পেয়েছিলো দেশ তিনখানা মাস, তবুও যখন এলো ভাইরাস,
মাস্কের দাম বাড়ে চড়চড়, পি পি ই রা ছুলো হাজারের ঘর,
খুঁজে খুঁজে সারা দিশাহারা লোক ঘোরে পাগলের মতো,
দাম কমাবার আসেনি আদেশ, মারী হলো স্রেফ ব্যবসা বিশেষ
লুটেপুটে খাওয়া যাদের স্বভাবে, পোয়া বারো হলো শাসন অভাবে,
বাকি লোকেদের ভয়ের সুযোগে বড়লোক হলো কত!
এ ব্যাপারে কেউ খোঁজই নিলো না একবারও অন্তত।
বিমানে যখন জ্বরবাহী রোগী, নিজেকে ধরাতে নয় মনোযোগী,
প্রশাসন দিয়ে কানে বড় তালা, নজরদারিতে ছিলো ঢিলেঢালা,
তৎপর হয়ে বাড়ি খুঁজে খুঁজে হয়নি যে করা টেস্টও,
কোয়ারান্টাইন ছিলো দায়সারা, জানাও যায়নি পজিটিভ কারা
তখন রাখেনি নিয়মে বাড়িতে, লকডাউন আজ প্রবল মারীতে
চোর পালানোর পরেই দেখছি বুদ্ধি বেড়েছে বেশ তো।
ওসব কষ্ট করবে কে আর, নোট জোটে মেলে কেষ্ট।
ঘর ফিরে যাও ঘন্টা চারেকে, মঞ্চের থেকে রাজা কন হেঁকে,
করোনার ভয়ে বুক দুরু দুরু, অনির্দেশের লকডাউন শুরু
খেয়াল করেনি কেউ দেশে আছে কত কোটি পরিযায়ী
ঘর থেকে ছিলো বহু দূরে তারা, না ট্রেন আছে না ট্রেনভাড়া,
হেঁটেই পেরোতে হবে তবে পথ, কোটি পায়ে চলে ফেরার শপথ
মরলো জামলো, ঝমাঝম রেল হঠাৎ রক্তপায়ী।
এত নাগরিক উথালপাথালে রাষ্ট্র হলো না দায়ী।
ঘরে ঘরে আজ এসে গেছে জ্বর, পরম স্বজন আতঙ্কে পর,
নানা চেষ্টায় কলাটি দেখিয়ে ,সংখ্যারা রোজ বাড়ে লাফ দিয়ে ,
কে জানে সুনামি শেষ হলে দেশ আছড়াবে কোন তীরে,
নাগরিক ভয়ে থরথর কাঁপে, রুটিনকে কাটে কোভিডের মাপে
রোজগার আজ ছুঁয়েছে তলানি, সুখ মুছে দেয় যাপনের গ্লানি
আশা ভরসারা বেমওকা আজ সময়ের বন্দী রে।
ভাবছে না কেউ, রাষ্ট্রের মন পাথুরিলা মন্দিরে…
ছবি সৌজন্য: অনুপম রায়