সভ্যতা দেখেছে বহু এমন মানুষ,
নিজেকে ঈশ্বর অথবা ঈশ্বরের প্রতিনিধি ভাবে যারা,
মজার ব্যাপার হলো, তারা সকলে পুরুষ,
স্বভাবত ঈশ্বরও পুংলিঙ্গই,
তাদের আজব দাবী ‘ জৈবিক নই’,
দৈবসৃজন নাকি সঙ্গম ও জরায়ুকে ছাড়া।
কতখানি প্রচারকৌশল , কতটা বা স্কিৎজোফ্রেনিয়া,
বিশদে সে সব জ্ঞাত মনোবিশারদগণ।
সাধারণ হলে তার
ওষুধ ও থেরাপি করে বোঝানো হয় ওটা কল্পদুনিয়া,
সমস্যা বাকিদের নিয়ে।
সামলাবে তাঁকে কোন চিকিৎসা দিয়ে,
যিনি নিজে ধর্মগুরু, অথবা করেন আলো রাজসিংহাসন,
সন্দেহবাদীদের ধমকে অনায়াসে যার বলা সম্ভব
‘চোওওওওওপ!’
কে গলা বাড়িয়ে আর খেতে যাবে ক্ষমতার কোপ?
অযোনিসম্ভব এই অসম্ভবেরা,
ভক্তের বিশ্বাসে সরাসরি ঈশ্বর-অংশাবতার,
ভক্তির সার পেয়ে ডালপালা মোটা হয়ে মহীরুহ হয়ে ওঠে সেই গালগল্পেরা,
যতই অভাব থাক সারবস্তু’র
ইতিহাস বলে সেটা চালানোই দস্তুর,
সে ঢেউয়ে বাঁধ দিতে গেলে,যুক্তিবাদীর দল হবে ছারখার।
সুতরাং ,
মেনে নিতে হয় অলৌকিক বলে সেই অ-জৈবিক দাবী,
ক্ষমতাবানের বাণী না শুনলে হয় হানি
সকলেই জানি,
ভাবীকালে নিরাপদ থাকা নিয়ে সবাই তো ভাবি।
শুধু প্রাণপণে মুছে দেওয়া সঙ্গম ও জরায়ুর
কাহিনী বাঁচিয়ে রাখে
ঐশী-পুত্রদেরও দেহে থাকা নাভি।









