আম্বিলিকাল কর্ড কী?
কথায় বলে, নাড়ির টান। এই নাড়িকেই চিকিৎসা শাস্ত্রের ভাষায় বলা হয় আম্বিলিকাল কর্ড। মায়ের শরীরের সঙ্গে ভ্রুণের যোগাযোগের মাধ্যম হল এই কর্ড। এই কর্ডের মধ্যে দিয়েই মায়ের শরীর থেকে ভ্রূণর শরীরে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টি যায়। শিশুর জন্মের পর কর্ডটি শিশুর নাভির কাছ থেকে কেটে দেওয়া হয়।
কীভাবে যত্ন নেবেন নবজাতকের নাভির?
পরিষ্কার রাখুন: আম্বিলিকাল কর্ড পরিষ্কার রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করার পর শুকনো কাপড় বা তুলো দিয়ে জায়গাটা মুছে নিতে হবে। পরিষ্কার করতে কোনোরকম সাবান বা অ্যালকোহল ব্যবহার করা যাবে না। এতে কর্ডে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এছাড়া সাবান ব্যবহার করলে বাচ্চাদের ত্বকেরও ক্ষতি হয়।
স্টাম্প শুকনো রাখুন:
যতদিন স্টাম্প ঝরে না-পড়ে ততদিন নাভির জায়গাটা সব সময় শুকনো রাখা প্রয়োজন। জায়গাটা কিছুক্ষণ খোলা রাখলে তাড়াতাড়ি শুকোতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের ডায়াপার পরানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে তা নাভির ওপর না পড়ে।
স্পঞ্জ করান:
কর্ড স্টাম্প না-শুকোনো পর্যন্ত নাভিতে জল লাগানো উচিত নয়। জল লাগলে সেখানে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। তাই এ সময়ে শিশুদের শরীর স্পঞ্জ করে দেওয়া দরকার। সে সময়েও খেয়াল রাখতে হবে যেন সেখানে জল না লাগে।
সাবধানে ডায়পার পরান:
বাচ্চাদের ডায়াপার পরানোর সময় সতর্ক থাকতে হবে। নাভি যাতে ডায়াপার দিয়ে চাপা পড়ে না যায় সেজন্য ডায়াপার পেটের দিক থেকে ভাঁজ করে নিতে হবে।
ঢিলেঢালা পোশাক পরান :
শিশুর পোশাক টাইট হলে নাভিতে চাপ পড়তে পারে। তাই ঢিলেঢালা পোশাক পরাতে হবে। এতে হাওয়া চলাচল করতে পারবে, নাভিও তাড়াতাড়ি শুকোবে। না হলে কর্ড স্টাম্পে চাপ পড়তে পারে।
তুলে ফেলার চেষ্টা নয়:
কর্ড স্টাম্প কখনোই নিজেরা টেনে তুলে ফেলার চেষ্টা করা উচিত নয়। তোলার চেষ্টা করলে নাভির ক্ষতি হতে পারে। কাজেই নিজে নিজে পড়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
কখন ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন?
- যদি দেখা যায় কর্ড স্টাম্পের অংশ লাল হয়ে ফুলে উঠেছে
- সেখানে পূঁজ দেখা দিয়েছে
- নাভি পড়ে যাওয়ার আগেই সেখান থেকে রক্ত বেরচ্ছে
- পেট ফুলে উঠছে আর তার সঙ্গে জ্বর থাকে তাহলে আর দেরি না করে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা দরকার। তবে নাভির ঠিকমতো যত্ন নিলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা খুব কমই থাকে।