AMI, Acute Myocardial Infarction, মানে হার্ট অ্যাটাক। শতকরা তিরিশ ভাগ রোগী এক ঘন্টার মধ্যে মারা যান। বাঁচতে হলে হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যেতে হয়, তবুও বিশেষ কিছু করা যায় না অনেক সময়। সেই পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসক। রোগী পথে মারা যায়। তারপরে যা হয়…যা হচ্ছে.. এবং যা হবে।
আমি কিন্তু বলেছিলাম লাগছে না ঠিক
যুবক ছেলের শ্বাসের কষ্ট, এখানে কোরো না সময় নষ্ট,
লাগছে না ঠিক, গাড়ি ঘোরাও হাসপাতালের দিক।
পাঠিয়ে দিলাম ওষুধ ছাড়া, এই কথাটা বলছো যারা,
বলতে পারো কোন ওষুধে আটকাতো মৃত্যুকে?
হৃৎপিণ্ড যাচ্ছে মরে খুব দ্রুত ওর বুকে, সে লক্ষণই লক্ষ করে,
প্রাণ বাঁচানো লক্ষ্য করে,
বলেছিলাম ওষুধে কাজ করবে না একটাও,
অপেক্ষাতে কাল না হারায় , জলদি রওনা দাও,
গাড়ি ওকে সাঁ সাঁ বেগে হাসপাতালে নিক,
আমি কিন্তু বলেছিলাম রোগী কেমন লাগছে না যে ঠিক।
মরলো যুবক।
হৃৎপিণ্ডে এমন হলে ডাক্তারি হয় ব্যর্থ নিছক,
ওষুধই নেই ফিরিয়ে আনার হৃদয় যখন মরতে থাকে,
ডাক্তারি সেই রোগের ওপর শরীর যখন লড়তে থাকে,
যুবক হলেও হৃৎপিণ্ড গেছিলো সেই রাহুর গ্রাসে,
প্রমাণ ছিলো নাড়ির গতি, এবং প্রবল কষ্ট শ্বাসে,
এসব দেখেই দিইনি ওষুধ, পাঠিয়েছিলাম তাড়াতাড়ি,
মরলো যুবক,
তোমরা এসে চড়াও হলে আমার বাড়ি।
চড়াও হলে, ভাঙলে বাড়ি তোমার যুবক মরলো বলে,
আমার যে কী দোষটা ছিলো, বোঝাওনি কেউ হট্টগোলে,
মা আর বাবা সিঁটিয়ে ভয়ে,
রক্ত ভাইয়ের যাচ্ছে বয়ে,
হয় না ওষুধ যেই অমোঘের সেই রোগে কি ওষুধ দেবো,
তোমরা যারা মারলে পরে ঠাণ্ডা মাথায় একটু ভেবো।
অভিজ্ঞতা যেমন আমার. বুঝিয়েছিলাম সেই নিরিখে
ঠিক লাগেনি,
বলেছিলাম হাসপাতালে নাও রোগীকে।
ওষুধ দিলেও জানি আমি ,
থাকতো একই এ গুণ্ডামি,
যেই ওষুধই দিই না কেন, শেষ অবধি তো বাঁচতো না সে,
মরলে রোগী এ ভাঙচুরই হতো ওষুধ দেওয়ার দোষে।
যে হিংস্রতার আমি শিকার.
যায় বা আসে তাতে কি কার.
সরকারও আজ কি নির্বিকার পরিস্থিতির অস্বীকারে,
আমরা গুটাই শামুকখোলে, রোজ ঘটা এই অত্যাচারে।
যায় গুটিয়ে ডাক্তারেরা লুটিয়ে পড়া সম্মানে আজ,
মারতে থাকো,
ডাক্তারহীন থাকুক ভালো সুশীল সমাজ।
শাসক জানেন ভোট তো তাঁরই,
মারছে যে তার পাল্লা ভারী,
স্বাস্থ্য কত ভাঙাচোরা, মার ভাঙচুর তা ঢেকে দিক,
মরুক মানুষ,
সুযোগ বুঝে হাতের সুখও কেউ করে নিক।
আমি কিন্তু বলেছিলাম, রোগী আমার লাগছে না ঠিক..