তাহলে স্বাস্থ্যসাথী থেকে ডেন্টাল ট্রিটমেন্টগুলোও বাদ গেলো, আর পশ্চিমবঙ্গ সরকার তো কবেই ডেন্টাল সার্জন পোস্টে নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে।
স্বাস্থ্যসাথী থেকে ডেন্টাল প্রসিডিওরগুলো বাদ যাবার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে রাজ্যের সাব ডিভিশনাল, স্টেট জেনারেল, সুপার স্পেশালিটি ও মেডিক্যাল কলেজগুলোতে সন্তোষজনক পরিকাঠামো বিদ্যমান।
এবারে পরিসংখ্যান…
ওয়েস্ট বেঙ্গল ডেন্টাল সার্ভিস (WBDS) যা ব্যাচেলরস ডিগ্রিধারী দন্ত চিকিৎসকদের ক্যাডার এবং মূলত এই ক্যাডার থেকেই রাজ্যের গ্রামগুলো, মহকুমা ও জেলায় অবস্থিত সরকারী হাসপাতালগুলোতে দন্ত রোগ বিষয়ক বিভাগে চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়।
বর্তমানে এই ক্যাডারে বর্তমানে কর্মরত ডেন্টাল সার্জনদের সংখ্যাটা ৪১০ জন!
৯.১৩ কোটির রাজ্যে ৪১০ জন চিকিৎসক!
রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ, ডেন্টাল কলেজগুলোতে যে শিক্ষক-চিকিৎসকদের পোস্ট সেটা ওয়েস্ট বেঙ্গল ডেন্টাল এডুকেশন সার্ভিস (WBDES) থেকে আসে যা মূলত পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রিধারী দন্ত চিকিৎসকদের ক্যাডার।
বর্তমানে এই ক্যাডারে কর্মরত চিকিৎসকদের সংখ্যা ২১৫ জন!
সত্যিই তো দুটো সার্ভিস ক্যাডার মিলিয়ে যে চিকিৎসক সংখ্যা, আলাদা করে স্বাস্থ্যসাথীতে ডেন্টাল প্রসিডিওরগুলো রাখার কীই বা প্রয়োজন?
এদিকে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডেন্টাল সার্ভিসে (WBDS) গত ৭ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিয়োগ করেনা।
২০১৮ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডেন্টাল এডুকেশন সার্ভিসে (WBDES) মাত্র ৫২ টি পোস্টে নিয়োগ করা হয় কিন্তু কর্মরত চিকিৎসকদের সংখ্যা দেখলে সহজেই বোঝা যায় তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।
বছর বছর সরকার চিকিৎসক নিয়োগ বন্ধ রাখে এদিকে বলা হয়, রাজ্যে চিকিৎসকদের অভাব!
এদিকে বসিয়ে বসিয়ে চিকিৎসকদের পরীক্ষায় বসার সর্ব্বোচ বয়সসীমা পার করিয়ে দেওয়া হয়! বাহ্!
এভাবে দিন দিন Dental Surgery কে খাদের কিনারায় ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যত অন্ধকারে চলে যাচ্ছে।
সাধারণ মানুষ বারংবার মৌখিক স্বাস্থ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, মুখের ক্যান্সারের সম্পর্কে সচেতনতার অভাব থেকে যাচ্ছে, যার ভয়ানক মূল্য দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
কারণ, ৭ বছর ধরে দন্ত চিকিৎসক নিয়োগ হয়না রাজ্যের হাসপাতালগুলোতে!..