Skip to content
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

করোনার দিনগুলি ৪৯

IMG_20200705_233041
Dr. Aindril Bhowmik

Dr. Aindril Bhowmik

Medicine specialist
My Other Posts
  • July 21, 2020
  • 7:06 am
  • No Comments

রাত সাড়ে নটার সময় চেম্বার সেরে বাড়ি ফেরার সময় তিনমাস আগের অনুভূতি হল। মধ্যমগ্রামে আবার লক ডাউন শুরু হয়েছে। রাস্তাঘাট খাঁ খাঁ করছে। মধ্যমগ্রাম ব্রিজে আমিই একা আরোহী।

তবে পার্থক্যও আছে। আগে লক ডাউনের শুরুতে মধ্যমগ্রামে একটিও করোনার কেস ছিল না। এখন পাড়ায় পাড়ায় কেস। আমার রোগীদের মধ্যে প্রতিদিন দু- একজনের পজিটিভ বেরোচ্ছে। আজ সকাল থেকে তিনজন জানিয়েছেন তাঁদের কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর পজিটিভ। তাঁদের মধ্যে একজনের বাড়ির বাকি সদস্যদের জ্বর আসতে শুরু করেছে।

অনেকেরই প্রায় ২৫০০ টাকা খরচ করে টেস্ট করার ক্ষমতা নেই। তাঁরা চারদিন- পাঁচদিনের জ্বর নিয়ে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। হাসপাতালে বেডের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে। পজিটিভ রোগীরা অধিকাংশ বাড়িতেই থাকছেন। বার বার ফোন করছেন। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বা অন্য অসুবিধা হলে কি করবেন বুঝতে পারছেন না। আমিও সদুত্তর দিতে পারছি না।

মার্চ- এপ্রিল মাসে লক ডাউনের প্রথম দিকে বেশ রোমাঞ্চ লাগত। একটা মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমারও কিছুটা অবদান থাকবে।যত দিন যাচ্ছে রোমাঞ্চ একঘেয়েমিতে বদলে যাচ্ছে। কতদিন ছুটি পাইনি। কতদিন কোথাও বেড়াতে যাইনি। সেই মার্চ মাসের শুরু থেকে একনাগাড়ে রোগী দেখে চলেছি।রোজ সকাল আটটা থেকে রাত সাড়ে নটা অবধি সাড়ে তেরো ঘণ্টা ধরে রোগী দেখতে আর ভাল লাগছে না। তাছাড়া আস্তে আস্তে বুঝতে পারছি, মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমাদের নিশ্চিত পরাজয় ঘটেছে।

স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাড় পাঁজরা বেড়িয়ে গেছে। কোভিড রোগীদের তো বটেই, অন্যান্য রোগেও চিকিৎসা পেতেও জনসাধারণের নাভিশ্বাস উঠেছে।এটা হওয়ারই ছিল। মিডিয়া ও সরকারের পক্ষ থেকে যথারীতি ভঙ্গুর পরিকাঠামোকে চাপা দেওয়ার জন্য চিকিৎসকদের কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। মানুষেরা আমাদের গালি দিয়ে মনের ঝাল মেটাচ্ছে। কর্পোরেট হাসপাতালগুলি জনস্বাস্থ্যের এই দুর্যোগের সময়েও ব্যবসায়িক মনোভাব থেকে বেরোতে পারেনি। তারা নানা রকম করোনা প্যাকেজ চালু করেছে। তা সাধারন মানুষ তো বটেই, আমার মতো মধ্যবিত্ত চিকিৎসকেরও সামর্থ্যের বাইরে। সরকার সে সব দেখে শুনেও চুপচাপ।

তবে এই আঁধারে একটাই আলোর রেখা, এতদিনে আমরা নিঃসন্দেহে বুঝতে পারছি করোনার মর্টালিটি রেট ততটা বেশি নয়। না হলে এতদিনে চারপাশ শ্মশান হয়ে যেতো। অধিকাংশই সেরে উঠছেন। এখনও পর্যন্ত আমার যে ১৮ জন রোগীর করোনা ধরা পড়েছে, তার মধ্যে মাত্র তিনজন কে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। বাকিরা বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকছেন।

আরও একটি আলোর রেখা এই করোনার সময়ে বহু নিম্ন বিত্ত ও মধ্য বিত্ত তরুণেরা রোগের ভয়ে ঘরে লুকিয়ে না থেকে অসহায়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এর ওর কাছ থেকে চেয়ে চিন্তে দিনের পর দিন কমিউনিটি কিচেন চালিয়েছে। কর্মহীন সর্বহারা মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছে।

সবে পাশ করা বহু তরুণ চিকিৎসক করোনা ও আমফান বিধ্বস্ত বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে। বয়স্ক চিকিৎসকেরাও তাঁদের বার্ধক্যকে তুড়ি মেরে সন্তানসম জুনিয়ারদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।

ইদানীং রোগী দেখতে দেখতে প্রচণ্ড মানসিক অস্থিরতায় ভুগছি। রোগীর সংখ্যা প্রচুর বেড়ে গেছে। আর তাঁদের চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার স্থান গুলি ক্রমশ কমে আসছে। বেশিরভাগই জ্বরের রোগী। তাছাড়া বাকিদের অনেকেরই ভয়ঙ্কর এমারজেন্সি। অনেকেরই ভর্তি প্রয়োজন। কিন্তু কেউই হাসপাতালে যেতে চাইছেন না। মানসিক চাপ আরও বাড়ছে নিজের পরিবারের কথা ভেবে। বাবার বয়স ৭২ ছাড়িয়েছে। সুগার আছে। তবু কারোর কথায় পাত্তা দিচ্ছেন না। এই অবস্থাতেও প্রায় পুরোদমে রোগী দেখছেন। অপারেশন করছেন। ভাই অজ্ঞানের ডাক্তার। আমার ও ভাইয়ের স্ত্রী দুজনেই নার্স। সকলেই পুরোদমে কাজের মধ্যে রয়েছে। এখনও যে আমাদের বাড়িতে করোনা ঢোকেনি এটাই আশ্চর্যের। বাড়িতে নয়, চার ও দুই বছরের তিনটি ছোট্ট মেয়ে। করোনা ঢুকলে কি হবে চিন্তা করতেও ভয় হয়।

তাছাড়া আমার দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট সঞ্জয়দা আর গৌড়কে নিয়েও চিন্তা হয়। আমার আশ্বাসবাণীতেই ওরা একদিনও নিজেদের কাজে কামাই করেনি। সঞ্জয়দার ছেলের বয়স মাত্র কুড়ি দিন। ওদের একটাই ঘর। সঞ্জয়দা বারান্দায় শুচ্ছে।

এসময় মেয়েদের সহচর্য পেলে হয়তো মানসিক অস্থিরতা একটু কমতো। তারও উপায় নেই। সারাদিন রোগী দেখার পর বাড়িতেই একতলায় চেম্বারের পেছনের একটি ঘরে কোয়ারান্টাইনে থাকছি। ‘এই একলা ঘর আমার দেশ’ গানটা শুনলে আগে বেশ লাগতো। এখন শুনলে চরম বিরক্তি লাগবে।

কবে যে এই দুর্দশা কাটবে জানি না। পরপর করোনা রোগী ধরা পড়ায় চেম্বারেও কিছু বিধি নিষেধ শুরু করতে বাধ্য হয়েছি। রোগীর সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছি, যাতে আমার চেম্বার করোনা ছড়ানোর জায়গা না হয়ে ওঠে। অনেক রোগী অসুবিধায় পড়ছেন। তাঁদের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থী। যারা সুগার, প্রেশার, থাইরয়েডের সমস্যা এই সব ক্রনিক রোগে ভুগছেন, এই সময়ে খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া দয়া করে ডাক্তার দেখাতে আসবেন না।

কটা দিন ছুটি খুব প্রয়োজন। কিন্তু কিছুতেই ছুটি পাওয়ার উপায় নেই। একমাত্র করোনাই পারে আমাকে সেই ছুটি দিতে।

PrevPreviousইঁদুর গপ্প
NextFighting The Pandemic And Navigating The Way Forward, Together 1Next
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত পোস্ট

প্রাপ্তি – ৪র্থ কিস্তি

October 1, 2023 No Comments

~বারো~ গ্রামের লোকের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর থেকে পরাগব্রত ওরফে নাড়ুগোপাল উৎকণ্ঠিত থাকে। যত দিন যায় তত উৎকণ্ঠা বাড়ে বই কমে না। শেষে আর থাকতে

চিকিৎসকের স্বর্গে-১

October 1, 2023 No Comments

অসিতবাবু চেম্বারে রোগী দেখিতে দেখিতে বুকের বামদিকে হঠাৎ তীব্র ব্যথা অনুভব করিলেন। তিনি স্বীয় অভিজ্ঞতা হইতে বুঝিলেন, সময় আর বিশেষ নাই। ডাক আসিয়াছে। এই মুহূর্তে

দীপ জ্বেলে যাও ১৫

October 1, 2023 No Comments

(১৫) ১৯৮৩ সাল। মধ্য রাতের কলকাতা উত্তাল হয়ে উঠল কয়েকশো তরুণ চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসা কর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে। শুভব্রতও হাঁটছে এ মিছিলে। মাঝ রাতে রাজ্যপাল

দু’রকমের রেডিওলজিস্ট

September 30, 2023 No Comments

মোটামুটি আমাদের সময় থেকে, বা তার একটু আগে – অর্থাৎ যেসময় সিটি স্ক্যান মেশিন আশেপাশে দেখা যেতে শুরু করল, এবং মূলত সেকারণে রেডিওলজি ব্যাপারটা বেশ

Learning CPR on Restart A Heart Day

September 30, 2023 No Comments

Prepared by CPR Global Team, McMaster University.

সাম্প্রতিক পোস্ট

প্রাপ্তি – ৪র্থ কিস্তি

Dr. Aniruddha Deb October 1, 2023

চিকিৎসকের স্বর্গে-১

Dr. Chinmay Nath October 1, 2023

দীপ জ্বেলে যাও ১৫

Rumjhum Bhattacharya October 1, 2023

দু’রকমের রেডিওলজিস্ট

Dr. Bishan Basu September 30, 2023

Learning CPR on Restart A Heart Day

Dr. Tapas Kumar Mondal September 30, 2023

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

452710
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

[wppb-register]