কে যায়? সাঁৎ করে চেনা ছায়া সরে গেলো যেন…
নিজেকে কয়েদ করে স্মৃতিজিম্মায়,
কায়া ফেলে এভাবে সে চলে গেলো কেন?
কে গেলো?
জীবিত যে ছিলো গতকালও,
চেনা বৃত্তটি ভেবেছিলো ঘড়িকাঁটা আয়ু পাবে আরো,
স্পটলাইট খুঁজে চলে, কোত্থাও নেই যে সে,
আলো গিলে খেতে চায় আঁধার প্রগাঢ়।
কে যায়?
ছোটোবেলা ছোঁয়া কেউ,
বড়বেলা ছাওয়া কেউ,
বুড়োবেলা ছায়া কেউ..
কাকে ভাসিয়ে নিলো আচমকা হড়পা-তে সময়ের ঢেউ?
গতকাল থেকে আজ, এই মোটে ক’ঘন্টা তফাতে,
হাত ছেড়ে গেলো কার,
নম্বর চলে গেলো চির-আবছাতে?
কে যায়.. বিম্বের শেষ যার হলো আয়নায়?
সে তোমার ছিলো আশেপাশে ,
ফোনের ওপারে কিংবা পড়শির ঘরে,
হয়তো বা নিয়মিত দেখা ট্রেনে বাসে,
কথা হতো মাঝেসাঝে, চিলতে হাসিও ছিলো চোখের মিলনে,
অথবা আর একটু চেনা কেউ,
টুকটাক মেসেজের আলাপন ফোনে,
ততটা নিকট নয়, যতখানি পরিচয়ে জানলাটা হাট
করে খোলে,
তবু পরিচিতি আঁকা বন্ধু-আদলে,
জানো কোনো জমায়েতে একদিন হবে ঠিক দেখা,
হঠাৎই খবর আসে,
প্ল্যান গুবলেট করে স্মৃতির রেজিস্টারে তার নাম লেখা।
কে যায়? গেলো কে?
রুটিন থমকে যেই বিগত’র শোকে,
তার নাম তোমার আমার কাছে হয়তো আলাদা,
তবুও কেমন যেন একই সুতো বাঁধা,
এরকম কেউ গেলে সকলেই জানি,
আরো ছোটো হয়ে এলো চেনার পরিধি,
যাদেরকে কাছে পেলে
অগ্রাহ্য করা যায় মুখোশের আচরণবিধি,
মুছে গেলো কেউ সেরকম ,
বড় মোটা দাগ হবে শুকালে জখম,
অথচ দেখতে গেলে সে মানুষ আমাদের কেউ না তেমন।
কে যায় ? কে গেলো? ..
জানতে চেয়ো না।
আমার তোমার মতো কেউ একজন,
হুট করে চলে গেছে স্বপ্নগুলোকে ফেলে
জীবনকে মাঝপথে রেখে,
বরং মিলিয়ে নাও,
বন্ধু ভাবার মতো এখনো রয়েছে বাকি কে কে,
সময় বিশ্রী গদ্যকার,
কদাচিৎ জীবনকে কবিতার মতো করে লেখে।
বৃত্তটা ছোটো হয়, ছোটো হবে আরো,
কেউ গেলে আরো একবার বুঝি সেটা প্রত্যেকে।