সপ্তম কিস্তি
__________________
অবশেষে ইঁদুরের ভারি খুশি হয়ে গেছে মনটা
বেড়ালের গলায় যে শেষমেশ বাঁধা গেছে ঘণ্টা!
শুনে ডাক্তার কয়,
মনে লাগে বড় ভয়,
আবার বেড়েছে বুঝি এ’ রোগীর হ্যালুসিনেশনটা…
★
সৌরঝড়ের প্রবল দাপটে কাঁপছে ভেনাস সিটি।
ফিরব বলেও ফিরতে পারনি। কাঁদিস না লক্ষ্মীটি।
রেডিও ওয়েভ লণ্ডভণ্ড
মহাকাশফেরি আজও তো বন্ধ।
টেলিপ্যাথি দিয়ে পাঠাচ্ছি এই মনখারাপের চিঠি।
★
ঈগলের চোখ ট্র্যান্সপ্ল্যান্ট করে… চোখে নেই তার চালসে।
ব্রেনের ভেতর টেরাবাইট চিপ। স্মৃতিমান আজকাল সে।
পিঠের বসানো বিশাল ডানায়
আকাশে উড়ান তাকেই মানায়।
কিন্তু সে নাকি লিখছে কবিতা? বাঙালিরা চির আলসে!
★
শ্রীগুরু ডেকে বলেছেন
সজাগ রেখো সদা ব্রেন
কৃষ্ণগহ্বরে
যাচ্ছো। মনে করে
সঙ্গে নিয়ো হারিকেন।
★
তুমি যদি চাও পাখা সেঁটে নেব ট্র্যাপিজিয়াসের নীচে
ঊষর সাহারা মরুকে বদলে নেব “কোভালাম বিচ”এ।
তুমি জাগলেই, আমি বিনিদ্র।
ওয়ার্ম হোলের সময়-ছিদ্র
খুঁজে নিয়ে আমি… ঠিক ঝাঁপ দেব ভালোবাসাটির পিছে।