ডা তপন সিনহা। ৬০ বছর। এম বি বি এস, ডিপ কার্ড, এফ আর সি পি।
১৫ বছর পোর্ট ট্রাস্ট-এর হাসপাতালে একসাথে কাজ করেছি। আউটিং করেছি।
পদবীর মর্যাদা ছিল তার হৃদয়ে। সিংহ হৃদয়।
টাকা পয়সা ছিল। প্রায় মাসেই সুন্দরবনে ছুটে যেতো ওষুধ, খাবার, জামাকাপড় নিয়ে। পুরো নিজের খরচে।
পোর্ট ট্রাস্ট ছেড়ে পরে বেসরকারি ক্ষেত্রে।
গত তিনমাস কোঠারি হাসপাতালে আই সি ইউ, এইচ ডি ইউ-তে কোভিডের সঙ্গে দ্বন্দ্ব যুদ্ধে নেমেছিল। টাকার জন্য নয়। পারিবারিক সূত্রে টাকা তপনদার প্রচুর ছিল। কোনোদিন রোগীর রক্ত চুষতেও দেখিনি। বরং গরিবের পকেটে টাকা গুঁজে দিত ওষুধের জন্য। বিশ্বাস করা, না করা আপনার ইচ্ছা।
যুদ্ধে হেরে গেল আজ (১০ই আগস্ট, ২০২০)। যাত্রা করল, ওই যে অমৃত লোক না কি বলে যেন, সেখানে।
কাল আমার কোভিড ওয়ার্ড-এ ডিউটি আছে। প্রায় ৫০ জন রোগী ভর্তি।
নিশ্চয় যাব, ডিউটি করবো। না হলে তপনদার অসম্মান করা হবে। আরও যে দু’জন চিকিৎসক আজ পশ্চিমবঙ্গে মারা গেছেন, দুশোর বেশি চিকিৎসক সারা ভারতে মারা গেছেন, তাঁরা আমাকে সহকর্মী বলে মানবেন না।
আপনাদের কাছে একটাই অনুরোধ।
“শয়তান” ডাক্তারদের মারধোর করার আগে ডাঃ তপন সিনহার কথা একবার স্মরণ করবেন।
১০ই আগস্ট করোনা যুদ্ধে শহর কলকাতায় শহীদ হয়েছেন তিনজন ডাক্তার–ডা তপন সিংহ, ডা বিশ্বজিৎ মন্ডল এবং ডা প্রদীপ ভট্টাচার্য।
ডা বিশ্বজিৎ মন্ডল
ডা প্রদীপ ভট্টাচার্য।