অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য,
জনতা নয়, ক্ষমতাসীন দলের কথাই গণ্য।
কী তার রঙ, প্রতীক বা কী, নেত্রী নেতাও তুচ্ছ,
হিংসাশাবক ভোটের দোরে নাড়িয়ে যাবে পুচ্ছ,
সে ল্যাজনাড়ায় বিপদ বুঝে থাকলে ঘরে লক্ষ্মী,
হিংসা হলো সে মিথ্যেটা বলবেনা কাকপক্ষী।
গণতান্ত্রিক লুকোচুরির শুরু এবং শেষ কই,
কেউ জানেনা কাদের হাতে শ্মশান যাওয়ার শেষ খই।
খই ছড়ানোর অমল হাতে গণ’র পিঠে ধাপ্পা,
অঙ্গ ওটা সেই খেলারই, তোমরা ভাবো ছাপ্পা,
অবাধে নেই চন্দ্রবিন্দু, বাঁধ দেওয়া তাই দস্তুর,
দুহাত দূরের ভোটের বুথও তখন হাজার ক্রোশ দূর।
চন্দ্রবিন্দু গণতন্ত্রের ভীষণ প্রিয় অক্ষর,
নামের আগেই লাগবে যদি প্রভুর সাথে টক্কর।
কে সে প্রভু, দণ্ড এবং মুণ্ডটি যার কব্জায়,
সামনে এলেই ডেমোক্রেসি ঘোমটা টানে লজ্জায়,
নাম জেনে তার হবেটা কি, প্রপার নাউন ফালতু,
সিংহাসনের চারখানা পা দশাননের পালতু।
গোপন ব্যালট স্থির করে দেয় মসনদে কে বসবে,
ধর্ষিতা এই ক্ষেত জুড়ে কে আবার লাঙল চষবে।
তুমি আমি সেরেফ বলদ, জোয়ালে খাই ছপটি,
আধার নথি দেখিয়ে নাহয় অন্যে ভরুক খোপটি,
ভোট গিয়েছে কাদের খোপে, জানতে চাইছো মূর্খ?
জানোনা এই ব্যালট গোপন, এইবারে খাও হুড়কো!
অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য,
তোমার ভোটের মালিকানা পেতেই পারে অন্য।
ভোটার লিস্টে নাম যে আছে, সেই ভেবে হও ধন্য।