পরের গন্তব্য মিরিক।
আমরা যারা কালেভদ্রে বেড়াতে যাই, তারা হেব্বি বিরক্তি নিয়ে বেড়াতে বেরোই, এবং একবার বেরিয়ে পড়লে যা দেখি তাতেই অভিভূত হয়ে যাই। রাস্তায় গর্ত দেখলেও মনে হয় এমন প্রগাঢ়, নিবিড়, অতলস্পর্শী গর্ত জন্মে দেখিনি। যদিও এর থেকে উন্নত খানাখন্দ সমাকীর্ণ সোদপুর রোডে রোজ স্কুটি চালিয়ে ঘোলা যাই। সম্ভবত আমাদের মতো পাবলিকের জন্য কবিগুরু লিখেছিলেন “বহুদিন ধরে, বহু ক্রোশ দূরে/বহু ব্যয় করি, বহু দেশ ঘুরে….ইত্যাদি ইত্যাদি।
মিরিকে এসে তাই হলো। একপাশে লেকের টলটলে জল, অন্য পাশে প্রাগৈতিহাসিক বৃক্ষ- ভ্যাবলার মতো চেয়ে রইলাম। তারপর সকলে যা করে তাও করলাম। অর্থাৎ লেকে বোটিং করলাম। ঘোড়ায় ঘোরাঘুরি করলাম। এসব করতে গিয়ে পাঁচটা বাজিয়ে ফেললাম। সে বাজুক গে। এখন তো আর পরের খুপরিতে ছোটার তাড়া নেই।
তারপর আমাদের ড্রাইভার দাদা শিবমের চাচাজীর হোটেলে খাওয়া দাওয়া সেরে হোটেলের উদ্দেশ্যে বেরোলাম। শৌভিকের কল্যাণে মিম বলে একটি জায়গায় হোম স্টে তে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে।
রাস্তায় নেট পাইনি। তাই দেরিতে পোস্ট করলাম।