“There is no genius without having a touch of madness” – অ্যারিস্টটল।
কবি-লেখকদের মধ্যে মানসিক সমস্যা প্রায় প্রবাদপ্রতিম। তবে অনেকেই এই সমস্যা নিয়ে সারা জীবন ধরে জেরবার হয়ে গেছেন। অনেকে আবার এ কথাও বলেছেন যে ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ছিলেন বলেই তিনি এমন রচনা করতে পেরেছেন। আর পাঁচজনের মত মানসিক সুস্থতা থাকলে নিশ্চিতভাবে পারতেন না। আমার মত যারা হেমিংওয়েকে অল্পস্বল্প পড়েছেন তারা জানেন তার অনেক লেখার মধ্যেই একটা আশাবাদের ঝলক মাঝেমাঝেই দেখা যেত। বুড়ো জেলে সারাদিন একটি মাছ ধরতে না পারলেও পরের দিন আবার সমুদ্রে গেছেন। তার পরের দিন আবার। “আ ম্যান মে বি ডেস্ট্রয়েড বাট নট ডিফিটেড”। শুধু এই লাইনটি সারা পৃথিবীর কত লোক কতবার কোট করেছে! এই কথাটিতে কতজন কতভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছে ভেবে দেখুন!
অথচ লিখতে না পারার জন্য শেষের দিকে তিনি প্রচন্ড ডিপ্রেশনের শিকার হন। তখন তো আজকের মত এত ওষুধপত্র ছিল না। তাকে ইলেক্ট্রোকনভালসিভ থেরাপি বা চালু কথায় শক থেরাপি দেওয়া হচ্ছিল। এমনই এক থেরাপির পর তিনি নিজের পিস্তল দিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার মত অত ক্যারিশম্যাটিক লেখক পৃথিবীতে কমই এসেছেন। তিনিও নিজেকে তীব্র অবসাদের হাত থেকে বাঁচাতে পারেন নি।
রাশিয়ার এক অত্যন্ত ধনি পরিবারের সন্তান ছিলেন তলস্তয়। অসম্ভব মেধাবী ছাত্র। নিজের জীবন কালেই তিনি তাঁর সাহিত্য রচনার জন্য সারা বিশ্বের রসিক সমাজের সমাদর পেয়েছিলেন। স্ত্রী-পুত্র নিয়ে স্বচ্ছল সংসার। তবু জীবনে বারবার তিনি আত্মহত্যা করতে চেষ্টা করেছেন। এত সফলতার পরেও তাঁর কাছে জীবনকে মনে হয়েছে ‘মিনিংলেস’। “The only absolute knowledge attainable by man is that life is meaningless”। তিনি বারবার মানুষের আত্মহত্যার অধিকারের কথা বলেছেন।
ভার্জিনিয়া উলফ্ তাঁর মত না হলেও যথেষ্ট উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে ছিলেন। তাঁর স্বামীও লেখক, প্রকাশক এবং চিরজীবন তাঁর প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। তবুও তিনি সারাজীবন ধরে অবসাদের সাথে লড়াই করে গেছেন। কখন অবসাদ আসে সেই ভাবনায় সবসময় সিঁটিয়ে থাকতেন। আসন্ন অবসাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে কোটের পকেটে পাথরের টুকরো ভরে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। টি এস এলিওটের বন্ধু, তাঁর নিজের পোস্ট মডার্ন সাহিত্য সৃষ্টির জন্য আজও তিনি অসম্ভব প্রাসঙ্গিক। অথচ সারা জীবন ধরে নিজের ভেতরে যন্ত্রণায় পুড়ে মরেছেন। নিজের ভেতরের শয়তানের হাত থেকে কিছুতেই রেহাই পান নি।
আরেক আমেরিকান কবি সিলভিয়া প্লাথ, যাঁর কবিতায় বারবার উঠে এসেছে মৃত্যুর ছায়া। অনেক অল্প বয়স থেকেই বারবার তীব্র অবসাদের কবলে পড়েছেন। স্বামী অন্য নারীতে আসক্ত হলে তাঁর অবসাদ মারাত্মক বেড়ে যায়। পাশের ঘরে বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়ে, দরজা বন্ধ করে গ্যাসের ওভেনে মুখ রেখে গ্যাস খুলে দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র তিরিশ। এর আগেও তিনি বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। সফল হন নি। সেবারেও কি বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন? তাঁর সুইসাইড নোটে লেখা ছিলঃ ‘কল ডক্টর হোর্ডার’। হোর্ডার সে সময় তাঁর অবসাদের চিকিৎসা করছিলেন।
যাঁরা সাহিত্য রসিক তাঁদের যদি জিজ্ঞাসা করেন এখনও পর্যন্ত কোন উপন্যাস সারা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ক্লাসিকের মর্যাদা পেতে পারে? দেখবেন তাঁদের মধ্যে অন্তত অর্ধেক মানুষ ইউলিসিসের নাম করবেন। অথচ একই সাথে এটি দুনিয়ার সবচেয়ে দুর্বোধ্য ক্লাসিক। জয়েসের এক মেয়ের স্কিৎজোফ্রেনিয়া ছিল। তাঁর নিজের চরিত্রে সিজয়েড পার্সোনালিটির লক্ষণ ছিল। তিনি নিঃসঙ্গ থাকতেন। নিজে তাঁর কাছের লোকদের ওপর অনেক নিগ্রহ করেছিলেন। বার্ট্রান্ড রাসেলের পরিবারের অনেকে স্কিৎজোফ্রেনিয়ার শিকার ছিলেন। আইনস্টাইনের এক মেয়ের স্কিৎজোফ্রেনিয়া ছিল। তাঁর চরিত্রে যে সিজয়েড পার্সোনালিটির লক্ষণ ছিল সে কথা আমরা আগেই বলেছি।
এই সকল সৃষ্টিশীল জিনিয়াসদের মধ্যে আরেক নিদর্শন খুব সহজেই চোখে পড়বে তা হল নেশার প্রবণতা। মনস্তাত্ত্বিকেরা দেখেছেন অ্যালকোহল ৭৫ শতাংশ লোকের ক্ষেত্রে সৃষ্টিশীলতা বাড়াতে পারে। হেমিংওয়ে যে সময় তাঁর সৃষ্টিশীলতার চূড়ায় ছিলেন সেই সময়ই তিনি প্রচন্ড মদ্যপান করছিলেন। ডিকেন্সের ছিল প্রচন্ড আফিমের নেশা। আফিম ছাড়া তিনি লিখতেই পারতেন না। সেই অতিরিক্ত আফিমের বিষক্রিয়াতেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে অনেকে মনে করেন।
বোভোয়ার তাঁর স্মৃতিচারণায় বলেছেন সাত্রেঁ যখন কোনো কিছু লেখা শুরু করতেন তখন তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত একটানা লিখে যেতেন। ভাবখানা এমন যেন লেখার টেবিল থেকে সরে গেলে তাঁর চিন্তার বিচ্যুতি হবে। তাই লেখার সময় অ্যাম্ফিটামিন খেয়ে তিনি নিজের ঘুম তাড়াতেন। প্রচন্ড ছিল তাঁর মদের নেশা। তিনি তখন জীবনের শেষভাগে এসে পড়েছেন। ডাক্তার মদ খেতে নিষেধ করেছেন। তিনি বোভোয়ারকে শিশুর মত হাতেপায়ে ধরছেন মদ এনে দেবার জন্য।
নীটশে অত্যন্ত বেশি মাত্রায় আফিম নিতেন। এত বেশি আফিম নিয়েও তাঁর ঘুম আসত না। বুকাওস্কি মদ খেতে খেতে পাকস্থলীতে বিরাট এক আলসার তৈরি করে ফেলেছিলেন। আমাদের কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের মদের নেশার গল্প তো পল্লবিত হয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে আছে। তাঁর কবিতার আলোচনা ওঠার আগে তাঁর নেশার কথাই ওঠে। কমলকুমার আর খালাসিটোলার দেশি মদের গল্প সুনীল শক্তির মুখে আমরা তো কম শুনি নি। আর ঋত্বিক ঘটকের কথা উঠলে একই সাথে তাঁর মদের নেশা আর মানসিক ব্যাধির কথা চলে আসে।
এইসব জিনিয়াস মানুষদের আরেক বিকৃতির কথা না বললে নয় তা হল যৌনবিকৃতি। আমরা আজ জানি যে এই বিকৃতির সাথে মানসিক ব্যাধির খুব কাছের সম্পর্ক আছে। আমার মত আপনারা অনেকেই নিশ্চয়ই রিচার্ড ফাইনম্যানের ভক্ত। আমি তাঁর কোয়ান্টাম তত্ত্বের জটিলতায় না গিয়েও তাঁর কিছু বিখ্যাত রচনা ও ইন্টারভিউ দেখে তাঁর ধারণায় অত্যন্ত অনুপ্রাণিত বোধ করি। তবে তার সাথে সাথে এটাও জানি যে তিনি একজন অত্যন্ত বিকৃত রুচির পুরুষ। তাঁর যুবতী ছাত্রীদের কল্পনা করে তাদের নগ্ন ছবি আঁকতেন। তাঁর অধীনে গবেষণা করা কোনো মেয়েকে সটান বিছানায় যেতে বলতেন। অস্বীকার করলে তাকে হেনস্তার চূড়ান্ত করতেন। চিরকাল বলে এসেছেন বুদ্ধিমত্তায় পুরুষের ধারেকাছে মেয়েরা কোনোদিন আসতে পারবে না। কোনো মেয়ে সাংবাদিককে ইন্টারভিউ দিতে হলে তাকে নাইটক্লাবে ডেকে পাঠাতেন। টপলেস বার ড্যান্সারদের নাইট ক্লাবে তিনি বঙ্গো বাজাতেন। কি বলবেন আপনি?
‘দ্য হিস্ট্রি অব সেক্সুয়ালিটি’-র রচয়িতা মিশেল ফুকো সমকামী ছিলেন। তিনি, জাঁক দেরিদা, সাঁত্রে ও অন্য এক দার্শনিক এক পিটিশন জমা দিয়েছিলেন যে ১৪ বছরের নিচের বাচ্চাদের সাথে পায়ুকাম বা পিডোফিলির অধিকার বৈধ বলে ঘোষণা করা হোক। শেষ জীবনে আমেরিকায় পড়াতে গিয়ে সেখানকার সমকামী সমাজের সাথে তুমুল স্যাডোম্যাসোচিসম্-এর অনিয়ন্ত্রিত যৌন জীবনে জড়িয়ে পড়েন। সেটাই তাঁর কাল হয়। ফ্রান্সে ফিরে আসেন এইডস নিয়ে। হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় মারা যান। তখন ইউরোপে সদ্য সদ্য এইচ আই ভি-র কেস দেখা দিতে শুরু করেছে মাত্র।
উদাহরণ দিতে শুরু করলে এই তালিকার কোনো শেষ নেই। কিন্তু আমরা এর মৌলিক কারণ খোঁজার চেষ্টা করব। কেন এই জিনিয়াসদের মধ্যে এরকম মানসিক সমস্যা? কেন এঁদের উদাহরণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি? এ কথা ঠিক যে ‘স্বাভাবিক’ মানসিকতার জিনিয়াসদের সংখ্যাও প্রচুর, কিন্তু মুদ্রার উলটো পিঠটাও এত প্রকট যে সে দিকে আমাদের ফিরে না তাকিয়ে উপায় নেই। মনোবিজ্ঞানীরা এই ব্যাপারে কী বলছেন?
এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে যা গবেষণা হয়েছে তাতে করে সুনিশ্চিতভাবে কিছু বলা শক্ত। তবে এ ব্যাপারে কিছুটা আলোকপাত করাই যায়। মানুষ যখন জন্মায় তখন প্রাথমিক একটা মস্তিষ্কের কাঠামো নিয়ে জন্মায়। এটা কিছুটা জিনগত পারিবারিক ও কিছুটা প্রজাতির সমগ্র চেতনার একটা কাঠামো। এর ওপর ক্রমে তার শিক্ষা, পরিবেশ ও সামাজিক আদানপ্রদানের মাধ্যমে তার ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠে। একেই আমরা ‘টেম্পেরামেন্ট’ বলি।
এটা দুরকম হয়। অভিযোজনের প্রভাবে একটিতে তার মধ্যে সামাজিকতা, সহানুভূতি, নিজের জীবন বিপন্ন করে অপরকে রক্ষা করা বা অল্ট্রুইজম, সহযোগিতা এইসব বৈশিষ্ট দেখা দেয়। এই লক্ষণগুলো অভিযোজনের পক্ষে সাহায্যকারী কারণ তারা প্রজাতির অস্তিত্বরক্ষায় সাহায্য করে। অন্যদিকে তার মধ্যে নেগেটিভ ট্রেট যেমন হিংসা, স্বার্থপরতা, একাকীত্ব, অন্তর্মুখিতা এগুলিও দেখা দেয়। এই দুই লক্ষণের মিশ্রণে তৈরি হয় আমাদের পার্সোনা।
এই মিশ্রণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সমান হয় না। তাই যাদের মধ্যে প্রথম লক্ষণ বেশি থাকে তারা সামাজিক, এক্সট্রোভার্ট, অন্যদিকে যাদের মধ্যে দ্বিতীয় প্রবণতা বেশি থাকে তারা অন্তর্মুখি হয়। এগুলি স্বাভাবিক ট্রেট। জিনিয়াসদের ক্ষেত্রে সেই নেগেটিভ ট্রেটগুলো অতিরিক্ত বেশি মাত্রায় থাকে। প্রথমগুলো প্রায় থাকেই না। এতে তাদের মধ্যে একদিকে যেমন অস্বাভাবিক মানসিক বৈশিষ্ট প্রকাশ পায় তেমনি অন্যদিকে ব্রেনকে সামাজিকতার দায় থেকে মুক্ত করে দেবার ফলে ব্রেনের বিরাট এনার্জিকে তারা তাদের সৃষ্টিশীলতায় ব্যবহার করার সুযোগ পায়। ফ্রয়েড একেই বলেছেন ‘নার্সিসিস্টিক নিউরোসিস’।
এর ফলে তারা যেমন অন্তর্মুখি, নিঃসঙ্গ, ঈর্ষাপরায়ন, স্বার্থপর হয় তেমনিভাবেই প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী, নিজের লক্ষ্যে যে কোনো মূল্যে অবিচল, অন্যের ধারণাকে বিন্দুমাত্র পাত্তা না দেওয়া মানসিকতার অধিকারী হন। তাঁরা যেহেতু সাধারণ থেকে আলাদা তাই সাধারণের জন্য তাঁদের সৃষ্টি নয়। পাঠক বা সমালোচককে তাঁরা থোড়াই পাত্তা দেন। পাত্তা দিলে কি জয়েসের পক্ষে অমন ইংরিজি ভাষার স্বীকৃত ফর্মকে অবজ্ঞা করে ইউলিসিস লেখা সম্ভব? তিনি কি আদৌ সাধারণ পাঠকের মনোযোগ পান নি বলে হতাশ হয়েছিলেন? একেবারেই নয়।
শর্মিলা ঠাকুর এক যায়গায় বলেছিলেন, ‘মানিকদার কোনো বন্ধু ছিল না। তাই তাঁর সিনেমায় বিশেষত অভিযানে তিনি বন্ধুত্বটাকে ভালোভাবে দেখাতে পারেন নি’। আপনি কি সত্যজিৎকে এর জন্য সমালোচনা করবেন। একেবারেই নয়। এক সমালোচক তাঁর সিনেমার সমালোচনা করেছিলেন বলে তাঁকে তুলোধনা করে ছেড়ে ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর লেখার সমালোচনা একেবারেই সহ্য করতে পারতেন না।
তবে এ কথা ঠিক যে মানসিক সমস্যা কখনই সৃষ্টির উপযোগী নয়। বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত জিনিয়াসেরা ডিপ্রেশন থেকে যখন বেরিয়ে আসতেন তখনই তাঁদের সৃষ্টি বা গবেষণায় আত্মনিয়োগ করতে পারতেন। তাঁরা অনেকেই যে নেশার দাস ছিলেন তার এক প্রধাণ কারণও তাই। যে কোনো নেশাই আমাদের মস্তিষ্কে ডোপামিন বাড়িয়ে দেয়। যা প্লেজার সেন্টারের ওপর কাজ করে আমাদের পজিটিভ চিন্তায় উৎসাহ দেয়। সমস্যা হল এই ডোপামিন তো আর অনন্ত নেই, তাই এর পরিমাণ বাড়াতে গিয়ে নেশার মাত্রা ক্রমেই বেড়ে যায়। এদের মাত্রাছাড়া ব্যবহারের ক্ষতিকারক প্রভাবে আসে তীব্র অবসাদ। তীব্র যৌন সংসর্গের বাসনাও এক রকমের নেশা। তার ভূমিকাও অনেকটাই এক।
আমরা সাধারণ, তাই আমরা সমাজের কথা ভাবি। তাঁদের সমাজকে নিয়ে চিন্তার দায় নেই তাই তাঁরা অবিচলিতভাবে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যান। তাঁদের বন্ধু নেই, পরিবার নেই- কেবল তাঁরা আছেন আর তাঁদের তীব্র ইগো। পৃথিবীতে জিনিয়াসদের নিয়ে যত সঙ্ঘ গড়ে উঠেছে যত আন্দোলন গড়ে উঠেছে তা এক দশকেই ভেঙে গেছে। আপনি তাঁদের ‘মূর্খ বড়ো, সামাজিক নয়’ বলতেই পারেন। তাঁদের কিছু যায় আসে না। তাঁদের আমরা ‘টর্চার্ড জিনিয়াস’ বলে আলাদা পৃথিবীর মানুষ করে রেখেছি। তাঁরা সত্যিই আমাদের মত নন। অথচ তাঁদের সৃষ্টি গবেষণা যুগেযুগে আমার আপনার জন্যই। আমাদের প্রয়োজনে বা আনন্দে।
জন ন্যাশকে জিজ্ঞাসা করা হতঃ আপনি কেন মনে করেন যে আপনার ওপর অ্যালিয়েনদের কোনো প্রভাব আছে? তিনি বলতেন, ‘যেভাবে আমার মনে গণিতের ধারণা আসে সেভাবেই আমার মনে অ্যালিয়েনদের ধারণাও আসে’। তাই আমি আপনি যারা টেম্পেরামেন্টের ভারসাম্যের গন্ডিতে থাকা মানুষ তারা জিনিয়াসদের নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এসব অবশ্যই মনে রাখব। সামাজিক মাত্রায় তাঁদের ধরা কঠিন। তাঁরা ফিফথ্ ডায়মেনশনের মানুষ।