আমরা প্রথমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিবকে ও পরে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে জানিয়েছি আসন্ন পূজোর সময়ে উৎসব পালনের উৎসাহ উদ্দীপনায় কঠোরভাবে রাশ না টানলে পুজো পরবর্তী সময়ে রাজ্যে কোভিড সংক্রমণের ভয়ংকর বিস্তার ও মৃত্যুর সম্ভাবনা ও আশংকার কথা। এঁদের কোন তরফ থেকেই আমরা কোন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করি নি। আমাদের অনলাইন পিটিশনে ইতিমধ্যে পনের হাজার মানুষ স্বাক্ষর করেছেন। তবু পুজোর বাজারে ভীড়, পূজোর আয়োজনে তৎপরতা ও আগ্ৰহ অব্যাহত। সব কিছু এভাবে চললে পূজোর পর যে হারে অল্প সময়ের মধ্যে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা বাড়বে তা কিছুটা হলেও অনুমান করা যায়। তাঁদের মধ্যে যাঁদের ভর্তি করে চিকিৎসা করতে হবে সেই সময়ে একসঙ্গে তত বেড তো থাকবে না, ভেন্টিলেটরও মিলবে না, আবার অত সংখ্যক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী পাওয়া যাবে না।
প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া যাবে না অনেককে, বাড়বে অবাঞ্ছিত মৃত্যুর সংখ্যা। এই আশঙ্কার কথা যাঁরা বুঝতে চাইছেন না, বুঝেও অন্য কিছু করতে চাইছে্ন না; তাঁরা আমাদের আবেদনের বিষয়ে কোন মন্তব্য করছেন না। এটা তো পরোক্ষে আমাদের আবেদনকে অবজ্ঞা করা বা আশঙ্কাকে অস্বীকার করে উৎসবের উন্মাদনাকে প্রশ্রয় দেওয়া। আমরা রাজ্যে প্রশাসন আর সব রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন করেছি। পরবর্তীতে আমাদের আশঙ্কা সত্যি হলে এঁরা তখন দায় এড়াতে পারবেন না। সরকার-বিরোধী দল গুলোর সরকারকে দায়ী করে কথা বলার অধিকার থাকবে না আর সরকার বা সরকারি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অধিকার থাকবে না কোনও ভাবে বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে এ বিষয়ে কথা বলার। জোর করে বেড বাড়ানোর নতুন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করলে, ও সরকার তা মেনে নিলেও তখনই সমাধান হবে না। পরিহারযোগ্য অতি ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ সংখ্যা ও মৃত্যু দুইই ঘটবে ও ঘটতে থাকবে।
এখনও সময় আছে। আজ আবার আমরা অনুরোধ করছি সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে, সরকারের কাছে আর পুজো কমিটিগুলোর কাছে। আমাদের আকুল আবেদনে সাড়া দিয়ে রাজ্যের মানুষকে অবাঞ্ছিত রোগভোগের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্রিয় হোন, পরিহারযোগ্য মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করুন। এরই মধ্যে কলকাতার একটি বৃহৎ পূজো কমিটি (সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সর্বজনীন) অনুসরণ যোগ্য বলিষ্ঠ ভূমিকা নিয়েছেন। তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ।
ডা.হীরালাল কোঙার
ডা. পুণ্যব্রত গুণ
যুগ্ম আহ্বায়ক
জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গল
I wholeheartedly support the petition for the welfare of society.