দেখলে সাঁকো যে দোলাবে, তার মানে ঠিক পাগল না সে,
অনেক লোকই লাভ খুঁজে পায় সাঁকো ভাঙার সর্বনাশে।
তৈরি হলেই হয় না সাঁকো, রোজ লাগে তার মেরামতি,
নইলে যখন পড়বে ঝাঁকি, হঠাৎ ভেঙে প্রবল ক্ষতি।
এপাড় থেকে ওপাড় জোড়া, মধ্যিখানে খাদ বা নদী,
বিভাজনের খুব সুবিধা সেই সাঁকোরা ভাঙেই যদি।
ব্যক্তিগত আর সামাজিক, দেশ জাতি বা মুখের ভাষা
অজস্র সব ভিন্নতাতে সাঁকোয় সবার যাওয়া আসা।
বনতে সাঁকো জীবন লাগে, দেশের বেলায় দশক শতক,
ভাঙতে তাকে কয়েক মিনিট, চান যদি তা যুগের শাসক।
ক’দিন আগেও ক্ষত ভুলে মিশছিলো সব মানুষ যারা
ভাঙলে সাঁকো, তাদের হাতে আর কিছু নেই রক্ত ছাড়া।
ভাঙার শিকার ক’জন হলো শব গুনে তা যায় না জানা
এপাড় এবং ওপাড় হারায় বন্ধু হওয়ার শ’ ঠিকানা।
এই পাড়ে কেউ ফিসফিসিয়ে বলে ওপাড় ভাঙায় দায়ী
ওই পাড়ে কার স্বরে সে বিষ, করতে ভাঙন চিরস্থায়ী।
সব সাঁকোরাই খুব জরুরি, নইলে কেন তৈরী হবে,
কারোর তবু ধান্দা কেবল এপাড় ওপাড় বৈরী হবে ।
সুযোগ পেলেই ঝাঁকায় তারা, ঝুলন-দড়ি ছিঁড়বে বলে
শ্বাস বড় হয় ইতিহাসের, ফের বিভাজন ফিরবে বলে ।
ভাঙবে সাঁকো, এপাড় ওপাড় সহজ কথা যখন ভোলে,
দুলছে যখন কোথাও সেতু, নাড়াচ্ছে না তা পাগলে।
অবশ্য তা বুঝবে কে আর, ভিড় তো বেশি ভাঙার দলে।