কেউ খায় ডুবে ডুবে,কেউ খায় ভেসে
নেতানেতি ঘুষ খায় ফিকফিক হেসে।
কেউ খায় চাকরি, কেউ খায় টাকা
ঘুষাকার রাজ্যের কোষাগার ফাঁকা।
কেউ খায় লুটেপুটে, কেউ খায় চেটে
খাওয়ার বুদ্ধি যত আছে পেটেপেটে।
কেউ বেচে ফুটপাত,কেউ বেচে গাছ
ভেড়ি সহ বেচে দিল সরকারি মাছ।
কলেজের সীট বেচে কত কোটিপতি
সিভিক চাকরি হল অগতির গতি।
স্কুলের কাজের দাম সবচেয়ে বেশী
চুরি করে বেচে দিলে টাকা রাশি রাশি।
বালি চুরি,গরু চুরি, চুরি হয় রং
পুলিশের বন্দুকে ধরে গেছে জং।
আম চুরি করে আমিরুল যায় জেলে
নেতারা কলার তুলে ফিরে আসে বেলে।
রাতেবিতে চুরি করে সিঁদকাটা চোর
ধরা পড়ে গণমার খায় রাতভোর।
নীরভ মোদিরা করে দিনমানে চুরি
প্রমাণ ছড়িয়ে তারা রাখে ভুরি ভুরি।
ব্যাঙ্ক চুরি, কার্ড চুরি, চুরি হয় ফোন
জামতাড়া ফোন ক’রে করে জ্বালাতন।
বড়লোক চুরি করে দিনের আলোয়
ধরা যদি পড়ে তবে বিদেশে পালায়।
ডুবে ডুবে জল খায় অভিনেতা,কবি
চুরির পয়সা দিয়ে কেনা জলছবি।
চুরির বিদ্যা বড় যদি না হয় সাজা
ধরা যদি না পড়ে চোর হয় রাজা।
পুকুর চোরেরা করে দেশের শাসন
ফাইল লোপাট করে দুবেলা ভাষণ।
যে দেশে রাজা আর প্রজা দুই-ই চোর
সে দেশের ভাগ্য কালো ঘন ঘোর।