ফোর্থ ওয়েভ না ঢেউ সেটা বলতে পারবো না, কিন্তু প্রতিবার এরকম ছোট একটা মিউটেশন হবে আর একটা স্পাইক হবে। এবারের বেশির ভাগটাই ওমিক্রনের লিনিয়েজ তাই আমাদের ভারতীয় পপুলেশনের যেখানে হাইব্রিড ইমিউনিটি (ভ্যাক্সিনেশন এবং ন্যাচারাল ইনফেকশন) তৈরি হয়েছে সেইখানে আগের বারের মতো কেস কখনোই হবে না। বাচ্চা জোয়ান বুড়ো সকলেরই একটু জ্বর হবে কাশি হবে আবার ঠিক হয়ে যাবে।
শুধু তাদের খেয়াল রাখতে হবে যাদের ডিফেক্টিভ ইমিউন রেসপন্স থাকবে (অর্থাৎ যে সমস্ত মানুষের কোমরবিডিটিস– প্রচন্ড আনকন্ট্রোলড ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, ওবেসিটি– তাদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কম), সেখানে সেই সমস্ত মানুষদের ক্ষেত্রে হাইপোক্সিয়ার চান্স থাকবে এবং তাদেরকে অবশ্যই সময়মতো বুস্টার ভ্যাক্সিন নিতে হবে। একমাত্র এসব ক্ষেত্রেই আমাদেরকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ।
কিন্তু আর যাই হোক এই কোভিড নামে আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে বাচ্চাদের স্কুল কলেজগুলোকে দুমদাম করে বন্ধ করে দেওয়া সেটা কখনোই গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ হবে না।
আর দয়া করে কোনও ফরোয়ার্ড মেসেজ দেখে ১০-১৫ টা ওষুধ কিনে খাবেন না। কোভিডের নন হাইপোক্সিক কেসে এখন সত্যিই সিম্পটোমেটিক চিকিৎসা।
কোভিড আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে এবং সত্যি সত্যি আমাদের কোভিডকে ‘পাশবালিশ’ করেই চলতে হবে।