Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

এখন রেডিও শোনা

IMG_20210220_193820
Dr. Dayalbandhu Majumdar

Dr. Dayalbandhu Majumdar

Eye Surgeon, Snake-bite resource person
My Other Posts
  • February 21, 2021
  • 9:16 am
  • No Comments

আজ সন্ধ্যেয় আকাশবাণী কলকাতায় আমার একটা সাক্ষাতকার বাজবে। শোনা হবে না। ঐ সময় আমি ট্রেনে করে টিটাগড়ে যাবো। টিটাগড়ে নেমেও শোনার সম্ভাবনা নেই। মোবাইলে এফ এম শোনাগেলেও, কলকাতা ক শোনা যায় না।

এবারই আকাশবাণীর কৌশিকবাবু জানিয়েছেন, সেট টপ বক্সে এখন রেডিও শোনার একটা ব্যবস্থা আছে। বাড়ী এসে, ও যন্ত্রটার কার্যকৌশল নিয়ে যথেষ্ট পরীক্ষা নিরীক্ষা হল। ছেলে মেয়ে ওসব বোঝে ভাল; ওরাও হার মানল। অগত্যা আদি অকৃত্রিম বন্ধু, আমার রেডিও সেট। কিন্তু এখন তো একটা প্রমান সাইজের ট্রানজিস্টার সেট আমার বাড়ীতে আছে। ওটা নিয়ে রাস্তায় বেরলে, কুকুরে তাড়া করার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।

মনে পড়ে যায় আমার পুরনো ভালোবাসার মারফি বেবি ডিলাক্সকে। কলেজে ভর্তি হয়ে, বোধহয় বছরখানেক পর থেকে ঐ একটা ছোট্ট রেডিওর স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। আমাদের ক্লাশের মানসের একটা বেবি ডিলাক্স ছিল। ওটা দেখেই শেষের শুরুটা হয়েছিল। ফাইনাল ইয়ারে গিয়ে একদিন মানসকে বলেছিলাম; ও যদি ওর পুরনো রেডিওটা বাতিল করে কখনো, আমি কিনতে চাই। ও খুবই বিরক্ত হয়েছিল ঐ কথায়। ওটা যে ওরও কতো ভালোবাসার জিনিস, সেদিন একটু আন্দাজ পেয়েছিলাম। কারো, কোন জিনিসের ওপর কতোটা ভালোবাসা থাকে, কেউ কি কোনদিন বুঝতে পারে?

তখনও ডাক্তারী পড়ার শেষ এগারো মাস বাকী। দাদাকে ঐ একটা রেডিও কিনে দেওয়ার আব্দার করেছিলাম। সেই অপরাধে আমার পড়া বন্ধ করার নির্দেশ এল, বৌদির কাছ থেকে। ভয়ংকর সিদ্ধান্তটা আমাকে জানতে হল অসহায়, দিশাহারা, একশো পঁচিশ টাকা পেনশন পাওয়া বাবার পাঠানো, মানি অর্ডার পেয়ে। জীবনের মতো দুই ভাইকে বিচ্ছিন্ন করে দিল, এক মহিলার অশ্লীল জেদ। তারপর মাতৃসমা মেজ বৌদির গয়না ব্যঙ্কে রেখে টাকা ধার নিতে হল, আমার পড়া সম্পূর্ণ করার থেকেও দিশাহারা বৃদ্ধ বাবার রাতের ঘুমটুকু ফিরিয়ে আনতে। বৈষ্ণব সন্ন্যাসীর মত বাবা, হয়তো মহিলাকে ক্ষমা করে গেছেন। আমি তো আজও সেই গুপ্ত হত্যার নির্দেশকে ভুলতে পারি না। এ হয়তো বৈষ্ণব বাবার উত্তরাধিকারকে অপমান, তবুও এ আমার চরম অক্ষমতা।

“মন কি বাত” লিখতে শুরু করেছি প্রায় আড়াই মাস হল। আমার মনের কথা, দু চারজন সমমনস্ক মানুষ পড়ছেন। তাঁদেরও নানা জনের নানান প্রতিক্রিয়া। কাউকে খুশী করার, কাউকে আঘাত দেওয়ার কোন অভিপ্রায় নেই। এই ধরনীর ধুলিমাখা পথে সাতান্ন বছর ধরে হাঁটছি। পায়ে ধুলো লেগেছে, বারবার ধুয়েও ফেলেছি। কেউ ঐ ধুলোকে, “বৈষ্ণব ভক্তজনের পদরেণু” ভেবে গড়াগড়ি দিচ্ছেন। কেউ আবার নাকে মুখোশ পরছেন। কারুর ওতে হাঁচি হয়; কেউ আবার পরম শ্রদ্ধায় কপালে তিলক লাগান। এমনকি জিভে লাগানোর মানুষেরও অভাব নেই। ধুলোকে ধুলো বলতে, আমার অন্তত কোন অপরাধ বোধ নেই।

রেডিওর গল্প বলতে গিয়ে কোথায় নিয়ে এলাম আপনাদের! ঐ স্বপ্নের বেবীডিলাক্স কিনতে পেরেছিলাম, বাঁকুড়ায় যখন আমি জুনিয়ার ডাক্তার। এখন জুনিয়াররা পয়সা জমিয়ে মোটর বাইক কেনে। তখন ঐ একটা শ দেড়েক টাকার রেডিও কিনতেও অনেক কষ্ট করে টাকা জমাতে হয়েছিল। অনেক বছর ঐ ছোট রেডিওটা আমার সাথে সাথে ঘুরেছে। মনে আছে, একদিন আজহারউদ্দিনের সেঞ্চুরী শুনেছিলাম, বম্বে রোডে ট্রাফিক জ্যামে পড়েও। সেও ঐ বেবীডিলাক্সেই। আর সেই মস্কো অলিম্পিকের হকি ফাইনাল।

গ্রামের বাড়ীতে, সন্ধেবেলা, একা একা শুনছিলাম। শেষের দিকে ক্রমশ শব্দ ক্ষীণ হয়ে আসছিল। আমি কিন্তু হাজার হাজার মাইল দূরে, মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের একটা মাটির বাড়ীতে বসে, চোখ বন্ধ করে দেখতে পাচ্ছি, অলিম্পিক স্টেডিয়ামের, “কোনে কোনে মে, ভারতকা তেরঙ্গা লহরতে হুয়ে!” টান টান উত্তেজনার খেলা। শেষ মিনিটেও দেশ জিতছে চার তিনে। এবার ইংরেজ-এর ধারাভাষ্যকার উত্তেজনায় ফুটছেন। শেষ দশ সেকেন্ড বাকী; উনি শুরু করলেন কাউন্ট ডাউন। নাইন, এইট, সেভেন, সিক্স, ফাইভ….. গোল্ড! ঐ শেষ দশ সেকেন্ডে আমার হৃদকম্পন কতোতে উঠেছিল জানিনা। ওনার পাঁচ গোনার পর আর রেডিওর শব্দ কানে এসেছিল কিনা জানি না; তখন বুকে হাতুড়ি পেটানোর শব্দই কানে আসছিল। বয়সটা নেহাতই বছর চব্বিশ ছিল; আজকের বয়স হলে নিশ্চিত হার্ট আটাক হতো।

সেই বেবীডিলাক্সও কবে যেন আমাকে ছেড়ে গেল। কিন্তু রেডিও শোনার নেশা আজও কাটেনি। আমরা যারা পঞ্চাশ পেরিয়ে ষাটের কাছে এসে গেলাম, রেডিও আমাদের রক্তে মিশে আছে। জ্ঞান হওয়ার আগে থেকেই, আমাদের দুর্গাপূজা শুরু হত, এক ভোরে, আধো ঘুমে আধো জাগরণে ভদ্রবাবুর অলৌকিক উচ্চারণে, “আশ্বিনের শারদ প্রাতে…….” শুনেই। তখন গোটা গ্রামে একটা কি দুটো রেডিও। মিত্রামাসির ঢাউস রেডিওটা ঐ দিন রাত্রে আমাদের বাড়ীতেই থাকতো।

বহু বছর পরেও, বাঁকুড়ার হস্টেলের থেকে, ঐদিন ভোরে একদল ছেলে বেরিয়ে পড়েছি। ঘোষালের হাতে একটা বড় রেডিও। কয়েকজনের হাতে টর্চ। হাসপাতাল, নার্সিং হোস্টেল ছাড়িয়ে, ধানক্ষেতের আল ধরে চলেছি দারকেশ্বর নদীর দিকে। উন্মুক্ত প্রান্তরে ঐ ব্রাম্ভমুহুর্তে দশদিক আমোদিত করে ছড়িয়ে পড়ছে, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র মহাশয়ের পবিত্র শ্লোক উচ্চারণ, ” ইয়া দেবী, সর্বভূতেসু শক্তিরূপেন সংস্থিতা”। শব্দ, ব্রহ্ম কিনা জানি না। কিন্তু শব্দ যে একটা শক্তি, এতো সাধারণ শিক্ষিত মানুষ মাত্রেই জানেন।

ঐ সকল টি ভি, মোবাইল, ইন্টারনেট বিহীন সময়ে, একটা রেডিও সেটের মাধ্যমে যে প্রবল মর্মভেদী শব্দ আমাদের চেতনাকে উজ্জীবিত করতো, আজকের বধির করা ডি জে শব্দে উদ্দাম নৃত্য করা প্রজন্ম তার মর্ম কখনোই বুঝবে না।

২০১৭-র বিশ্ব রেডিও দিবসে লেখা।

PrevPreviousহাসপাতালের পুজো পার্বণ
Nextটের পেলি?Next
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত পোস্ট

মরিশাস-মরীচিকা

May 25, 2022 No Comments

গোরাদা ক্যামেরা ব্যাপারটা সবচেয়ে ভালো জানে। ঐতিহাসিক ভাবেই এটা সত্যি। আমাদের এই ক’জনের মধ্যে একমাত্র ওরই একটা আগফা ক্লিক থ্রি ক্যামেরা ছিল। আর সেই মহামূল্য

IVF কেন ব্যর্থ হয়, বিশদে জানুন।

May 25, 2022 No Comments

ডা ইন্দ্রনীল সাহার ইউটিউব চ্যানেল থেকে নেওয়া।

Schizophrenia কি?? গল্প শুনুন এই অসুখের!

May 25, 2022 No Comments

ডা অরুণিমা ঘোষের ইউটিউব চ্যানেল থেকে।

নাগরাকাটা গ্যাং

May 24, 2022 No Comments

ঘড়িতে তখন ঠিক দুপুর বারোটা। শেষ সিগারেটটা শেষ করার আগেই ব্যস্ত হয়ে পড়লাম সিগারেটের খোঁজে। এই সব বিপদের সময়ে আমার মুস্কিল আসান আমার অর্থাৎ এসিস্টেন্ট

আহা উত্তাপ কত সুন্দর তুই থার্মোমিটারে মাপলে

May 24, 2022 No Comments

– বাচ্চাটার আঠারো ঘন্টার বেশি জ্বর হয়ে গেল। আপনি অ্যান্টিবায়োটিক না দিয়েই ছেড়ে দিচ্ছেন? বেশ ঝাঁঝের সাথেই কথাটা বললেন মাঝবয়েসী ভদ্রলোক। এসব চিৎকার-চেঁচামেচি, বিরক্তি প্রকাশ

সাম্প্রতিক পোস্ট

মরিশাস-মরীচিকা

Dr. Arunachal Datta Choudhury May 25, 2022

IVF কেন ব্যর্থ হয়, বিশদে জানুন।

Dr. Indranil Saha May 25, 2022

Schizophrenia কি?? গল্প শুনুন এই অসুখের!

Dr. Arunima Ghosh May 25, 2022

নাগরাকাটা গ্যাং

Dr. Samudra Sengupta May 24, 2022

আহা উত্তাপ কত সুন্দর তুই থার্মোমিটারে মাপলে

Dr. Soumyakanti Panda May 24, 2022

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

395646
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।