ইংল্যান্ডের নতুন ফেস মাস্ক বিধি বেশ ইন্টারেষ্টিং। সম্প্রতি বরিস জনসন পার্লামেন্টে ঘোষণা করলেন স্কুল-কলেজ-জনসমাবেশে মাস্ক পরা আর বাধ্যতামূলক নয়। জারি থাকা “ওয়ার্ক ফ্রম হোমের” নির্দেশও তুলে নেওয়া হল।
এই সিদ্ধান্তগুলো কতটা জনস্বার্থে কতটা রাজনৈতিক বলা বেশ মুশকিল। সংক্রমণ কমেছে। ICU বেডের প্রয়োজনীয়তা কমেছে। কিন্তু সপ্তাহ দুয়েক পরে যে ঘোষণা আশা করা যাচ্ছিল তা’ নিয়ে এত তাড়াহুড়ো কেন? এটা কি নিজের গদি সামলাতে ডাইভারশান স্ট্র্যাটেজি? ২০২০ লকডাউন চলাকালীন ১০ ডাউনিং স্ট্রীটে পার্টি করার অপরাধে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার এখন নড়বড়ে। নিজের পার্টির MP রা পর্যন্ত বিদ্রোহ করছেন। অতিমারী আইন ভাঙার অপরাধে বরিসকে গ্রেপ্তারের দাবি উঠছে।
এমতাবস্থায় দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়াই তো বুদ্ধিমানের কাজ। ওদেশের ডাক্তারমহলও বিস্মিত। একদিকে হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়াতে বলা হচ্ছে। হাসপাতালে মাস্ক নীতি আগের মতোই। অথচ আমজনতার স্বার্থে (!) রাতারাতি বদলে যাচ্ছে সুরক্ষাবিধি।
ঘুরে ফিরে সব দেশেই রাজনৈতিক নেতা আর চিকিৎসকদের ভাবনাচিন্তায় প্রচুর ফারাক। দয়া করে তড়িঘড়ি মাস্ক খুলে ফেলবেন না। হয়তো কিছুদিন আগেই আপনি ‘পজিটিভ’ হয়েছেন। তাও বলছি মাস্ক পরবেন। হাত ধোবেন। আর দূরত্ব বজায় রাখবেন। আই মীন, নেতাদের কু-উপদেশ থেকে।