ফ্রেডরিক গ্রান্ট বান্টিঙঃ কর্ম ও জীবন- পর্ব ২৭
২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৪১, বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ডা. ফ্রেডরিক গ্রান্ট বান্টিঙ। বান্টিঙ মারা গেলে জনশূন্য প্রান্তরে উদ্ধারের আশায় একাকী অপেক্ষা করতে থাকেন পাইলট ম্যাকি। সারাটা
২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৪১, বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ডা. ফ্রেডরিক গ্রান্ট বান্টিঙ। বান্টিঙ মারা গেলে জনশূন্য প্রান্তরে উদ্ধারের আশায় একাকী অপেক্ষা করতে থাকেন পাইলট ম্যাকি। সারাটা
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি বান্টিঙের ইংলন্ড যাত্রার সূচি জারি হলো। সে মতো, ১৫ই ফেব্রুয়ারি ১৯৪১ সালে, স্ত্রী হেনরিয়েটার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ১৬ই ফেব্রুয়ারি
বিজ্ঞান ও উন্নত কারিগরি দক্ষতার প্রশ্নে অন্যান্য দেশের থেকে জার্মানি যে কিছুটা এগিয়ে আছে এই নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না বান্টিঙের মনে। যুদ্ধের প্রথম দিন
স্নিগ্ধ মোমের আলোর মতো যে দীপ বান্টিঙের হৃদয়ে সদা প্রজ্বলিত ছিল, তা হলো- সেবা। আমরা দেখেছি শুশ্রূষারত চিকিৎসককে দেখেই, চিকিৎসাকে জীবনের ব্রত মেনেছিলেন বান্টিঙ। এই
২৫শে এপ্রিল ১৯৩২, ডিভোর্সের মামলা দায়ের করলেন বান্টিঙ। অপমানিত মারিয়ন ঠিক করলেন, বান্টিঙের বিরুদ্ধে কোনও মামলাই লড়বেন না। বান্টিঙের কোনও অভিযোগের জবাবও দেবেন না তিনি।
আগাগোড়াই শান্ত নির্বিবাদী মানুষ ছিলেন বান্টিঙ। কিন্তু চট করেই হারিয়ে ফেলতেন তাঁর মেজাজ। তখন আবার এক ভিন্ন ধরণের মানুষ তিনি। বেস্ট, ম্যাক্লাউড, কলিপ সমেত একাধিক
সময়টা ১৯২০ সালের মাঝামাঝি হবে, বান্টিঙ তখন লন্ডন শহরে প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু করেছেন সবে। পসার বেশ মন্দা যাচ্ছে তাঁর। দুশ্চিন্তা আর অবসাদে দিন কাটছে তখন
২৫শে অক্টোবর ১৯২৩, বান্টিঙ সেদিন অ্যালিস্টনে গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। সেইদিন ওই বছরের চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী হিসেবে বান্টিঙ এবং ম্যাক্লাউডের নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি।
বস্তুতপক্ষে ১৯২৩ সাল থেকে সেই যে জাতীয় নায়ক হিসেবে উত্থান শুরু হয় বান্টিঙের, জীবদ্দশায় তো বটেই, এমনকি তাঁর মৃত্যুর পরও খ্যাতির সেই ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত ছিল।
সাধারণ রোগীর স্বার্থে, মাত্র ১ কানাডিয়ন ডলারের বিনিময়ে তাঁদের ইনসুলিন স্বত্ব টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে অর্পণ করেন বান্টিঙ, বেস্ট ও কলিপ। এখন দেখার পালা কোন ওষুধ
নেশা আর হতাশা কাটিয়ে ফের কনট ল্যাবে হাজির বান্টিঙ। বান্টিঙ আর বেস্ট চান, নিজেদের মতো করে ফের ইনসুলিন পরিশোধন করতে। সেই মতো ফের শুরু করলেন
১৪ বছরের কিশোর লিওনার্ড থম্পসনের উপর ইনসুলিন প্রয়োগ করে সফল হলেন ম্যাক্লাউডের নেতৃত্বাধীন টরন্টো টিম। এই সফল পরীক্ষার পরই দুটো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন ম্যাক্লাউড। প্রথমেই
২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৪১, বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ডা. ফ্রেডরিক গ্রান্ট বান্টিঙ। বান্টিঙ মারা গেলে জনশূন্য প্রান্তরে উদ্ধারের আশায় একাকী অপেক্ষা করতে থাকেন পাইলট ম্যাকি। সারাটা
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি বান্টিঙের ইংলন্ড যাত্রার সূচি জারি হলো। সে মতো, ১৫ই ফেব্রুয়ারি ১৯৪১ সালে, স্ত্রী হেনরিয়েটার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ১৬ই ফেব্রুয়ারি
বিজ্ঞান ও উন্নত কারিগরি দক্ষতার প্রশ্নে অন্যান্য দেশের থেকে জার্মানি যে কিছুটা এগিয়ে আছে এই নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না বান্টিঙের মনে। যুদ্ধের প্রথম দিন
স্নিগ্ধ মোমের আলোর মতো যে দীপ বান্টিঙের হৃদয়ে সদা প্রজ্বলিত ছিল, তা হলো- সেবা। আমরা দেখেছি শুশ্রূষারত চিকিৎসককে দেখেই, চিকিৎসাকে জীবনের ব্রত মেনেছিলেন বান্টিঙ। এই
২৫শে এপ্রিল ১৯৩২, ডিভোর্সের মামলা দায়ের করলেন বান্টিঙ। অপমানিত মারিয়ন ঠিক করলেন, বান্টিঙের বিরুদ্ধে কোনও মামলাই লড়বেন না। বান্টিঙের কোনও অভিযোগের জবাবও দেবেন না তিনি।
আগাগোড়াই শান্ত নির্বিবাদী মানুষ ছিলেন বান্টিঙ। কিন্তু চট করেই হারিয়ে ফেলতেন তাঁর মেজাজ। তখন আবার এক ভিন্ন ধরণের মানুষ তিনি। বেস্ট, ম্যাক্লাউড, কলিপ সমেত একাধিক
সময়টা ১৯২০ সালের মাঝামাঝি হবে, বান্টিঙ তখন লন্ডন শহরে প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু করেছেন সবে। পসার বেশ মন্দা যাচ্ছে তাঁর। দুশ্চিন্তা আর অবসাদে দিন কাটছে তখন
২৫শে অক্টোবর ১৯২৩, বান্টিঙ সেদিন অ্যালিস্টনে গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। সেইদিন ওই বছরের চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী হিসেবে বান্টিঙ এবং ম্যাক্লাউডের নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি।
বস্তুতপক্ষে ১৯২৩ সাল থেকে সেই যে জাতীয় নায়ক হিসেবে উত্থান শুরু হয় বান্টিঙের, জীবদ্দশায় তো বটেই, এমনকি তাঁর মৃত্যুর পরও খ্যাতির সেই ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত ছিল।
সাধারণ রোগীর স্বার্থে, মাত্র ১ কানাডিয়ন ডলারের বিনিময়ে তাঁদের ইনসুলিন স্বত্ব টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে অর্পণ করেন বান্টিঙ, বেস্ট ও কলিপ। এখন দেখার পালা কোন ওষুধ
নেশা আর হতাশা কাটিয়ে ফের কনট ল্যাবে হাজির বান্টিঙ। বান্টিঙ আর বেস্ট চান, নিজেদের মতো করে ফের ইনসুলিন পরিশোধন করতে। সেই মতো ফের শুরু করলেন
১৪ বছরের কিশোর লিওনার্ড থম্পসনের উপর ইনসুলিন প্রয়োগ করে সফল হলেন ম্যাক্লাউডের নেতৃত্বাধীন টরন্টো টিম। এই সফল পরীক্ষার পরই দুটো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন ম্যাক্লাউড। প্রথমেই
আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।
Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas
Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097
নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে