বুঝলে হরিদাস, তোমার মতোই আমরাও একসময় ভেবেছি –
পেটে গামছা বেঁধে আর মাত্র কয়েকটা দিন যাক,
জোয়াল কাঁধে হাট্ হাট্ শব্দের সামনে হাঁটতে হাঁটতেই –
খুব নাম ডাক হবে আমাদের!
আমাদের সবকিছুর একটা করে ইউনিক নাম থাকবে,
যাতে মোড়ের মাথায় এক ডাকে সবাই চিনতে পারে!
আলের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে ভেবেছি – একটার নাম হবে ফিডার্স অ্যাভিনিউ,
আড়াআড়ি অন্য একটার নাম হবে – রেবেলস স্ট্রীট।
দু’পাশের দু’টো চাষের জমির নাম হবে – শ্যামলী আর হৈমন্তী,
ধানের গোলার নাম রাখা হবে – ফ্রিহোল্ড গোডাউন!
আমরা ব্রেকফাস্টে বার্গার, আর স্ম্যাশড পটেটো উইথ রাইসে লাঞ্চ করে ডিনার সারবো – ইতালিয়ান পিৎজায় !
ভেবেছিলাম, আমাদের নেড়ি কুত্তার নাম রাখবো – ডারউইন;
আমাদের ইদূরখেকো পোষ্য বিড়ালের নাম হবে – ভাস্কোদাগামা;
আমাদের খড়ের চালের ঘরের নতুন নাম হবে – কান্ট্রি কটেজ!
তারপর কি যে হলো, কে জানে!
বাহাত্তুরে রোগ সারিয়ে সাড়ে চুয়াত্তরে খোলা আকাশের নিচে এসে দেখলাম –
আমাদের লেংটি গামছা আর জোয়ালের ঠিকঠাক ইংরেজি জানি না আমরা।
এখন আমাদের নাম ডাক হয়েছে
আম আদমি বলে!
অথচ নির্বিচারে সকল ভোটারের
ডাকনাম – হ্যারি , পদবী দাস!