An Initiative of Swasthyer Britto society

  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close

ফ্রেডরিক গ্রান্ট বান্টিঙঃ কর্ম ও জীবন- পর্ব ২৫

IMG-20200803-WA0025
Sahasralochan Sharma

Sahasralochan Sharma

Mathematics teacher and writer
My Other Posts
  • August 31, 2020
  • 8:18 am
  • No Comments

বিজ্ঞান ও উন্নত কারিগরি দক্ষতার প্রশ্নে অন্যান্য দেশের থেকে জার্মানি যে কিছুটা এগিয়ে আছে এই নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না বান্টিঙের মনে। যুদ্ধের প্রথম দিন থেকেই তাই জার্মানির বিজ্ঞান ও কারিগরি দক্ষতা মোকাবিলার প্রশ্নে আরও ব্যাপক গবেষণার কথা বার বার বলতেন বান্টিঙ। জার্মানির ‘কেমিক্যাল ওয়ার’, ‘বায়োলজিক্যাল ওয়ার’এর বিরুদ্ধে কানাডা সরকারকে এক নাগাড়ে সতর্ক করতে থাকেন তিনি। তিনি মনে করেন, ইংলন্ডকে সাহায্য করার প্রশ্নে, যা যা করা উচিৎ তার প্রায় কিছুই করতে পারেনি কানাডা সরকার। উদ্বিগ্ন বান্টিঙ ইংলন্ডের সামরিক চিকিৎসক, সামরিক অফিসার, প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের সাথে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে উদ্‌গ্রীব হয়ে থাকতেন। তাঁদের সাথে সামনা সামনি কথাবার্তা বলার জন্য বছরে দু’একবার ইংলন্ড যাতায়াত শুরু করেন বান্টিঙ। সাধারণ তথ্য আদান-প্রদান, ইংলন্ডের গবেষণার হাল হকিকত, যুদ্ধের সামরিক ও রাজনৈতিক গতিমুখ, ইত্যাদি তথ্য বিনিময় করতেন বান্টিঙ। তাঁর অধীনে চলা এভিয়েশন মেডিসিন সম্পর্কেও ইংলন্ডের কর্তাব্যক্তিদের অবগত করেছিলেন বান্টিঙ। এভিয়েশন মেডিসিনে প্রভূত আগ্রহ দেখা নো হয়েছিল ইংলন্ডের তরফেও।

১৯৪০ সালের বসন্ত কাল, এই রকমই এক ইংলন্ড সফর থেকে ফিরে বান্টিঙ দেখলেন, জি-স্যুট নিয়ে গবেষণা করে বেশ কিছুটা এগিয়ে গেছেন এড হল। নিজের উদ্যোগেই কানাডিয়ন রয়েল এয়ার ফোর্সের সাথে যোগাযোগ করে, জি-স্যুট নিয়ে ট্রায়ালও দিয়েছেন হল। সব শুনে খুশি হওয়ার বদলে ক্রুদ্ধ হলেন বান্টিঙ। তাঁর ক্রোধের কারণ হলো- অধীনতা। তাঁর অনুপস্থিতিতে, তাঁকে না জানিয়ে কেন এয়ার ফোর্সের সাথে যোগাযোগ করেছেন হল? কেন জি-স্যুট নিয়ে ট্রায়াল দিতে গেছেন হল? হল তাঁর অধীনে গবেষণা করেন না তিনি হলের অধীনে গবেষণা করেন? তাঁকে টপকে নিজের নাম প্রচারের কথা ভাবছেন হল?

এয়ার ফোর্স দপ্তরে যাওয়া বা ট্রায়াল দেওয়ার ঘটনাটা যে ঠিক একদিন বা দু’দিনের ঘটনা তা নয়। নিজের উদ্যোগে প্রায়ই এয়ার ফোর্স দপ্তরে হাজির হতেন হল। সেখানে নিজের প্রয়োজনে অথবা ফোর্সের প্রয়োজনে কি কি করা যেতে পারে তা আলোচনা করতেন। সেই মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজও করতেন তিনি। হলের অধীনতার প্রশ্নে একেই বেজায় ক্ষুব্ধ ছিলেন বান্টিঙ। বারংবার একই ঘটনা ঘটছে দেখে একদিন মেজাজ হারালেন তিনি। ৫ই জুন ১৯৪০, হলের সাথে সরাসরি বিবাদে জড়িয়ে পড়লেন বান্টিঙ। হলকে বললেন, ‘২৪ ঘন্টা সময় দিলাম, ঠিক করে নাও কোথায় কাজ করবে, আমার অধীনে গবেষণা করবে না এয়ার ফোর্সে সাহায্য করবে?’

বান্টিঙের এহেন আচরণে যারপরনাই বিস্মিত ও ব্যথিত হলেন হল। বান্টিঙকে লেখা এক দীর্ঘ চিঠিতে হল লেখেন, “যদি কাজের প্রতি আমার উদ্দীপনা এবং আমার যৌবনের উচ্ছ্বাস আপনার মনে এই ধারণার জন্ম দিয়ে থাকে যে আমি একক ভাবে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছি বা সমস্ত গবেষণার ভাগ নিয়ে নিচ্ছি বা আপনাকে সহযোগিতায় ব্যর্থ হয়েছি, তাহলে অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে তা না আমার উদ্দেশ্য ছিল না [আমার] ইচ্ছা”।

হলের চিঠি পড়ে বান্টিঙের রাগ কিছুমাত্র কমলো না উল্টে বেড়ে গেল। কোথায়? চিঠিতে অধীনতা বা বশ্যতা কোথায়? উল্টে নিজের কৃতকর্মের সমর্থনে যুক্তি সাজানো হয়েছে চিঠিতে। ৭ই জুন ১৯৪০, হলকে বরখাস্ত করেন বান্টিঙ। হলের জায়গায় লুকাস কলিনকে নিযুক্ত করলেন তিনি। কয়েক সপ্তাহ পর, এই ঘটনা প্রসঙ্গে ডায়েরিতে বান্টিঙ লিখলেন, “সে [হল] স্বার্থপর এবং সে আমার ও দপ্তরের অনিষ্ট সাধনের চেষ্টা করেছে। … সে অনেকটা ম্যাক্লাউড আর বেস্টের মতো। সে চতুর। সে চোস্ত কথা বলে। সে ভালো লিখতে পারে। সে আপাতভাবে মুগ্ধ করতে পারে। [কিন্তু আসলে] সে হলো গভীরতাহীন শ্রোতার মতো”।

এড হলের সাথে বান্টিঙের দ্বন্দ্ব, ম্যাক্লাউডের সাথে বান্টিঙের দ্বন্দ্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। নিজের ডায়রিতে সেই সত্যই প্রকাশ পেয়েছে। এটা বান্টিঙের চরিত্রের এক বিশেষ দিক। বান্টিঙ সব সময়েই মনে করতেন, যার যতটুকু পাওয়ার কথা তিনি যেন ঠিক সেইটুকুই পাওয়ার কথা ভাবেন, যার যতটুকু চাওয়ার কথা তিনি যেন ঠিক ততটুকুই চান। কেউ যেন তার থেকে বেশি না চান বা বেশি না পান। সেনাবাহিনী সুলভ এই কঠোর মানসিকতাই আজীবন লালিত হয়েছে বান্টিঙের মনের মধ্যে। বান্টিঙের এই মানসিকতা সেনাবাহিনীতেই যতটা মানায়, সমাজ জীবনে সব সময় তা মানায় না। বান্টিঙের এই ক্ষুরধার মানসিকতায় আহত হয়েই নীরবে সরে গেছেন ম্যাক্লাউড। বান্টিঙের এই মানসিকতার জন্যই, তাঁর আজীবন শুভাকাঙ্ক্ষী বেস্টের সাথেও ছিন্ন হয়েছে সুসম্পর্ক। আর আজ, এই মানসিকতার জেরেই আহত হয়ে সরে গেলেন এড হল।

হলকে বাদ দিয়েই, বান্টিঙ ও ফ্রাঙ্কসের যুগলবন্দিতে জি-স্যুট গবেষণা চালু রইল এগলিনটন হন্ট ক্লাবের ১ নম্বর ক্লিনিক্যাল ইনভেস্টিগেশন ইউনিটে। শীঘ্রই এন্টি জি-স্যুট তৈরিও করে ফেললেন ফ্রাঙ্কস্‌। নতুন এই স্যুটের চারিদিকে নিশ্ছিদ্র আস্তরণের মধ্যে জল ঢুকিয়ে দিলেন ফ্রাঙ্কস। কোনও প্লাস্টিকের প্যাকেটে যে ভাবে জল ভরা থাকে, সেই রকম আর কি। এতে কি লাভ হলো? এই স্যুট পড়ে বিমান চালনা করলে, অভিকর্ষের প্রাথমিক ধাক্কাটা পড়বে স্যুটের বাইরের জলের মোড়কের উপর। ফলে শরীরের ভিতরের রক্তপ্রবাহের উপর অভিকর্ষীয় টানের প্রভাবটা কম পড়বে। আর এতেই লস অব কনসাসনেস থেকে রক্ষা পাবেন পাইলট।

জি-স্যুট পড়ে ট্রায়াল দিচ্ছেন ফ্রাঙ্কস্‌

স্যুট তো তৈরি হলো। এবার স্যুট পড়ে বাস্তবে পরীক্ষা দেওয়ার পালা। ৮, ৯ ও ১০ই নভেম্বর ১৯৪০, ‘রয়েল কানাডিয়ন এয়ার ফোর্স’এর সহযোগিতায় দেওয়া হলো ট্রায়াল [৫৯]। লস অব কনসাসনেস রুখতে বহুলাংশেই সফল হলো এন্টি জি-স্যুট। তবে জি-স্যুটের ট্রায়ালে একটা সমস্যা অবশ্য ধরা পড়ল। স্যুটের ভিতর জল থাকায় স্যুটের ওজন গেছে বেড়ে। এই বাড়তি ওজন নিয়ে চলাফেরা করতে যথেষ্ট আড়ষ্ট বোধ করছেন পাইলট। সমস্যাটা সমাধান করতে, পোষাকের নক্সা নিয়ে চলল কাটাছেঁড়া। অবশেষে স্থির করা হলো জলের বদলে হাওয়া ব্যবহার করা হবে। সেই মতো আবার পোষাক নির্মাণ করলেন ফ্রাঙ্কস্‌। এবার জলের বদলে ভরা হলো হাওয়া। এতে পোষাকের ওজন অনেকটাই হালকা হলো। এই পোষাক নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হলো রয়েল কানাডিয়ন এয়ার ফোর্সে।

এলো নতুন বছর। জানুয়ারি ১৯৪১, বান্টিঙ-ফ্রাঙ্কসের এন্টি জি-স্যুট তখনও রয়েল কানাডিয়ন এয়ার ফোর্সের পরীক্ষাধীন। কিন্তু বান্টিঙ চান ফল যতটুকু পাওয়া যাক, শীঘ্রই তা জানানো হোক ইংলন্ডকে। এক্ষুনি এই জি-স্যুট তুলে দেওয়া উচিৎ ইংলন্ডের বিমান বাহিনীর হাতে। একই সাথে তাঁর অধীনে চলা অন্যান্য গবেষণার ফলাফলও তুলে দিতে চান ইংলন্ডের হাতে। সেই মতো পদস্থ অফিসার, প্রশাসনিক দপ্তর, এমন কি মন্ত্রী পর্যায়ে কথাবার্তা বললেন বান্টিঙ। বান্টিঙের আবেদন যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হলো। ঠিক হলো, কয়েক দিনের মধ্যেই জি-স্যুট নিয়ে জাহাজে করে রওনা হবেন ফ্রাঙ্কস্‌। কিন্তু কবে রওনা দেবেন ফ্রাঙ্কস তা অবশ্য নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারলেন না কর্তৃপক্ষ। কারণ, যুদ্ধের জন্য ইওরোপগামী সামরিক ও অসামরিক সব জাহাজের আসনই ভর্তি তখন। জাহাজ সংখ্যাও সীমিত। ফলে মাস দুয়েকের আগে ইংলন্ডের সেনাবাহিনীর হাতে কিছু পৌঁছে দেওয়া সম্ভবপর নয়।

ফ্রাঙ্কস্‌ যাবেন?! বিস্মিত বান্টিঙ। মানে কি? বান্টিঙ যাবেন না? আর ফ্রাঙ্কস যাবেন দু’মাস পরে? বান্টিঙের মাথায় হাত। দু’মাস পরে যদি শেষ হয়ে যায় যুদ্ধ, তখন? যুদ্ধের পরই যদি সাহায্য পৌঁছয়, তাহলে আর দিনরাত এক করে এত পরিশ্রম করার দরকার কি ছিল? না, না, এ হতে পারে না। যত শীঘ্র সম্ভব ইংলন্ডের হাতে এই সমস্ত উপকরণ তুলে দেওয়া দরকার। বিকল্প কিছু একটা ভাবতেই হচ্ছে তাঁকে।

মনে মনে সাত পাঁচ ভেবে, সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্তাদের দ্বারস্থ হলেন বান্টিঙ। জানালেন, ফ্রাঙ্কস্‌ যাচ্ছেন যান, তিনিও ইংলন্ড যেতে চান। আর কয়েক দিনের মধ্যেই যেতে চান তিনি। কিছু একটা ব্যবস্থা করে দিতে হবে তাঁকে। বান্টিঙের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসলেন কর্তা ব্যক্তিরা। আলোচনার পর তাঁরা জানান, বান্টিঙের পদমার্যাদা, জনপ্রিয়তা, অসমাপ্ত গবেষণার কথা ভেবে এই যুদ্ধের মাঝে তাঁকে ইংলন্ডে পাঠাতে রাজি নন তাঁরা। কিন্তু বান্টিঙও ছাড়ার পাত্র নন। সেনা কর্তাদের সাথে নাগাড়ে যোগাযোগ করে, তাঁদের সাথে আলোচনা করে, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে ইংলন্ড যাবার ছাড়পত্র জোগাড় করলেন বান্টিঙ। ৩১শে জানুয়ারি ১৯৪১, বিমান বাহিনীর শীর্ষকর্তা এয়ার মার্শাল এ.এ.এ. কুফি বিশেষ বিমানে তিন সপ্তাহের জন্য ইংলন্ডে যাবার ব্যবস্থা করে দিলেন বান্টিঙকে। সেনা তরফে বান্টিঙের এই ইংলন্ড যাত্রার খবর গোপন রাখা হলো। বান্টিঙের নিরাপত্তা ‘হাই সিকিউরিটি’ গোত্রের অন্তর্ভুক্ত করা হলো। ফলে এটা আজও জানা যায় নি, যে ঠিক কি কি দায়িত্ব নিয়ে সেদিন ইংলন্ড গিয়েছিলেন বান্টিঙ। পরবর্তীকালে, হাউস অব কমন্সে দাঁড়িয়ে বান্টিঙের এই মিশনকে “উচ্চ [পর্যায়ের] জাতীয় ও বিজ্ঞান সম্বন্ধীয় মিশন” আখ্যা দিয়েছিলেন কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী উইলিয়ম লিয়ন ম্যাকেঞ্জি কিং।

ঠিক সেই মুহূর্তে কোনও বিমান ফাঁকা না থাকায় কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে বলা হলো বান্টিঙকে। মার্শাল কুফির নির্দেশে, বান্টিঙের জন্য রয়েল কানাডিয়ন এয়ার ফোর্সের দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট বোমারু ‘লকহিড এল-৪১৪ হাডসন ৩’ বিমানের বন্দোবস্ত করা হলো। এই বিমানটার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল ‘টি ৯৪৪৯’। নিউফাউন্ডল্যান্ডের গ্যান্ডার বিমান বন্দর থেকে আটলান্টিক পেড়িয়ে ইংলন্ডে পৌঁছে যাবেন বান্টিঙ। সময় লাগবে তা প্রায় ৯ ঘন্টা মতো। সেই মতো সব ব্যবস্থা করা হলো। সেই সময়ে বিমানে আটলান্টিক পাড়ি দেওয়াটা কিন্তু বেশ বিপজ্জনক যাত্রা হিসেবেই গণ্য করা হতো। মাত্র তিন মাস আগে, ১০ই নভেম্বর ১৯৪০ সালে প্রথম বারের মতো পাঁচটা হাডসন ৩ বিমান এক সাথে আটলান্টিক পাড়ি দিয়েছিল গ্যান্ডার বন্দর থেকে। সেই প্রথম বারেই রানওয়ে ছেড়ে ওঠার সময়ই ভেঙ্গে পড়ে একটা বিমান। দ্বিতীয় দফায় আরও পাঁচটা হাডসন ৩ উড়েছিল গ্যান্ডার থেকে, অতিরিক্ত তেল ও অন্যান্য সরঞ্জামের ভারে, মাঝ পথ থেকে ফিরে আসে তাদেরই একটা বিমান। বান্টিঙের আটলান্টিক পাড়ি দেওয়ার আগে পর্যন্ত, গ্যান্ডার বন্দর থেকে একসাথে ৫টা হাডসন ৩ টেকঅফ করেছিল পাঁচবার। অর্থাৎ, মোট ২৫টা হাডসন ৩ আটলান্টিক পাড়ি[৬০] দিয়েছিল তখনও পর্যন্ত।

(চলবে)

[৫৯] ১৯৪০ সালের ট্রায়ালে সফল হলেও, তখনই কানাডায় বা ইংলন্ডে এন্টি জি-স্যুটের ব্যবহার চালু হয় নি। দু’বছর পর, ৮ই নভেম্বর ১৯৪২ সালে, ব্রিটিশ এয়ার ফোর্সের ৮০৭ নম্বর স্কোয়াড্রন, উত্তর আফ্রিকার আলজিরিয়া আক্রমণের সময় প্রথম বারের জন্য ফ্রাঙ্কসের এন্টি জি-স্যুট ব্যবহার করেন। এই জি-স্যুটকে তখন ম্যাক ১ বলা হতো। তারপর থেকে বিশ্বের নানান দেশ ফ্রাঙ্কস্‌ আবিষ্কৃত ম্যাক ১ জি-স্যুট ব্যবহার করতে শুরু করে। আজও [ম্যাক ৩] জি-স্যুট পরেই বিমান চালনা করেন বৈমানিকরা। কিন্তু পৃথিবীর খুব কম মানুষই জানেন এই জি-স্যুট আদতে, ইনসুলিনের আবিষ্কর্তা, বান্টিঙের মানস সন্তান।

[৬০] ২০০৬ সালে মুক্তি পায় ‘এবব অ্যান্ড বিয়ন্ড’ ফিল্ম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিমানে আমেরিকা-ইওরোপ আটলান্টিক পাড়াপাড়ের বর্ণনা রয়েছে এই ফিল্মে। এই ফিল্মের একটা ছোট্টো অংশে বান্টিঙের আটলান্টিক যাত্রাও চিত্রায়িত করা হয়েছে।

PrevPreviousFace Masks in COVID Pandemic
Nextডিলিউশানাল প্যারাসাইটোসিসNext

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পর্কিত পোস্ট

করোনা এমন করো না

April 12, 2021 No Comments

করোনা এমন করো না এখন এ দেশে রাষ্ট্রের ভোট চলছে! করোনা এমন করো না বদ্যিরা ছাড়া তোমার কথা কে বলছে? করোনা এমন করো না সব

ধিক

April 12, 2021 No Comments

। ধিক!! আঠারোয় মেরে দিলে? ভোট বুঝি এমনই বালাই? যে ছেলেটা মরে গেলো আমারই রক্ত সে, পুত্র বা ভাই। বি জে পি করেই যদি, এ

দ্বিতীয় ঢেউ এর দিনগুলি ৭

April 12, 2021 No Comments

মহামারী বিষয়ে লোকজন এখনও ডিনায়াল পর্যায়ে রয়েছে। করোনা যে নিজের হতে পারে মেনে নিতে পারছে না। এক ভদ্রলোক চেম্বারে ঢুকে গুছিয়ে বসলেন, ‘ডাক্তারবাবু, একদম প্রথম

ভালো মন্দ

April 11, 2021 No Comments

দুই এক কুড়ি একুশ। এখন করোনাকাল- বাস ট্রেন সবই প্রায় বন্ধ। অথচ অফিস যেতেই হবে। আজও ফিরিঙ্গিবাজার মোড়ে কাকলি অপেক্ষা করছে। যদি কোনও রিজার্ভ অটো

বিষ

April 11, 2021 No Comments

আর্যতীর্থের কবিতা।

সাম্প্রতিক পোস্ট

করোনা এমন করো না

Smaran Mazumder April 12, 2021

ধিক

Arya Tirtha April 12, 2021

দ্বিতীয় ঢেউ এর দিনগুলি ৭

Dr. Aindril Bhowmik April 12, 2021

ভালো মন্দ

Dr. Dipankar Ghosh April 11, 2021

বিষ

Dr. Sumit Banerjee April 11, 2021

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

310831
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।