্নিক গতিতে কিঞ্চিত আরাম করে চলতে পারে, আর মানুষও পারে সামান্য হলেও নিজের মতো বাঁচতে।
আরে, নিজের মতো করে বাঁচাই তো একটা জীবনে মূল কথা, সে কথা কে বোঝাবে আর কে বুঝবে!!!!!
………………….
………………….
………………….
সঙ্গের ছবিটা কিন্তু পুরুলিয়ায় নয়, সল্টলেকে তোলা ……………