WBDF-SSU উদ্যোগ
সহযোগিতায় রাসবিহারী শৈলূষিক
আহ্বায়ক :আস্থা
মেটেখালী মালঞ্চ থেকে ন্যাজাটের দিকে মেটেখালী বাজার, আরো ২ কিমি। বাজার মানে ২-৩টি দোকান। যেতে গিয়ে পথ ভুলে প্রায় ৮ কিমি গ্রামের রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে দেখা গেল সরু রাস্তার দুপাশে বিস্তীর্ণ জলভূমি, ভাঙা রাস্তা, বিধ্বস্ত বাড়ি, আর উপড়ানো গাছের দেহাবশেষ। স্থানীয় মুখে শোনা গেল ওই এলাকায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির কথা।
২০০ জন রোগীকে দেখা হোলো। ডাক্তারদের মধ্যে পুণ্যব্রত গুণ, সুনন্দন বসু, চান্দ্রেয়ী ভট্টাচার্য, অর্জুন দাশগুপ্ত ও চন্দ্রিমা দাশগুপ্ত। এবার সর্দি কাশি, আঘাত ছাড়াও প্রচুর চর্মরোগ। ডায়ারিয়া আশ্চর্যজনক ভাবে অদৃশ্য।
ভলান্টিয়ারদের মধ্যে লাইন দেখা সুমিত অনবদ্য। বাকিদের একটু দেরী করে আসায় মিলিয়া ওষুধ বিলি শুরু করে এবং প্রশংসনীয় ভাবে শেষ পর্যন্ত একটানা করে যায়। পরে কমলেশ্বর, গৌতম ও জয়দীপ আসাতে ওষুধযজ্ঞ মসৃণ হয়ে যায়। কমলেশ্বরের ধীরস্থির করে বোঝানো আর গৌতমের প্রাণচঞ্চলতা এক নতুন উদ্যমের সঞ্চার করে। পুণ্যব্রতদা সবার ওপর তত্বাবধানে। সুরজিৎ ও প্রজ্ঞা লাইন দেখাশোনা নিখুঁত, বিশেষ করে প্রজ্ঞা বাচ্চাদের আর হঠাৎ ঢুকে পড়া কিছু কুকুরের বাচ্চাদের বিশেষ ভাবে মমতার সাথে দেখাশোনা করে। সুদীপ্ত, চিত্রক,আর চন্দনদা স্টক সল্যুশন দিয়ে জল পরিশ্রুত করার পদ্ধতি একটানা বুঝিয়ে গেলেন। সুদীপ্তর শাড়ি ৭ ভাঁজ করার পদ্ধতি পরে কোন একদিন অভিনয় করে দেখানো দরকার। অনবদ্য সিচ্যুয়াসেনাল কমেডি।
অসীমদা আর আস্থার সভ্যরা শেন দৃষ্টিতে আমাদের সুবিধা অসুবিধার ক্রমাগত দেখাশোনা। ওষুধ প্রায় শেষ।
তারপর স্থানীয় মহিলাদের ওখানেই অসাধারণ রান্না করা খাবার খেয়ে আমরা আমফানের হাড়হিম করা স্মৃতি উসকে দেওয়া তুমুল ঝড়বৃষ্টির মধ্যে বাড়ি ফিরলাম।
পরে এর ওপর আরো লিখবেন সুদীপ্ত ও কমলেশ্বর।
পড়তে থাকুন।