Skip to content
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

উপ-নয়ন

IMG_20210705_222510
Dr. Abhijit Mukherjee

Dr. Abhijit Mukherjee

Gynaecologist
My Other Posts
  • July 6, 2021
  • 7:58 am
  • No Comments

কলিং বেলের আওয়াজে দরজা খুলেই পরিচিত যুবকটিকে দেখতে পেলাম, হাতে কার্ড, “স‍্যার,সামনের রবিবার আমার ছেলের উপনয়ন আপনি অবশ্যই আসবেন। ঘটনাচক্রে এই ছেলেটিই বছর চোদ্দো আগে আপনার হাত ধরেই প্রথম পৃথিবীর আলো দেখেছিল।”

বলব কি বলবো না ভেবে দ্বিধাগ্রস্ত চিত্তে যুবকটির পিঠে হাত রেখে সস্নেহে বললাম,”আমি তো ভাই উপনয়ন অনুষ্ঠানে যাই না।”

যুবকটি তাড়াতাড়ি বলে উঠল, “আমিও স‍্যার এই সব বিষয়ে খুব উদার, অনেক নিয়ম কাটছাঁট করে দিয়েছি।”

মৃদু হেসে ওকে বিদায় করে পিছন ফিরলাম। কতই বা বয়স তখন আমার বারো-তেরো হবে। দাদার সবেমাত্র পৈতে হয়েছে, কত পেন, বই উপহার, এমনকি একটা গোটা দু-চাকার সাইকেলও পেয়ে গেল।

“মা আমার কবে পৈতে হবে?” প্রশ্নের উত্তরে মা এর জবাব, “সময় হলেই হবে”। স্বল্পভাষী, গম্ভীর মায়ের এটুকু উত্তরই যথেষ্ট।

অবশেষে সময় এলো। তখন আমার ক্লাস সেভেন, এর পরেই পড়ার চাপ তাই এটাই সময়। মন আমার আনন্দে ভেসে যাচ্ছে। মামার বাড়িতে আগেই বলে রেখেছি, দাদাকে সাইকেল দিয়েছ, আমার চাই হাতঘড়ি-রিস্টওয়াচ। শুধু মাথা ন‍্যাড়া আর কানফুটো নিয়েই একটু চিন্তা। কিন্তু দুটো নাকি কাচকলা পাওয়া যায় যা দিয়ে কালা-নাপিতকে মারা যাবে। আমি রোজ টিপ প্র‍্যাকটিস করি আর মা বলে চলেছে,”খবর্দার জোরে মারবে না।”

“তিনদিন তোমাকে দণ্ডীঘরে থাকতে হবে, বাইরে বেশি বেরোনো যাবে না”–মা’র এমন নির্দেশ শুনে আমি বায়না ধরলাম, “ঠিক আছে, ঐ তিনদিন আমার বন্ধুরা আসবে, গল্প করবো, ক‍্যারম খেলবো। শিবুকে আসতে বলছি।

মা’র কপালে ভ্রূ কুঞ্চিত,”শিবু না এলেই নয়”।

“কেন? শিবু তো আমার সবচেয়ে বন্ধু, সবসময়ই আমার কাছে আসে, অসুবিধা কোথায়?”

মা এবার ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করল ,”ঠাকুর্দার আপত্তি আছে। ও তো শিবু ঘোষ।”

এই প্রথম জানলাম শিবু শুধু শিবু নয়, শিবু মানে শিবকুমার ঘোষ, অভিজিৎ মানে অভিজিৎ মুখার্জী। দণ্ডীঘরে অব্রাহ্মণের প্রবেশ নিষেধ। উপনয়নের খুশির স্বাদ কেমন তিতকুটে হয়ে গেল। এরপর যথাসময়ে উপনয়নও হোল। মা বললেন “তিনদিন পরে একটা অনুষ্ঠানে হবে, তোর সব বন্ধুদের আসতে বল, কোনো অসুবিধে নেই।“

কিন্তু সেই তিনদিনের মধ্যে ঘটলো আর এক ঘটনা। বুদা ঠাকুমাকে আমরা ঠাকুমা বলেই জানতাম। নিজের ঠাকুমাকে কোনদিন চোখে দেখিনি। সমস্ত কাজে দু-তিন দিন আগে থেকেই কোথা থেকে যেন বুদাঠাকুমা হাজির হয়ে যেতো। আর আমাদের সব বায়না–খাবারের ইচ্ছে সব বুদাঠাকুমা মেটাতো। বুদাঠাকুমা ছাড়া অনুষ্ঠান বাড়ি ভাবা যেতো না। তা সেই বুদাঠাকুমাকে অনেক খুঁজেও উপনয়নের তিনদিন আমার ধারেকাছে দেখতে পেলাম না।

জানলাম বালবিধবা বুদাঠাকুমা নাকি কোনো এক কালে ঘোষবাড়ীর বৌ ছিল।

ঐ বয়সে অদ্ভুত এক চিত্তবৈকল‍্য হলো। কালের নিয়মে বড় হলাম, ভেতরের কেউ যেন বিদ্রোহ ঘোষণা করল, উপনয়ন একটা অত্যন্ত বাজে অনুষ্ঠান। যে কৈশোরে পৃথিবীর সব মানুষকে উদার চোখে দেখার কথা, সুকৌশলে সুচতুর ব্রাহ্মণকুল এই সময়ে তাদের চোখে বর্ণের ঠুলিটি পরিয়ে দেয়। এই সময়ে নাকি দ্বিজত্ব লাভ করে, নতুন জন্ম লাভ করে, কিন্তু এ কোন জন্ম!!

নিজস্ব জীবনে এসে ঠিক করলাম আর কোনো উপনয়ন অনুষ্ঠানে যাবো না। অনেকেই বলতে শুরু করল, আরে আমরা আজকাল আর অতো নিয়মকানুন মানি না। আরে এ উপলক্ষে খাওয়া দাওয়া তো হয়,আর ব্রাহ্মণের ছেলে সবকিছু তো তুলে দিতে পারি না।

কেউ কেউ বলল–নিজের ছেলের বেলায় কি করে দেখব!

দিন যায় প্রকৃতির নিয়মে আমিও পুত্র সন্তানের জনক হলাম এবং উপনয়ন ছাড়াই সে মুখার্জি পদবী নিয়ে যুবক হয়ে উঠলো। চাকুরি বা বিবাহ কোথাও কোনো অসুবিধা হয়েছে বলে জানা নেই।

আজ উপনয়নের নিমন্ত্রণ পেয়ে মনে হলো, উপনয়ন তো সত্যিই এক সূন্দর অনুষ্ঠান। বয়ঃসন্ধিক্ষণে এক কিশোরের নতুন জন্ম। এমন দিন কবে আসবে যেদিন জাতি, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল কিশোর  বয়ঃসন্ধিকালে দ্বিজত্ব প্রাপ্ত হবে। উপনয়নের নতুন নয়ন দিয়ে এই জগৎ, জীব, প্রকৃতির দিকে দেখবে। সকলে নতুন গায়ত্রী মন্ত্রে দীক্ষিত হবে যা সহজ সরল প্রাঞ্জল ভাবে সকলকে ভালোবাসতে বলবে, নতুন সূর্য প্রণামের মন্ত্রে প্রকৃতি আরো সবুজ হয়ে উঠবে।

আমি সেই দিনের অপেক্ষায় আছি যেদিন একজন অব্রাহ্মণ পিতা তার পুত্রের উপনয়নের কার্ড হাতে আমার কলিংবেলে হাত রাখবে। আজ না হয় কাল নয়তো বা পরশু—আমি অপেক্ষায় রইলাম।

PrevPreviousমারীর দেশে দ্বিতীয় লকডাউনের পরে
NextVision for TomorrowNext
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত পোস্ট

হাসপাতাল মানেই নরক গুলজার

November 27, 2023 No Comments

মেডিক্যাল কলেজে আমি ১৯৭৮-এর ব্যাচ। ক্লাস শুরু হয়েছিল ১৯৭৯-এর জানুয়ারীতে। শুরু থেকেই আমি মেডিক্যাল কলেজ ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস’ অ্যাসোশিয়েসনের সদস্য। এমসিডিএসএ ১৯৭৭-এ গড়ে উঠছিল আভ্যন্তরীণ জরুরী

এক নিঃসঙ্গ দ্বীপে একলা এক নারী

November 27, 2023 No Comments

নীল সাগরের বুকে এক হারিয়ে যাওয়া দ্বীপ। সুদূর দক্ষিণ ক‍্যালিফোর্নিয়ার চ‍্যানেল দ্বীপপুঞ্জের একটা দ্বীপ।তটে কুড়িয়ে পাওয়া তিমির হাড়, ঘাসপাতার ছাউনি, মরা সীলের চামড়ার একটা কুটির।সামনের

নিধিরাম ডাক্তার

November 27, 2023 1 Comment

২০১৭ সালের ঘটনা। সকাল ১১ টায় আউটডোরে তখন লম্বা লাইনটা অজগর সাপের মতো এঁকেবেঁকে গিয়েছে। ৩০ শয্যার খন্ডরুই গ্রামীণ হাসপাতালে ডাক্তার সর্বসাকুল্যে আমরা দুজন। আমি

শিরদাঁড়াটাই ঠিক করে দেয়

November 26, 2023 No Comments

কবির লেখায় স্পষ্ট ছিল স্পর্ধিত এক প্রত্যয়, ‘আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়’। এখন যখন তাল কেটেছে তোমার-আমার এ-সন্ধ্যায়, গর্ত থেকে যখন-তখন বেরিয়ে আসে

বিম্বু আর পক্ষীরাজের কথা

November 26, 2023 No Comments

নিপোর তিন বছরের জন্মদিনে মার বন্ধু তানা মাসী একটা বড়োসড়, মোটাসোটা টেডি বেয়ার দিয়েছিল। হালকা ছাই-ছাই তার গায়ের রং, চোখগুলো কালো, কিন্তু হাত আর পায়ের

সাম্প্রতিক পোস্ট

হাসপাতাল মানেই নরক গুলজার

Dr. Punyabrata Gun November 27, 2023

এক নিঃসঙ্গ দ্বীপে একলা এক নারী

Dr. Dipankar Ghosh November 27, 2023

নিধিরাম ডাক্তার

Doctors' Dialogue November 27, 2023

শিরদাঁড়াটাই ঠিক করে দেয়

Dr. Kshetra Madhab Das November 26, 2023

বিম্বু আর পক্ষীরাজের কথা

Dr. Aniruddha Deb November 26, 2023

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

462390
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

[wppb-register]