★
তবে পাখি হওয়া বড় সহজ কাজ ছিল না। গাঁজা টানার ক্ষমতা লাগত। পাখি হওয়ার উদ্দেশ্যে কেউ আটচালায় এলে প্রথমে তাঁকে এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিতে হত। পরীক্ষা নিতেন স্বয়ং পক্ষীরাজ। তাতে টানা ছিলিমের পর ছিলিম গাঁজা খেতে হত। একবারও না কেশে। পক্ষী অনেক থাকলেও পক্ষীরাজ ছিলেন মাত্র দেড়জন। যে সব মহাপুরুষ একাসনে বসে একশো আট ছিলিম গাঁজা খেতে পারত, তারা একটা করে ইট পেত। এই ইট জমিয়ে যিনি গোটা বাড়ি বানাতে পারতেন, তিনিই পক্ষীরাজ। কলকাতায় দেড়জন পক্ষীরাজের একজন ছিলেন পটলডাঙার রূপচাঁদ পক্ষী আর বাগবাজারের নিতাই হাফ পক্ষী। বেচারা বাড়ির চার দেওয়াল বানানোর পরেই মারা যান। ফুল পক্ষী হয়ে ওঠা তাঁর হয়নি।
রূপচাঁদ পক্ষী ছিলেন পক্ষীকুলের সেরা।
শুধু গান লেখা, সুর দেওয়া আর গাওয়া নয়, অন্য বহু বিষয়ে পারঙ্গম ছিলেন।বস্তুত খুবই মেধাবী ছিলেন তিনি।
★
এ যুগের রূপচাঁদের সঙ্গে সরকারি আলাপ আছে সবার! কখনও কারোর কোমর ভেঙে দেবার হুমকি দেয়। কখনও নিজের হাত কামড়ায় আক্ষেপে। সেই আটচালায় গাঁজার ধোঁয়া ওঠে খুব। প্যাসিভ স্মোকিংয়ের লোভে ভিড় হয়!
তবে কোনও পাখি, এমনকি শকুনও হবার যোগ্যতা নেই তার। পাঁঠা (বোকামিতে) আর শুয়োরের (ঘোঁতঘোঁত করাতে) হাইব্রিড। কিন্তু,ওই যে বললাম, মহামহিম সরকার।
চোপ, সরকার চলছে!